রাজবাড়ীতে বেরিবাঁধ ফুটো হয়ে বন্যার পানি লোকালয়ে ॥ আতঙ্কে এলাকাবাসী
- প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
- / ১৫১০ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ বেরিবাঁধ ফুটো হয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। এতে শহর রক্ষা বাঁধ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িঘরি করে বালির বস্তা ফেলে ফুটো বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ি গ্রামে। বুধবার সকালে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যড. ইমদাদুল হক বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ইঁদুরে বাঁধ ফুটো করার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেরিবাঁধের এক পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চলছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ৫০ মিটার জুড়ে দেয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। জানা গেছে, দুদিন আগে বাঁধটি ফুটো হয়ে বাঁধের দক্ষিণ পাশে হাকিম মিয়ার বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করে। হাকিম মিয়ার বাড়িতে এখন থৈথৈ পানি। সেখানেও বালির বস্তা ফেলেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
হাকিম মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম জানান, দুদিন আগে হঠাৎ করে ঘরের নিচ দিয়ে পানি আসতে শুরু করে। সেখানে নিজেরাই বন্ধ করার পর তার উপর দিয়ে আসতে শুরু করে। উপরে আটকানোর পরও পানি আসা বন্ধ হয়নি। পরে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে জানান।
এলাকার নজরুল ব্যাপারী, ইসলাম সহ অনেকেই জানান, বন্যার পানি একটু বেশি হলেই এভাবেই ছিদ্র হয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। এতে করে তারা আতঙ্কিত। বেরিবাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। তারা বেরিবাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে কাজের তদারিকতে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট সাগর জানান, বেরিবাঁধ ফুটো হয়ে যাওয়ায় যে বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে সেখানে একটু কূপ বানিয়ে পানির লেবেল করা হয়েছে। এরপর বাঁধের উত্তর পাশে বাঁশের বেড়া দেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, বাঁধের ওই স্থানে ইঁদুর ফুটো করেছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখান দিয়ে পানি ঢুকে গেছে। চারশ বস্তা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান মেরামত করা হয়েছে। বাঁধের অন্যান্য স্থানও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কোথাও এমন সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি এখন অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। বাঁধ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।