Dhaka ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মায় ভেসে যাওয়া দম্পতির সন্ধান মেলেনি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯
  • / ১৮১৬ জন সংবাদটি পড়েছেন


জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ভেসে যাওয়া নবদম্পতি ইমন ও আঞ্জুমের সন্ধান মেলেনি। তাদের খোঁজ পেতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। তরতাজা দুটি প্রাণের এভাবে পদ্মায় নিখোঁজ হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দৌলতদিয়ার ৩নং ফেরিঘাট এলাকায় রোববার (২১ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে গোসল করতে নেমে তারা তীব্র ¯্রােত ও ঘুর্ণিপাকে পড়ে ভেসে যান।
মাস ছয়েক আগে একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল ইমন (২২) ও আঞ্জুম (১৮)। ইমনের পরিবার এ বিয়ে মেনে না নিলেও দুজনের সংসার জীবনে সুখের তেমন ঘাটতি ছিল না। কিন্তু সে সুখ বেশী দিন টিকলো না। আঞ্জুমের চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে তারা গোসল করতে যায় পদ্মা নদীতে। পদ্মার তীব্র ¯্রােতের টানে ভেসে যায় তারা।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ দম্পতির সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও ডুবুরী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছে। নদীতে তীব্র ¯্রােত থাকায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেও আমরা ট্রলার ও স্পীডবোড নিয়ে ভাটিতে ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জের শেষ সীমানা পর্যন্ত তল্লাশী চালিয়েছি। কিন্তু তাদের কোন সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ দম্পতির স্বজনরা জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইজারা পাড়া গ্রামের আজিম শেখের মেয়ে আঞ্জুম ও মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার তৌফিকচর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ইমন। গত শুক্রবার আঞ্জুমের চাচাত বোন দৌলতদিয়া ৩নং ফেরিঘাট এলাকার আবু সাইদের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তারা এ এলাকায় এসেছিল। রোববার দুপুর ২টার দিকে বিয়ে বাড়ি থেকে তারা ১০/১২ জন মিলে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যান। এসময় একটি ফেরি তাদের পাশদিয়ে চলে গেলে যে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় এতে প্রথমে আঞ্জুম কিছুটা নদীর ভেতরে চলে যায়। আঞ্জুম যখন নদীর তীব্র ¯্রােতে ভেসে যাচ্ছিল তাকে উদ্ধার করতে ইমন এগিয়ে যায়। এরপর তারা দুজনই মুহুর্তের মধ্যে নদীর তীব্র ¯্রােত ও প্রচন্ড ঘুর্ণিপাকে পরে তলিয়ে যায়।
নিখোঁজ আঞ্জুমের চাচা আবু সাইদ বলেন, ‘আমার ভাতিজী ও ভাতিজী জামাই আমার বাড়িতে বেড়াতে এসে এ ঘটনার শিকার হয়েছে। এটা আমার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অন্তত পক্ষে তাদের লাশটিও যদি পেতাম তবুও কিছুটা শান্তনা পেতাম।’
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁরির ওসি মো. লাবু মিয়া জানান, নিখোঁজের পর থেকে পদ্মায় বিভিন্ন ভাবে তাদের সন্ধান পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে পদ্মা পাড়ের ভাটি এলাকার বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পদ্মায় ভেসে যাওয়া দম্পতির সন্ধান মেলেনি

প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯


জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ভেসে যাওয়া নবদম্পতি ইমন ও আঞ্জুমের সন্ধান মেলেনি। তাদের খোঁজ পেতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। তরতাজা দুটি প্রাণের এভাবে পদ্মায় নিখোঁজ হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দৌলতদিয়ার ৩নং ফেরিঘাট এলাকায় রোববার (২১ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে গোসল করতে নেমে তারা তীব্র ¯্রােত ও ঘুর্ণিপাকে পড়ে ভেসে যান।
মাস ছয়েক আগে একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল ইমন (২২) ও আঞ্জুম (১৮)। ইমনের পরিবার এ বিয়ে মেনে না নিলেও দুজনের সংসার জীবনে সুখের তেমন ঘাটতি ছিল না। কিন্তু সে সুখ বেশী দিন টিকলো না। আঞ্জুমের চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে তারা গোসল করতে যায় পদ্মা নদীতে। পদ্মার তীব্র ¯্রােতের টানে ভেসে যায় তারা।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার আব্দুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ দম্পতির সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও ডুবুরী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়েছে। নদীতে তীব্র ¯্রােত থাকায় উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেও আমরা ট্রলার ও স্পীডবোড নিয়ে ভাটিতে ফরিদপুর ও মানিকগঞ্জের শেষ সীমানা পর্যন্ত তল্লাশী চালিয়েছি। কিন্তু তাদের কোন সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ দম্পতির স্বজনরা জানান, রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইজারা পাড়া গ্রামের আজিম শেখের মেয়ে আঞ্জুম ও মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার তৌফিকচর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ইমন। গত শুক্রবার আঞ্জুমের চাচাত বোন দৌলতদিয়া ৩নং ফেরিঘাট এলাকার আবু সাইদের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তারা এ এলাকায় এসেছিল। রোববার দুপুর ২টার দিকে বিয়ে বাড়ি থেকে তারা ১০/১২ জন মিলে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যান। এসময় একটি ফেরি তাদের পাশদিয়ে চলে গেলে যে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় এতে প্রথমে আঞ্জুম কিছুটা নদীর ভেতরে চলে যায়। আঞ্জুম যখন নদীর তীব্র ¯্রােতে ভেসে যাচ্ছিল তাকে উদ্ধার করতে ইমন এগিয়ে যায়। এরপর তারা দুজনই মুহুর্তের মধ্যে নদীর তীব্র ¯্রােত ও প্রচন্ড ঘুর্ণিপাকে পরে তলিয়ে যায়।
নিখোঁজ আঞ্জুমের চাচা আবু সাইদ বলেন, ‘আমার ভাতিজী ও ভাতিজী জামাই আমার বাড়িতে বেড়াতে এসে এ ঘটনার শিকার হয়েছে। এটা আমার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অন্তত পক্ষে তাদের লাশটিও যদি পেতাম তবুও কিছুটা শান্তনা পেতাম।’
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁরির ওসি মো. লাবু মিয়া জানান, নিখোঁজের পর থেকে পদ্মায় বিভিন্ন ভাবে তাদের সন্ধান পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ইতিমধ্যে পদ্মা পাড়ের ভাটি এলাকার বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।