রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী মর্জি
- প্রকাশের সময় : ১১:০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ২১৭৫ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আসন্ন। খুব শিগগরিই কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা হতে পারে। আগামী জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সিনিয়র সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী মর্জি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত আকবর আলী মর্জি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন তার। এ জেলার শিক্ষা বিস্তারে গড়ে তুলেছেন একাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। রাজবাড়ীর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবেও সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও সুনাম রয়েছে তার।
রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ওই কলেজের জিএস ও ক্রীড়া সম্পাদক পদেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত হন ভিপি পদে। ১৯৭২ সালে ঢাকা সিটি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মনোনীত হন। ছাত্রজীবনেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদ করায় তাকে ২২ মাস কারাভোগ করতে হয়। ১৯৭৬ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ মনোনীত হন। পরবর্তীতে যুবলীগে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হন । ১৯৯০ সালে স্বেরাচারবিরোধী আন্দোলন বেগবান ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখেন। নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি। আজও অবধি তিনি একই পদে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
একজন ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও সফল তিনি। ১৯৭৩ সালে আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সদস্য তিনি। ঢাকা প্রান্তিক ক্লাবের তিন বার সভাপতি। ধানমন্ডি শেখ জামাল ক্লাবের পরিচালক (প্রশাসন) ইনডোর গেমস ইনচার্জ।
এলাকার শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠা করেন মুচিদহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা, গঙ্গাপ্রসাদপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী মর্জি উচ্চ বিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা মর্জি-দেলোয়ারা কলেজ।
২০১৫ সালে রাজবাড়ী জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজের আট শতাংশ জমি দান করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন।
২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রশাসক থাকাকালীন জেলার বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন মূলক ৮৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করেছেন। এছাড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানসহ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।