Dhaka ১০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়াবাদ, মুজিববাদ—আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 31

আদর্শিক বিভাজন থেকে সবাইকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘জিয়াবাদ বলুন, মুজিববাদ বলুন—আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না৷ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রধান জায়গায় থাকবে জনগণ। জনগণের পক্ষেই আমরা লড়াই করতে চাই।’

বুধবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বক্তৃতামালা অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে ‘১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ: বাংলাদেশের রাজনীতি ও উন্নয়নপন্থায় প্রভাব’ শিরোনামে বক্তৃতা দেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক নাওমি হোসাইন। এটি ছিল জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজনৈতিক বক্তৃতামালা সিরিজের তৃতীয় পর্বের বক্তৃতা।

অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘কোনো আদর্শিক বিভাজনে কেউ যাবেন না। এখানে লাল সন্ত্রাস, নেভি সন্ত্রাস, সবুজ সন্ত্রাস—অনেক সন্ত্রাস আসবে। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর আমরা কোনো জাতিগত বিদ্বেষ চাই না, কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চাই না। আদর্শিক বিভাজন থেকে আমরা সরে আসতে চাই। জিয়াবাদ বলুন, মুজিববাদ বলুন—আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রধান জায়গায় থাকবে জনগণ। জনগণের মূল্যায়নে সংবিধান তৈরি হবে, জনগণকে ফোকাস করে। সেই জনগণের পক্ষে আমরা লড়াই করতে চাই। তাদের কাছেই আমরা যেতে চাই।’

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করে বলেন, একাত্তরের পর জনগণকে অন্ধকারে রেখে একটি সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল, সেই সংবিধানের মধ্য দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করা হয়েছিল। বিভাজনের রাজনীতি যে সংকট তৈরি করেছে, সেই সংকটের একটা পর্যায়ে এসে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান হলো।

বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের শাসনকে ‘অন্ধকার সময়’ বলে উল্লেখ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, সেই সময়ের অজানা অধ্যায়গুলো নিয়ে অনেকে কাজ করছেন। দিন দিন এই বিষয়গুলো মানুষের সামনে ধীরে ধীরে উঠে আসছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে নতুন যে রাজনৈতিক দল আসবে, সেখানে পড়াশোনা ও আলোচনার চর্চা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বক্তৃতা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। সংগঠনের মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহছান, তাজনূভা জাবীন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

জিয়াবাদ, মুজিববাদ—আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

আদর্শিক বিভাজন থেকে সবাইকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘জিয়াবাদ বলুন, মুজিববাদ বলুন—আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না৷ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রধান জায়গায় থাকবে জনগণ। জনগণের পক্ষেই আমরা লড়াই করতে চাই।’

বুধবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক বক্তৃতামালা অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে ‘১৯৭৪-এর দুর্ভিক্ষ: বাংলাদেশের রাজনীতি ও উন্নয়নপন্থায় প্রভাব’ শিরোনামে বক্তৃতা দেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক নাওমি হোসাইন। এটি ছিল জাতীয় নাগরিক কমিটির রাজনৈতিক বক্তৃতামালা সিরিজের তৃতীয় পর্বের বক্তৃতা।

অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘কোনো আদর্শিক বিভাজনে কেউ যাবেন না। এখানে লাল সন্ত্রাস, নেভি সন্ত্রাস, সবুজ সন্ত্রাস—অনেক সন্ত্রাস আসবে। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর আমরা কোনো জাতিগত বিদ্বেষ চাই না, কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চাই না। আদর্শিক বিভাজন থেকে আমরা সরে আসতে চাই। জিয়াবাদ বলুন, মুজিববাদ বলুন—আমরা কোনো বাদ বাংলাদেশে চাই না। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রধান জায়গায় থাকবে জনগণ। জনগণের মূল্যায়নে সংবিধান তৈরি হবে, জনগণকে ফোকাস করে। সেই জনগণের পক্ষে আমরা লড়াই করতে চাই। তাদের কাছেই আমরা যেতে চাই।’

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করে বলেন, একাত্তরের পর জনগণকে অন্ধকারে রেখে একটি সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল, সেই সংবিধানের মধ্য দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করা হয়েছিল। বিভাজনের রাজনীতি যে সংকট তৈরি করেছে, সেই সংকটের একটা পর্যায়ে এসে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান হলো।

বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তরের শাসনকে ‘অন্ধকার সময়’ বলে উল্লেখ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, সেই সময়ের অজানা অধ্যায়গুলো নিয়ে অনেকে কাজ করছেন। দিন দিন এই বিষয়গুলো মানুষের সামনে ধীরে ধীরে উঠে আসছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে নতুন যে রাজনৈতিক দল আসবে, সেখানে পড়াশোনা ও আলোচনার চর্চা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী সদস্য আলাউদ্দীন মোহাম্মদ বক্তৃতা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। সংগঠনের মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহছান, তাজনূভা জাবীন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।