গোয়ালন্দে মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ
- প্রকাশের সময় : ০৯:২১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
- / 10
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মঙ্গলপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, নিয়োগ বানিজ্য, টিউশন ফি আত্মসাৎ,অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রেশন, অতিরিক্ত পরিক্ষা ফি, ও প্রতিষ্ঠানের গাছের ডাল কেটে বিক্রিয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তবে, বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সুপার ইসমাইল হোসেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, গত ২০২৩-২৪ সালের বরাদ্দকৃত মাদ্রাসার উন্নয়ন মূলক কাজের ৫ লাখ টাকার টাকা সঠিক খাতে ব্যয় করা হয়নি। লাইব্রেরি বাবদ ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকার কোন খোঁজ মিলে নাই। মাদ্রাসার উন্নয়ন বাবদ ১লক্ষ ২৫ হাজার ও অন্য অন্য খাতে কোন কাজ করা প্রমান খুঁজে পাওয়া যায় নি। নৈশ্যপহরীকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে তাকে দিয়ে ডিউটি না করিয়ে বেতন ভাগাভাগির পর মাদ্রাসার ফ্যান চুরি হওয়ার পর টনক নড়লে তাকে দিয়ে ডিউটি দায়িত্ব পালন করানো হয়। শিক্ষাক ও শিক্ষার্থীর ক্ষুব্ধ সুপারে কার্যকর কলাপ নিয়ে। আরো অন্য অন্য খাতে শেষ নেই অনিয়মের অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার শিক্ষক বলেন, আমি মাদ্রাসায় এক যুগের বেশি শিক্ষকতা করছি। এখনও আমিসহ বাকি শিক্ষাকদের সরকারি ভাতা শিক্ষদের জন্য যে টিউশন র্ফি ভাতা দেওয়া হয়। তা এখনো পায়নি সুপার মাদ্রাসার কমিটির সাথে লিয়াজু করে তিনি এই টাকা নিজেই আত্নসাৎ করেন। উন্নয়ন বাবদ বরাদ্দ কৃত অর্থের তেমন কোন কাজ হতে দেখি নাই। কিছু দিন আগে মাদ্রাসার সহকারী সুপার নিয়োগে বিষয়টিও আমার জানা নেই। তিনি কোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছেন আমি জানি না। নোটিশ বোর্ডে নোটিশ টানিয়ে দেয় নি। গোপনে তার নিজের প্রাথীকে নিয়োগ দেওয়া জন্য অন্য অন্য পার্থীকে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, তাদের নিকট থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফি ১শত টাকার জায়গায় ৫ শ নেওয়া হয়েছে এছাড়াও অতিরিক্ত পরিক্ষা র্ফি বাবদ ৩৫০ টাকা নেওয়া হয়।
অভিবাবক সুজাদউদ্দিন (সুজাদ) বলেন, সুপার মাদ্রাসার অনিয়মে জড়িত। মাদ্রাসার কমিটির সবাইকে ম্যানেজ করে সব অপকর্ম করে যাচ্ছে। কিছু দিন আগেও মাদ্রাসার গাছের ডাল বিক্রি করছে। মাদ্রাসার নামে যে জমি দিয়েছে সেই জমি মাদ্রাসার এরিয়ার বাহিরে। কোন শিক্ষক সুপারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে বিভিন্ন ভাবে হেরেজমেন্ট করা হয়। মাদ্রাসার বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন বাবদ যে অর্থ বরাদ্দ হয়। সেটা শুধু শোনা যায় বাস্তবে কোন উন্নয়ন হয় না।
কিছু দিন আগেও একটা নিয়োগের বিষয় গোপনীয় ভাবে মাত্র চার জন্য কে দিয়ে আবেদন করিয়েছেন।আমরা কেউই জানতাম না। পরবর্তী ইউএনও স্যার খবর পেয়ে নিয়োগ টি বন্ধ করেছে।
অভিযুক্ত সুপার ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এই সকল অভিযোগ সত্য নয়। নিয়োগের বিষয় সকল শিক্ষাক না জানলেও মাদ্রাসার কমিটি জানেন।
এ বিষয় গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়ন্ত কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, আমি কিছু দিন হলো গোয়ালন্দে যোগদান করেছি। এই বিষয় গুলো আমার জানা ছিল না। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে এই অনিয়মের বিষয় গুলো তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয় গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোঃনাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এই বিষয়গুলো জানা ছিল না। তবে তার বিরুদ্ধে এই সব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা মাধ্যামে বিভাগীয় গ্রহণ করা হবে।