Dhaka ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে শিশু সুরক্ষায় আলোচনা সভা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫৫৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ দরিদ্র জনগোষ্ঠির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজবাড়ী কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা(কেকেএস) এর উদ্যোগে  মঙ্গলবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আলীমুর রেজা। রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেকেএস এর নির্বাহী পরিচালক ফকীর আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, কেকেএস এর সহকারী নির্বাহী পরিচালক ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন, প্রকল্প কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, কেকেএস দীর্ঘদিন যাবৎ শিশু অধিকার বাস্তবায়ন, শিশুর সুষ্ঠু বিকাশ ও তাদের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষে কাজ করে চলেছে। এসব শিশুদের সর্বোচ্চ সুরক্ষার জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্লান ইন্টারন্যাশনাল ওয়াই মুভস প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের অধীনে তারা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌছাতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেকেএস এর নির্বাহী পরিচালক ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, শিশু মন কাদা মাটির মত। তাকে  যে ভাবে গড়া যাবে সে ভাবে গড়ে উঠবে। তিনি একটা সুন্দর উদাহরণের মাধ্যমে শিশু মনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন। সকল শিশুর প্রতি ভালো আচরণ করার জন্য সকলকে আহ্বান জানান। কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থার সহকারী নির্বাহী পরিচালক

 ফকীর জাহিদুল ইসলাম বলেন, কেকেএস ওয়াই মুভস প্রকল্প বাস্তবায়নে দৌলতদিয়ার পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল সিএসওদের কাছে অনুরোধ রাখেন তারা যেন ঐ শিশুদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। শিশুরা যাতে নির্যাতন মুক্ত পরিবেশে বড় হয়, সে দিকে আমাদের সকলের খেয়াল রাখতে হবে।  কেকেএস সেফ হোম প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা জনাব আমজাদ হোসেন সেফগার্ডিং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। কারো দ্বারা কোন শিশুর নির্যাতনের ঘটনা যেন না ঘটে সে দিকে সবার দৃষ্টি থাকতে হবে। সেফগার্ডিং এবং চাইল্ড প্রটেকশন সবাই কে মেনে চলার আহ্বান জানান।

প্রকল্প কর্মকর্তা পথিক পাল সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান দৌলতদিয়ার প্রতিটি ক্লিনিকে ও হাসপাতালে শিশু ও যুবদের জন্য রিপ্রডাকটিভ হেলথ স্বাস্থ্যসেবার কর্ণার খোলার জন্য বলেন।

 শিক্ষা অফিসার বলেন এ ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করব। শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সকলকে অনুরোধ করেন এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা আপনাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে শিশু সুরক্ষায় আলোচনা সভা

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ দরিদ্র জনগোষ্ঠির সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজবাড়ী কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা(কেকেএস) এর উদ্যোগে  মঙ্গলবার সকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আলীমুর রেজা। রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেকেএস এর নির্বাহী পরিচালক ফকীর আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, কেকেএস এর সহকারী নির্বাহী পরিচালক ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন, প্রকল্প কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, কেকেএস দীর্ঘদিন যাবৎ শিশু অধিকার বাস্তবায়ন, শিশুর সুষ্ঠু বিকাশ ও তাদের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষে কাজ করে চলেছে। এসব শিশুদের সর্বোচ্চ সুরক্ষার জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্লান ইন্টারন্যাশনাল ওয়াই মুভস প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের অধীনে তারা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌছাতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কেকেএস এর নির্বাহী পরিচালক ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, শিশু মন কাদা মাটির মত। তাকে  যে ভাবে গড়া যাবে সে ভাবে গড়ে উঠবে। তিনি একটা সুন্দর উদাহরণের মাধ্যমে শিশু মনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন। সকল শিশুর প্রতি ভালো আচরণ করার জন্য সকলকে আহ্বান জানান। কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থার সহকারী নির্বাহী পরিচালক

 ফকীর জাহিদুল ইসলাম বলেন, কেকেএস ওয়াই মুভস প্রকল্প বাস্তবায়নে দৌলতদিয়ার পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল সিএসওদের কাছে অনুরোধ রাখেন তারা যেন ঐ শিশুদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। শিশুরা যাতে নির্যাতন মুক্ত পরিবেশে বড় হয়, সে দিকে আমাদের সকলের খেয়াল রাখতে হবে।  কেকেএস সেফ হোম প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা জনাব আমজাদ হোসেন সেফগার্ডিং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। কারো দ্বারা কোন শিশুর নির্যাতনের ঘটনা যেন না ঘটে সে দিকে সবার দৃষ্টি থাকতে হবে। সেফগার্ডিং এবং চাইল্ড প্রটেকশন সবাই কে মেনে চলার আহ্বান জানান।

প্রকল্প কর্মকর্তা পথিক পাল সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানান দৌলতদিয়ার প্রতিটি ক্লিনিকে ও হাসপাতালে শিশু ও যুবদের জন্য রিপ্রডাকটিভ হেলথ স্বাস্থ্যসেবার কর্ণার খোলার জন্য বলেন।

 শিক্ষা অফিসার বলেন এ ব্যাপারে আমরা সহযোগিতা করব। শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সকলকে অনুরোধ করেন এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা আপনাদের জায়গা থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন।