Dhaka ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:

ভারতে ছড়াচ্ছে জিবিএস রোগ, প্রথম মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 29

ভারতের মহারাষ্ট্রে স্নায়বিক রোগ গুইলেইন-বাররে সিনড্রোমের (জিবিএস) প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এক ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এ কথা বলেছেন দেশটির স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মহারাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শোলাপুর শহরে এক রোগী মারা গেছেন। ১৬ জন আক্রান্ত ব্যক্তিকে আপাতত ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে।

প্রদেশটিতে জিবিএসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত ১০১ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ সংক্রমণ পুনে শহর ও এর আশপাশেই সীমাবদ্ধ। শহরটি মহারাষ্ট্রের রাজধানী ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ের মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এই রোগের প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে বসে। এরফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণ প্রকাশ পেতে কয়েকদিন বা কয়েকসপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সাধারণত কয়েক সপ্তাহ এর প্রভাব রয়ে যায়।

সংস্থাটি জানিয়েছে, জিবিএসে মারাত্মকভাবে আক্রান্তরাও সাধারণ সেরে ওঠেন। তবে অনেকে আরও বেশকিছুদিন দুর্বলতা বোধ করতে পারেন।

জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জিবিএস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

প্রাভুর্ভাব প্রবণ এলাকায় দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম একটি দল পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রোগ ছড়িয়ে পড়ার পর পুনের অবস্থা পর্যালোচনা করতে সাত সদস্যের একটি দল পাঠিয়েছে সরকার।

জিবিএসের প্রাভুর্ভাবের কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট অবিনাশ ভোন্ডে জানিয়েছেন, জিবিএস একটি সংক্রমণ পরবর্তী অটোইমিউন ডিজিজ। এর প্রাদুর্ভাবের অকস্মাৎ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

অটোইমিউন ডিজিজ হচ্ছে সেসব রোগ, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই তার দেহকে আক্রমণ করে বসে।

অবিনাশ বলেছেন, অটো ইমিউন ডিজিজ ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু যে সংক্রমণের প্রভাবে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, সেটা ছড়িয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ভারতে ছড়াচ্ছে জিবিএস রোগ, প্রথম মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

ভারতের মহারাষ্ট্রে স্নায়বিক রোগ গুইলেইন-বাররে সিনড্রোমের (জিবিএস) প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এক ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এ কথা বলেছেন দেশটির স্বাস্থ্যকর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে মহারাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শোলাপুর শহরে এক রোগী মারা গেছেন। ১৬ জন আক্রান্ত ব্যক্তিকে আপাতত ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে।

প্রদেশটিতে জিবিএসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত ১০১ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ সংক্রমণ পুনে শহর ও এর আশপাশেই সীমাবদ্ধ। শহরটি মহারাষ্ট্রের রাজধানী ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ের মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এই রোগের প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে বসে। এরফলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণ প্রকাশ পেতে কয়েকদিন বা কয়েকসপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সাধারণত কয়েক সপ্তাহ এর প্রভাব রয়ে যায়।

সংস্থাটি জানিয়েছে, জিবিএসে মারাত্মকভাবে আক্রান্তরাও সাধারণ সেরে ওঠেন। তবে অনেকে আরও বেশকিছুদিন দুর্বলতা বোধ করতে পারেন।

জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, জিবিএস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।

প্রাভুর্ভাব প্রবণ এলাকায় দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম একটি দল পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রোগ ছড়িয়ে পড়ার পর পুনের অবস্থা পর্যালোচনা করতে সাত সদস্যের একটি দল পাঠিয়েছে সরকার।

জিবিএসের প্রাভুর্ভাবের কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট অবিনাশ ভোন্ডে জানিয়েছেন, জিবিএস একটি সংক্রমণ পরবর্তী অটোইমিউন ডিজিজ। এর প্রাদুর্ভাবের অকস্মাৎ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

অটোইমিউন ডিজিজ হচ্ছে সেসব রোগ, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই তার দেহকে আক্রমণ করে বসে।

অবিনাশ বলেছেন, অটো ইমিউন ডিজিজ ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু যে সংক্রমণের প্রভাবে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, সেটা ছড়িয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।