Dhaka ১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কঠোর লকডাউনেও দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • / 195

জনতার আদালত অনলাইন ॥ কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন রবিবারও মহাসড়কে দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দেশের অত্যন্ত ব্যাস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় ঘাটে অনেকটা ফাঁকা অবস্থায় ফেরিগুলোকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিভিন্ন উপায়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা সাধারন যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এ সময় ঘাট সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, রাতের বেলায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরো বেশি থাকে। সরেজমিন রবিবার বেলা ১২ টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে এমন চিত্র দেখা যায়।

জানা যায়, কঠোর বিধি-নিষেধের তৃতীয় দিন রবিবার ভোর থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকামুখি যাত্রীদের চাপ সৃষ্টি হয়। এ সকল যাত্রীরা মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, থ্রীহুইলাসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে আসেন। অনেক যাত্রীকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেটে ফেরি ঘাটে পৌছাতে দেখা যায়।

এক্ষেত্রে তাদেরকে পথে পথে পুলিশের বাঁধা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘাটে পৌঁছানোর পরও তারা ম্যাজিস্ট্রেটের জেরার মুখে পড়ছেন। এদিকে জরুরি পারাপারের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার এ নৌরুটে ৯টি ফেরি চালু রয়েছে। একেকটি ফেরি ঘাটে পৌছানো মাত্রই  আগে থেকে ঘাটে জমে থাকা যাত্রী ও যানবাহন ফেরিতে উঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয়। এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি।

বেলা ১২ টায় দৌলতদিয়ার ৬নং ঘাটে দেখা যায়, পাটুরিয়া ছেড়ে আসা হাসনাহেনা নামের একটি ছোট ফেরিতে বিশকিছু গাড়ী ও যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়তে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কয়েকটি জরুরি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ সময় ওই ঘাটে ঢাকামুখি শতাধিক অপেক্ষমান যাত্রী ফেরিতে উঠার চেষ্টা করলেও সেখানে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যাতিত সকলকে আটকে দেন।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার দেশ ও দেশের মানুষের  বৃহত্তর স্বার্থে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। এটা আমাদের সকলকে মেনে চলা উচিত। পরে পাশের ৫ নং ঘাটে আসা রোরো ফেরি ভাষা শহীদ বরকত যোগে যাত্রীরা নদী পার হন।

মাগুরার মুহম্মদপুর হতে আসা রবিন শেখ বলেন, তিনি ঢাকা উত্তরা একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। তার অফিস খুলেছে। কিন্তু আমি যেতে পারিনি। সোমবার হতে অফিস করতেই হবে। তাই কঠোর লকডাউনের মধ্যে অনেক ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়েছি।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে থানা পুলিশ মহাসড়ক ও দৌলতদিয়া ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে।

বিআইডবি¬উটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলে মোট ১৬ টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে জরুরি পারাপারের জন্য ৯ টি ফেরি চালু রেখে অবশিষ্ট ৭ টি ফেরি ঘাটে বেঁধে রাখা হয়েছে। চালু ফেরিগুলো ঘাটে আসা জরুরি যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপার করছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

কঠোর লকডাউনেও দৌলতদিয়ায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ

প্রকাশের সময় : ০৭:১০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন রবিবারও মহাসড়কে দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে দেশের অত্যন্ত ব্যাস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় ঘাটে অনেকটা ফাঁকা অবস্থায় ফেরিগুলোকে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিভিন্ন উপায়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা সাধারন যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। এ সময় ঘাট সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, রাতের বেলায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরো বেশি থাকে। সরেজমিন রবিবার বেলা ১২ টা হতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে এমন চিত্র দেখা যায়।

জানা যায়, কঠোর বিধি-নিষেধের তৃতীয় দিন রবিবার ভোর থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকামুখি যাত্রীদের চাপ সৃষ্টি হয়। এ সকল যাত্রীরা মোটরসাইকেল, অটোরিক্সা, থ্রীহুইলাসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে আসেন। অনেক যাত্রীকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেটে ফেরি ঘাটে পৌছাতে দেখা যায়।

এক্ষেত্রে তাদেরকে পথে পথে পুলিশের বাঁধা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এছাড়া ঘাটে পৌঁছানোর পরও তারা ম্যাজিস্ট্রেটের জেরার মুখে পড়ছেন। এদিকে জরুরি পারাপারের জন্য বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার এ নৌরুটে ৯টি ফেরি চালু রয়েছে। একেকটি ফেরি ঘাটে পৌছানো মাত্রই  আগে থেকে ঘাটে জমে থাকা যাত্রী ও যানবাহন ফেরিতে উঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে দেয়। এ ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি।

বেলা ১২ টায় দৌলতদিয়ার ৬নং ঘাটে দেখা যায়, পাটুরিয়া ছেড়ে আসা হাসনাহেনা নামের একটি ছোট ফেরিতে বিশকিছু গাড়ী ও যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়তে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর কয়েকটি জরুরি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ সময় ওই ঘাটে ঢাকামুখি শতাধিক অপেক্ষমান যাত্রী ফেরিতে উঠার চেষ্টা করলেও সেখানে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যাতিত সকলকে আটকে দেন।

এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার দেশ ও দেশের মানুষের  বৃহত্তর স্বার্থে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। এটা আমাদের সকলকে মেনে চলা উচিত। পরে পাশের ৫ নং ঘাটে আসা রোরো ফেরি ভাষা শহীদ বরকত যোগে যাত্রীরা নদী পার হন।

মাগুরার মুহম্মদপুর হতে আসা রবিন শেখ বলেন, তিনি ঢাকা উত্তরা একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। তার অফিস খুলেছে। কিন্তু আমি যেতে পারিনি। সোমবার হতে অফিস করতেই হবে। তাই কঠোর লকডাউনের মধ্যে অনেক ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হয়েছি।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে থানা পুলিশ মহাসড়ক ও দৌলতদিয়া ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে।

বিআইডবি¬উটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলে মোট ১৬ টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে জরুরি পারাপারের জন্য ৯ টি ফেরি চালু রেখে অবশিষ্ট ৭ টি ফেরি ঘাটে বেঁধে রাখা হয়েছে। চালু ফেরিগুলো ঘাটে আসা জরুরি যানবাহন ও যাত্রীদের পারাপার করছে।