নতুন করে লকডাউন ঘোষণায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে মানুষের ঢল
- প্রকাশের সময় : ০৭:১০:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুন ২০২১
- / 205
জনতার আদালত অনলাইন ॥ নতুন করে মহামারি করোনা ভাইরাস ভয়ঙ্কর রূপ নেয়ায় তা প্রতিরোধে আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ ঘোষণায় শনিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের ঢল নামে। কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মানুষ ছুটেছে সুবিধাজনক স্থানের উদ্দেশ্যে।
সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা ও আশেপাশের জেলার কর্মজীবী হাজার হাজার মানুষ পাটুরিয়া থেকে ফেরিতে গাদাগাদি করে দৌলতদিয়া আসছেন। এসময় আগত মানুষ দৌলতদিয়া এসে গণপরিহন বন্ধ থাকায় গন্তব্যে যেতে চরম বিরম্বনার শিকার হন। অতিরিক্ত কয়েকগুন বেশি ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেল, মাহিন্দ্র, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে যাত্রীরা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। অপরদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষও ঢাকায় ফিরছে। তবে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় প্রাইভেটকারের চাপ থাকলেও দুরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় নেই কোন সিরিয়াল। পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় সরাসরি ফেরিতে উঠতে কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না যাত্রী ও যানবাহনের। যাতায়াতকারী যাত্রীদের বেশীর ভাগেরই মুখে নেই মাক্স। আবার কারো কারো মাক্স থাকলেও ত যথাযথ ভাবে পড়েননি। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কোন তৎপরতাও দেখা যায়নি।
ঢাকা থেকে যশোরের উদ্দেশ্যে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তা ধারনা করতে পারছি না, তাই আগে থেকেই বাড়ি ফিরছি। গাবতলী থেকে ৫শ টাকা ভাড়া দিয়ে মটরসাইকেলে করে পাটুরিয়া এসে ফেরিতে করে ঘাটে এসেছি। এখান থেকে ১হাজার টাকা মটরসাইকেল ভাড়া করেছি বাড়ি যাওয়ার জন্য।
মাগুরা থেকে ঢাকাগামী রাসেল আহমেদ জানান, ‘ঢাকায় একটি বেসরকারী কোম্পানীতে কাজ করি। গত সপ্তাহের লকডাউন ঘোষনার পর বাড়িতে এসেছিলাম। এবারের ঘোষিত কঠোর লকডাউন কবে শেষ হবে ঠিক নেই। এলাকার পরিস্থিতিও ভালো না। এলাকায় বসে থাকলে পেট চলবে না, তাই কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছি। তিনি আরো জানান, একদিকে প্রচন্ড গরম, অপরদিকে পথে পথে ভোগান্তি, এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি তো অনেক দুরের কথা, যে মাক্সটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম তা কোথায় চলে গেছে তারইতো খবর নেই।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, বর্তমানে এ নৌরুটে ১৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সকল ফেরি চলাচল করায় যাত্রীরা ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। তাছাড়া যাত্রী পারাপার বন্ধে আমাদের কোন নির্দেশনা নেই।