Dhaka ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এক পদে ২ কর্মকর্তা!

বদলির আদেশের ১১ দিনেও দায়িত্ব বুঝে পাননি নতুন কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১১৩৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

 রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার একই পদে দুইজন। একজন বদলি হয়ে যাওয়া বাহাউদ্দিন সেক। অপরজন বদলি হয়ে আসা জনি খান। যিনি ১১দিনেও তার দায়িত্ব বুঝে পাননি। এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসে। বদলি হয়ে যাওয়া কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কাজকর্ম গুছিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার খামারবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খানকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করেন। একই সাথে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন সেককে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ গত ২৮ নভেম্বর মো. জনি খানকে রাজবাড়ীতে পদায়ন ও বাহাউদ্দিন সেককে অবমুক্ত করে চিঠি ইস্যু করেন। ওইদিনই রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে মো. জনি খান যোগদান করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দায়িত্ব বুঝে পাননি জনি খান।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পদে সদ্য যোগদানকৃত জনি খান জানান, গত ১৪ নভেম্বর তারিখে তার বদলির আদেশ হয়। পূর্ববর্তী কর্মস্থল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তাকে অবমুক্ত করে দেওয়ার পর তিনি ২৮ নভেম্বর রাজবাড়ীতে আসেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলার বর্তমান কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেককে ফরিদপুর কৃষি অফিসের আঞ্চলিক পরিচালক অবমুক্ত করেন। কিন্তু তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। চার্জ বুঝিয়ে দিতে বললে জানান, দেরি হবে। তিনি নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন। তিনি আগে গেলে চেয়ারে বসেন। পরে গেলে বাহাউদ্দিন সেক বসেন। দাপ্তরিক কাজগুলো বাহাউদ্দিন সেকই করছেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সহীদ নুর আকবর বলেন, বিষয়টি খুবই সাধারণ। কিন্তু এটিকে জটিল করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আদেশকে অনুসরণ করা উচিত। এটাই চাকরির বিধান। বর্তমান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেককে বদলির পর ২৮ নভেম্বর অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু সে যেটা করছে সেটা অন্যায়। এটা সে করতে পারেনা। তার জেদ, অহংকারের কারণে সে এটা করছে। কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে সে অন্যায় করছে।

বদলিকৃত কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেক জানান, আমার বদলি হয়েছে। একটি বদলি আদেশের মেয়াদ থাকে সাধারণভাবে ছয় মাস। রাজবাড়ীতে বদলি হয়ে আসা নতুন কৃষি কর্মকর্তা না জেনেই চলে এসেছেন। চলে আসার পর তাকে বলেছি, আপনি কয়েকদিন অপেক্ষা করুন। আমি কাজকর্ম গুছিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো। নির্দিষ্ট রুলস এন্ড রেগুলেশনের মাধ্যমে কাজে যোগ দিতে হয়। দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই এ কাজটা করেছে। ইনফরমেশন করেনি। একই দিনে চারটি চিঠি। এসব বিষয়ে তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন। বদলি হয়েছে চলে যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। দাপ্তরিক কাজগুলো তিনিই করছেন বলে জানান বাহাউদ্দিন সেক।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

এক পদে ২ কর্মকর্তা!

বদলির আদেশের ১১ দিনেও দায়িত্ব বুঝে পাননি নতুন কর্মকর্তা

প্রকাশের সময় : ১১:০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

 রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার একই পদে দুইজন। একজন বদলি হয়ে যাওয়া বাহাউদ্দিন সেক। অপরজন বদলি হয়ে আসা জনি খান। যিনি ১১দিনেও তার দায়িত্ব বুঝে পাননি। এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসে। বদলি হয়ে যাওয়া কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কাজকর্ম গুছিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকার খামারবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খানকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করেন। একই সাথে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন সেককে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে বদলির আদেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ গত ২৮ নভেম্বর মো. জনি খানকে রাজবাড়ীতে পদায়ন ও বাহাউদ্দিন সেককে অবমুক্ত করে চিঠি ইস্যু করেন। ওইদিনই রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে মো. জনি খান যোগদান করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দায়িত্ব বুঝে পাননি জনি খান।

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পদে সদ্য যোগদানকৃত জনি খান জানান, গত ১৪ নভেম্বর তারিখে তার বদলির আদেশ হয়। পূর্ববর্তী কর্মস্থল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তাকে অবমুক্ত করে দেওয়ার পর তিনি ২৮ নভেম্বর রাজবাড়ীতে আসেন। রাজবাড়ী সদর উপজেলার বর্তমান কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেককে ফরিদপুর কৃষি অফিসের আঞ্চলিক পরিচালক অবমুক্ত করেন। কিন্তু তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। চার্জ বুঝিয়ে দিতে বললে জানান, দেরি হবে। তিনি নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন। তিনি আগে গেলে চেয়ারে বসেন। পরে গেলে বাহাউদ্দিন সেক বসেন। দাপ্তরিক কাজগুলো বাহাউদ্দিন সেকই করছেন। বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সহীদ নুর আকবর বলেন, বিষয়টি খুবই সাধারণ। কিন্তু এটিকে জটিল করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের আদেশকে অনুসরণ করা উচিত। এটাই চাকরির বিধান। বর্তমান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেককে বদলির পর ২৮ নভেম্বর অবমুক্ত করা হয়। কিন্তু সে যেটা করছে সেটা অন্যায়। এটা সে করতে পারেনা। তার জেদ, অহংকারের কারণে সে এটা করছে। কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে সে অন্যায় করছে।

বদলিকৃত কৃষি কর্মকর্তা বাহাউদ্দিন সেক জানান, আমার বদলি হয়েছে। একটি বদলি আদেশের মেয়াদ থাকে সাধারণভাবে ছয় মাস। রাজবাড়ীতে বদলি হয়ে আসা নতুন কৃষি কর্মকর্তা না জেনেই চলে এসেছেন। চলে আসার পর তাকে বলেছি, আপনি কয়েকদিন অপেক্ষা করুন। আমি কাজকর্ম গুছিয়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো। নির্দিষ্ট রুলস এন্ড রেগুলেশনের মাধ্যমে কাজে যোগ দিতে হয়। দায়িত্ব হস্তান্তর না করেই এ কাজটা করেছে। ইনফরমেশন করেনি। একই দিনে চারটি চিঠি। এসব বিষয়ে তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন। বদলি হয়েছে চলে যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। দাপ্তরিক কাজগুলো তিনিই করছেন বলে জানান বাহাউদ্দিন সেক।