গোয়ালন্দে প্রতিবন্ধী নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- প্রকাশের সময় : ০৬:২৫:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
- / 186
জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দে প্রতিবন্ধী নেতা শহিদ শেখের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাতসহ যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। থ্রী স্টার প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার বহিষ্কৃত সভাপতি শহিদ শেখের বিরুদ্ধে রোববার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পৌরসভার সামনে মানববন্ধন করেছে শতাধিক প্রতিবন্ধী নারী পুরুষ।
মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী প্রতিবন্ধীরা জানান, শহিদ শেখ সংগঠনের সভাপতি থাকাকালীন প্রায় সাড়ে ৪শ সদস্যের আড়াই বছরের সঞ্চয় অন্তত সাড়ে ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অসহায় প্রতিবন্ধীরা অনেক কষ্ট করে ওই সঞ্চয় জমা করেছিল। শুধু তাই নয় তিনি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে প্রতিবন্ধীদের বরাদ্দকৃত ঘর দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া শহিদ শেখের বিরুদ্ধে অসহায় এক প্রতিবন্ধীর মা’কে যৌনহয়রানীর মত গুরুতর অভিযোগও করেন তারা।
হুসাইন নামের একজন প্রতিবন্ধী জানান, সরকার থেকে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিবন্ধী নেতা হিসেবে শহিদ শেখকে নাম দেয়ার দায়িত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রফিকুল ইসলাম। কিন্তু শহিদ শেখ ১০টি জায়গায় ২০ জনের নিকট থেকে সরকারী ঘর দেয়ার কথা বলে ১০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। পরে তারা জানতে পারেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) খুবই সৎ মানুষ তিনি কোন টাকা পয়সা নেননি।
ইয়াসিন সরদার নামের এক ব্যাক্তি জানান, ঘর দেয়ার কথা বলে শহিদ শেখ তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। রাহেলা বেগম নামের অপর প্রতিবন্ধি বলেন, ঘর দেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। এরকম অভিযোগ করেন মানববন্ধনে অংশনেয়া আরো অনেক প্রতিবন্ধী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ শেখ বলেন, এক প্রতিবন্ধীর মাকে যৌনহয়রানীর অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন অভিযোগ করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধীদের সঞ্চয়ের টাকা আমি আত্মসাত করিনি। কোন সদস্য যদি তার সঞ্চয়ের টাকা ফেরত চায় তাহলে দিয়ে দেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমার নাম ব্যবহার করে টাকা গ্রহনের বিষয়টি ৭জন প্রতিবন্ধী লিখিত অভিযোগ করেছিল। আমি শহিদ শেখকে ডেকে এসে ইতিমধ্যে ৫ জনের টাকা ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। অপরদের কাছ থেকে টাকা গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তাই তাদের আদালতে মামলা দায়ের করতে বলেছি।