Dhaka ১২:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ ॥ কন্যা সন্তান জন্ম দিলো কিশোরী

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০
  • / ১৩৯৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

জনতার আদারত অনলাইন : বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের ফলে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে  ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। সামাজিক লাজলজ্জার ভয়ে ওই কিশোরী এখন বাইরে বের হতে পারছেনা। হুমকির মুখে পড়েছে তার শিক্ষাজীবন। নবজাতকের পিতৃ পরিচয় কী হবে তা নিয়ে কিশোরী ও তার স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে ঘোর অমানিশা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে। কিশোরীর দাবি আকিদুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আকিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। আকিদুল একই উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের  বড়হিজলী গ্রামের আয়ুব আলী সরদারের ছেলে। সে মীর মশাররফ হোসেন কলেজের ছাত্র। মামলার পর থেকে পলাতক সে। নিপীড়নের শিকার কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

ওই কিশোরী জানায়, দেড় বছর আগে আকিদুলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদিন রাতে তার সাথে দেখা করার জন্য বাড়ির অদূরে পুকুরে চালায় ডেকে নেয়। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেয়। ভয়ে কাউকে সে বিষয়টি আর বলেনি। পরে আকিদুলকে বিয়ের কথা বললেও আর কর্ণপাত করেনি।

ওই ছাত্রীর নানা জানান, তার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছিল তার নাতনী। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। বালিয়াকান্দি হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করে জানা যায় সে অন্ত¡সত্ত্বা। তখন যেন মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্থা। তার নাতনীর কাছে জানতে চাইলে সে সব খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে আকিদুলের বাবার কাছে গেলে সে দেখবেন বলে জানালেও আর কিছুই করেনি। বাধ্য হয়ে তারা থানায় মামলা করেছেন। গত ৮ মে তারিখে রাজবাড়ীর একটি ক্লিনিকে তার নাতনী কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। দুটি জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুরো পরিবার এখন চোখে অন্ধকার দেখছে।

অভিযুক্ত আকিদুলের বাবা ইউপি মেম্বার আইয়ুব আলী সরদারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি যখন জানতে পারলাম তখন এলাকার বহু লোকজন নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু এরকম কোনো সাক্ষী প্রমাণ পাইনি। সবাই না বলেছে। তারপরও পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং তদন্তে যদি আমার ছেলে দোষী হয় তাহলে আমি ব্যবস্থা নেব।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, এঘটনায় আকিদুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ আকিদুলকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

 বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ ॥ কন্যা সন্তান জন্ম দিলো কিশোরী

প্রকাশের সময় : ১১:৩৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

 

জনতার আদারত অনলাইন : বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের ফলে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে  ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। সামাজিক লাজলজ্জার ভয়ে ওই কিশোরী এখন বাইরে বের হতে পারছেনা। হুমকির মুখে পড়েছে তার শিক্ষাজীবন। নবজাতকের পিতৃ পরিচয় কী হবে তা নিয়ে কিশোরী ও তার স্বজনদের মধ্যে বিরাজ করছে ঘোর অমানিশা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে। কিশোরীর দাবি আকিদুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে আকিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা করেছেন। আকিদুল একই উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের  বড়হিজলী গ্রামের আয়ুব আলী সরদারের ছেলে। সে মীর মশাররফ হোসেন কলেজের ছাত্র। মামলার পর থেকে পলাতক সে। নিপীড়নের শিকার কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

ওই কিশোরী জানায়, দেড় বছর আগে আকিদুলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একদিন রাতে তার সাথে দেখা করার জন্য বাড়ির অদূরে পুকুরে চালায় ডেকে নেয়। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেয়। ভয়ে কাউকে সে বিষয়টি আর বলেনি। পরে আকিদুলকে বিয়ের কথা বললেও আর কর্ণপাত করেনি।

ওই ছাত্রীর নানা জানান, তার বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছিল তার নাতনী। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। বালিয়াকান্দি হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করে জানা যায় সে অন্ত¡সত্ত্বা। তখন যেন মাথায় বাজ পড়ার মত অবস্থা। তার নাতনীর কাছে জানতে চাইলে সে সব খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে আকিদুলের বাবার কাছে গেলে সে দেখবেন বলে জানালেও আর কিছুই করেনি। বাধ্য হয়ে তারা থানায় মামলা করেছেন। গত ৮ মে তারিখে রাজবাড়ীর একটি ক্লিনিকে তার নাতনী কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। দুটি জীবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে পুরো পরিবার এখন চোখে অন্ধকার দেখছে।

অভিযুক্ত আকিদুলের বাবা ইউপি মেম্বার আইয়ুব আলী সরদারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি যখন জানতে পারলাম তখন এলাকার বহু লোকজন নিয়ে বসেছিলাম। কিন্তু এরকম কোনো সাক্ষী প্রমাণ পাইনি। সবাই না বলেছে। তারপরও পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং তদন্তে যদি আমার ছেলে দোষী হয় তাহলে আমি ব্যবস্থা নেব।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, এঘটনায় আকিদুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ আকিদুলকে গ্রেপ্তারের জন্য একাধিকবার চেষ্টা চালায়। কিন্তু পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।