Dhaka ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংকটের বৃত্তেই ১৪ দল, ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে শঙ্কায় নেতারা

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 17

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দীর্ঘ পাঁচ মাস পরেও সংকট কাটেনি তাদের ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের। এই সংকট সহসা কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না সে ব্যাপারেও দলগুলো সন্দিহান।

এভাবে চলতে থাকলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে দলগুলোর নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটে দীর্ঘ দিন থাকলেও এই দলগুলো কিছু কর্মসূচি নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করতো। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু কর্মসূচি আছে। সেসব কর্মসূচির ভিত্তিতে রাজনৈতিক কার্যক্রম চলতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই দলগুলোরও রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে।

১৪ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ ৫ মাস ধরে এই দলগুলোর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই, কোনো কর্মসূচি নিতেও পারছে না। ভয়-ভীতির কারণে তাদের বাধ্য হয়ে অনেকটা রাজনীতির বাইরেই থাকতে হচ্ছে। দলগুলো এখন স্থবির, নিষ্ক্রিয়; এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্তিত্বহীন হয়ে আছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধীরে ধীরে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দলগুলোর নেতা-কর্মীরা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার আগে-পরে পালান সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও বিপর্যয়ে পড়ে। আত্মগোপনে চলে যান জোটের শরিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা।

৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের কথা বলে আসছেন সরকারের উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা। এর ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হয়, যেখানে শেখ হাসিনাসহ তার সরকার, দল ও জোটের অনেক সহযোগীর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য প্রান্তেও শেখ হাসিনার নামে হত্যা মামলা হয়েছে, যেখানে আসামি হয়েছেন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলের অনেক নেতা-কর্মীও।

অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটছে ১৪ দলের শরিকদের নেতা-কর্মীদের। ইতোমধ্যে ওই জোটের বেশ কিছু নেতা গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছেন। তাদের মধ্যে আছেন জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেমন এবং জাসদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

নাম ‘১৪ দল’ হলেও এ জোটে মোট দল আছে ১২টি। আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ছাড়া অন্য দলগুলো হলো ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), সাম্যবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাসদ (রেজাউর রশিদ)।

শেখ হাসিনার সরকার যখন অভ্যুত্থান দমনে বলপ্রয়োগ করছিল, তখন তাদের আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল ১৪ দল। এমনকি আগস্টের প্রথম থেকে তারা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামারও পরিকল্পনা নেয়। যদিও ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটে যায়। মূলত হাসিনার সরকারের দমননীতির পক্ষে এমনভাবে অবস্থান নেওয়ার ফলেই তাদের ওপর ক্ষুব্ধ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ফ্যাসিবাদবিরোধীরা।

ফলে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতাদেরও পড়তে হয় জনরোষে। তারাও গা ঢাকা দেন। এখনো আছেন মামলা আতঙ্কে। পাঁচ মাস পার হওয়ার পরও এই দলগুলোর নেতা-কর্মীদের আতঙ্ক কাটছে না।

দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, জোটের কোনো কোনো দলের কিছু নেতা-কর্মী নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন। কোনো কোনো দল ঘরোয়াভাবে দুই-একটি দিবসভিত্তিক কর্মসূচি স্বল্প পরিসরে ও সংক্ষিপ্তভাবে পালন করছে। তবে সার্বিকভাবে এখনো দলগুলো পরিস্থিতি প্রতিকূলে বলে মনে করছে। সহসা স্বাভাবিক হবে এমন আশাও তারা দেখছে না। সার্বিকভাবে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেও তাদের আশঙ্কা।

১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, জোটের শরিক দলগুলোর জন্য পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি, সহসা আসবে এমনও মনে হচ্ছে না। এই অবস্থার মধ্য দিয়েই দলের নেতা-কর্মীদের চলতে হচ্ছে। আমরা পার্টি অফিসে যাচ্ছি। ঘরোয়াভাবে দুই-একটি দিবসভিত্তিক কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করছি। পার্টির দুই একটি গণসংগঠনও এভাবে কিছু কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে।

জাসদের এক নেতা জানান, দলের কিছু নেতা-কর্মী মাঝেমধ্যে কার্যালয়ে যান। নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখনো ভয় আছে, হামলা বা গ্রেফতার আতঙ্ক আছে। অফিসের ভেতর অল্প পরিসরে দুই-একটি কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা পর্যায়ে এখনো দুই-একজনের নামে মামলা হচ্ছে। সব জায়গায়ই একই অবস্থা চলছে। আপাতত ভালো সময় আসছে না, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে; এটা ধরে নিয়েই চলতে হচ্ছে।

জোট শরিক ন্যাপের এক নেতা বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। পার্টি কোনো রকম টিকে আছে। প্রকাশ্য কার্যক্রম নেই, ভেতরে ভেতরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আমাদের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহসাই অনুকূল হবে বলে মনে হচ্ছে না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে সেটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে।

সূত্র : বাংলা নিউজ

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সংকটের বৃত্তেই ১৪ দল, ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে শঙ্কায় নেতারা

