ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় তরুণ শিক্ষার্থীদের জয় জয়কার
নজর কেড়েছে আদর্শ মহিলা কলেজ ছাত্রীদের তৈরি এডুকেশনাল ওয়েবসাইট
- প্রকাশের সময় : ০৮:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬৫৩ জন সংবাদটি পড়েছেন
তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি করছে নতুন নতুন অ্যপস, ওয়েবসাইট। রাজবাড়ীতে দুদিন ব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় প্রতিফলিত হয়েছে এ চিত্র। রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের এডুকেশনাল ওয়েবসাইটটি নজর কাড়ছে সকলের। কালুখালী সরকারি কলেজ, পাংশা সরকারি কলেজ, বালিয়াকান্দির নারুয়া লিয়াকত আলী স্কুল এন্ড কলেজের উদ্ভাবনী ছিল ব্যতিক্রম।
রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের চারজন ছাত্রী এডুকেশনাল ওয়েবসাইট এবং বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বিষয়ে অ্যপস তৈরি করেছে। তারা হলো আবিদা মারিয়াম নিধি, নাবিদা ইসলাম নুসরাত, রাবেয়া ইসলাম এবং সানজিদা আফরিন সুমনা। তারা জানায়, এডুকেশনাল ওয়েবসাইট নামের যে ওয়েব সাইটটি তারা তৈরি করেছে, এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ইচ্ছে করলে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারবে। সেখানে তার পছন্দের বইটি পাবে। ইচ্ছে করলে সে পরীক্ষা দিতে পারবে এবং পরবর্তীতে পরীক্ষার ফলাফলও স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাবে। এতে করে সে নিজের মেধাকে যাচাই করতে পারবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু নামে আরও একটি অ্যপস তারা তৈরি করেছেন। এ অ্যপসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বাংলাদেশের মানচিত্রে ৬৪টি জেলার নাম থাকবে। যে জেলায় হিট করা হবে সে জেলায় বঙ্গবন্ধুর পদচারণা বা কর্মকান্ড ভেসে উঠবে। অ্যপসে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, রাজনৈতিক ও কর্মজীবন, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, নির্মম হত্যাকান্ডসহ অনেক কিছুই। তাদের শিক্ষক শরিফুল আযম তুষার তাদের এ বিষয়ে সব সময় সহযোগিতা করেছেন।
কলেজের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক শরিফুল আযম তুষার জানান, বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতেই হয়। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর কারও ভালো হয়, কারও খারাপ। যার খারাপ হয় সে বুঝতে পারেনা কেন খারাপ হলো। এই অ্যপসটির মাধ্যমে যে কোনো ছাত্র-ছাত্রী তার মেধা যাচাইয়ের সুযোগ পাবে। কোথায় তার ভুল কোথায় তার দুর্বলতা সে নিজেই বুঝতে পারবে। তবে অ্যপস দুটি আরও উন্নয়নের জন্য প্রচুর মেধা, শ্রম, সময় প্রয়োজন। সেই সাথে আর্থিক বিষয়তো রয়েছেই।
কালুখালী কলেজের কয়েক শিক্ষার্থী তৈরি করেছে ডজিটাল সংকেত এর সাহায্যে অন্ধজনে পথচলা যন্ত্র। কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্রী তৈমুন আক্তার মীম জানান, ডিজিটাল সংকেত এর সাহায্যে অন্ধজনে পথচলা যন্ত্রটির মাধ্যমে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সহজেই পথ চলতে পারবে। লাঠির সঙ্গে যন্ত্রটি যুক্ত থাকলে সামনে কেউ এসে পড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত দেবে। এ যন্ত্রটিতে রয়েছে ৯ ভোল্টের একটি ব্যাটারী, সুইচ, ফিলামেন্ট তার, আরডি ন্যানো প্রসেসর, বার্জার এবং সেন্সর। তাদের শিক্ষক অমরেশ সাহার অনুপ্রেরণায় তারা এটি করতে সক্ষম হয়েছেন। সে আরও জানায়, এটি খুব বেশি ব্যয়বহুল নয়। একটি লাঠির সাথে মেশিনটি যুক্ত করতে এক হাজার টাকার মত খরচ পড়ে।
বালিয়াকান্দির নারুয়া লিয়াকত আলী স্কুল এন্ড কলেজের গণিত শিক্ষক বেলাল উদ্দিন আহমেদ তৈরি করেছেন ডিজিটাল ক্লাস ম্যানেজমেন্ট বেল। বেলাল উদ্দিন জানান, এই বেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। প্রতি পিরিয়ডের পর এটি নির্দিষ্ট সময়ে সংকেত দেবে। অ্যসেম্বলি সময়ে জানিয়ে দেবে। এতে করে সময়ের অপচয় হবেনা। বাড়তি জনবলের দরকার হবেনা।
পাংশা সরকারি কলেজের ছাত্র সামি, মামুন, সৈকত, তাওহিদ আবিষ্কার করেছে লাইফাই ও ইলেক্ট্রপ্লেটিং।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে শুক্র ও শনিবার দুদিন ব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।