Dhaka ১১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্তান-প্রতিবেশীকে ইসলাম শিক্ষা দেওয়ায় উইঘুর নারীর ১৭ বছরের কারাদণ্ড

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 9

প্রতিবেশী ও সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ায় চীনে ৪৯ বছর বয়সী এক উইঘুর নারীকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সরকার। সেইলিহান রোজি নামের ওই নারীকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জিনজিয়াং প্রদেশের কারাগারে থাকতে হবে তাঁকে। এ ছাড়া তাঁর সন্তানদেরও কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়া বলছে, মুসলিম ওই নারী তাঁর সন্তানকে ধর্মীয় গ্রন্থের আয়াত শেখান বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড অবৈধ। এ কারণে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগারের কোনাশেহের কাউন্টির সেইবাগ গ্রামের বাসিন্দা সেইলিহান রোজি। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার সঙ্গে জড়িত একজন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ধর্মীয় শিক্ষার ওপর চীনের কঠোর বিধানের অধীনে এই ধরনের কার্যকলাপকে বেআইনি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই তিনি এই শাস্তি পেয়েছেন।

এ সংক্রান্ত মামলায় রোজির সন্তানদের একজনকে ১০ বছর ও আরেকজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইয়াকুপ হিদায়েত নামের তাদের এক প্রতিবেশীকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি ৯ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। রোজি ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার সময় তিনি তাতে অংশ নেওয়ায় এই শাস্তি।

এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই ধরনের নীতিগুলো চরমপন্থা, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রকৃত প্রচেষ্টার পরিবর্তে উইঘুর জনগোষ্ঠীর মৌলিক ধর্মীয় অধিকারের ওপর আক্রমণের প্রতিনিধিত্ব করে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সোর্স: রেডিও ফ্রি এশিয়া

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সন্তান-প্রতিবেশীকে ইসলাম শিক্ষা দেওয়ায় উইঘুর নারীর ১৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতিবেশী ও সন্তানদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ায় চীনে ৪৯ বছর বয়সী এক উইঘুর নারীকে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির সরকার। সেইলিহান রোজি নামের ওই নারীকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জিনজিয়াং প্রদেশের কারাগারে থাকতে হবে তাঁকে। এ ছাড়া তাঁর সন্তানদেরও কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়া বলছে, মুসলিম ওই নারী তাঁর সন্তানকে ধর্মীয় গ্রন্থের আয়াত শেখান বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড অবৈধ। এ কারণে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগারের কোনাশেহের কাউন্টির সেইবাগ গ্রামের বাসিন্দা সেইলিহান রোজি। তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলার সঙ্গে জড়িত একজন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ধর্মীয় শিক্ষার ওপর চীনের কঠোর বিধানের অধীনে এই ধরনের কার্যকলাপকে বেআইনি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই তিনি এই শাস্তি পেয়েছেন।

এ সংক্রান্ত মামলায় রোজির সন্তানদের একজনকে ১০ বছর ও আরেকজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইয়াকুপ হিদায়েত নামের তাদের এক প্রতিবেশীকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি ৯ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। রোজি ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার সময় তিনি তাতে অংশ নেওয়ায় এই শাস্তি।

এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই ধরনের নীতিগুলো চরমপন্থা, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রকৃত প্রচেষ্টার পরিবর্তে উইঘুর জনগোষ্ঠীর মৌলিক ধর্মীয় অধিকারের ওপর আক্রমণের প্রতিনিধিত্ব করে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সোর্স: রেডিও ফ্রি এশিয়া