প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দীর্ঘ পাঁচ মাস পরেও সংকট কাটেনি তাদের ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের। এই সংকট সহসা কাটিয়ে উঠতে পারবে কি না সে ব্যাপারেও দলগুলো সন্দিহান।

এভাবে চলতে থাকলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে দলগুলোর নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটে দীর্ঘ দিন থাকলেও এই দলগুলো কিছু কর্মসূচি নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করতো। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু কর্মসূচি আছে। সেসব কর্মসূচির ভিত্তিতে রাজনৈতিক কার্যক্রম চলতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই দলগুলোরও রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে।

১৪ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ ৫ মাস ধরে এই দলগুলোর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই, কোনো কর্মসূচি নিতেও পারছে না। ভয়-ভীতির কারণে তাদের বাধ্য হয়ে অনেকটা রাজনীতির বাইরেই থাকতে হচ্ছে। দলগুলো এখন স্থবির, নিষ্ক্রিয়; এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্তিত্বহীন হয়ে আছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ধীরে ধীরে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দলগুলোর নেতা-কর্মীরা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার আগে-পরে পালান সরকারের অনেক মন্ত্রী-এমপি এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও বিপর্যয়ে পড়ে। আত্মগোপনে চলে যান জোটের শরিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা।

৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের কথা বলে আসছেন সরকারের উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা। এর ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হয়, যেখানে শেখ হাসিনাসহ তার সরকার, দল ও জোটের অনেক সহযোগীর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য প্রান্তেও শেখ হাসিনার নামে হত্যা মামলা হয়েছে, যেখানে আসামি হয়েছেন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলের অনেক নেতা-কর্মীও।

অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটছে ১৪ দলের শরিকদের নেতা-কর্মীদের। ইতোমধ্যে ওই জোটের বেশ কিছু নেতা গ্রেপ্তার হয়ে জেলে আছেন। তাদের মধ্যে আছেন জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেমন এবং জাসদের সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

নাম ‘১৪ দল’ হলেও এ জোটে মোট দল আছে ১২টি। আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ছাড়া অন্য দলগুলো হলো ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, গণতন্ত্রী পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), সাম্যবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাসদ (রেজাউর রশিদ)।

শেখ হাসিনার সরকার যখন অভ্যুত্থান দমনে বলপ্রয়োগ করছিল, তখন তাদের আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল ১৪ দল। এমনকি আগস্টের প্রথম থেকে তারা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামারও পরিকল্পনা নেয়। যদিও ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটে যায়। মূলত হাসিনার সরকারের দমননীতির পক্ষে এমনভাবে অবস্থান নেওয়ার ফলেই তাদের ওপর ক্ষুব্ধ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ফ্যাসিবাদবিরোধীরা।

ফলে ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতাদেরও পড়তে হয় জনরোষে। তারাও গা ঢাকা দেন। এখনো আছেন মামলা আতঙ্কে। পাঁচ মাস পার হওয়ার পরও এই দলগুলোর নেতা-কর্মীদের আতঙ্ক কাটছে না।

দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, জোটের কোনো কোনো দলের কিছু নেতা-কর্মী নিজেদের দলীয় কার্যালয়ে যাচ্ছেন। কোনো কোনো দল ঘরোয়াভাবে দুই-একটি দিবসভিত্তিক কর্মসূচি স্বল্প পরিসরে ও সংক্ষিপ্তভাবে পালন করছে। তবে সার্বিকভাবে এখনো দলগুলো পরিস্থিতি প্রতিকূলে বলে মনে করছে। সহসা স্বাভাবিক হবে এমন আশাও তারা দেখছে না। সার্বিকভাবে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেও তাদের আশঙ্কা।

১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, জোটের শরিক দলগুলোর জন্য পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি, সহসা আসবে এমনও মনে হচ্ছে না। এই অবস্থার মধ্য দিয়েই দলের নেতা-কর্মীদের চলতে হচ্ছে। আমরা পার্টি অফিসে যাচ্ছি। ঘরোয়াভাবে দুই-একটি দিবসভিত্তিক কর্মসূচি পালন করার চেষ্টা করছি। পার্টির দুই একটি গণসংগঠনও এভাবে কিছু কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে।

জাসদের এক নেতা জানান, দলের কিছু নেতা-কর্মী মাঝেমধ্যে কার্যালয়ে যান। নেতা-কর্মীদের মধ্যে এখনো ভয় আছে, হামলা বা গ্রেফতার আতঙ্ক আছে। অফিসের ভেতর অল্প পরিসরে দুই-একটি কর্মসূচি পালন করা হয়। জেলা পর্যায়ে এখনো দুই-একজনের নামে মামলা হচ্ছে। সব জায়গায়ই একই অবস্থা চলছে। আপাতত ভালো সময় আসছে না, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে; এটা ধরে নিয়েই চলতে হচ্ছে।

জোট শরিক ন্যাপের এক নেতা বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। পার্টি কোনো রকম টিকে আছে। প্রকাশ্য কার্যক্রম নেই, ভেতরে ভেতরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আমাদের জন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহসাই অনুকূল হবে বলে মনে হচ্ছে না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে সেটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে।

সূত্র : বাংলা নিউজ