Dhaka ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১১:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ বেশ কুয়াশাচ্ছন্ন। একইসঙ্গে ঢাকার বাতাসও আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। বায়ুদূষণের তালিকায় এক ধাপ নিচে নেমে এলেও, কুয়াশার সঙ্গে বাতাসের এই দূষণ সুস্থ মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২০৫। এছাড়া এই মান নিয়ে সারা বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছে ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বায়ুদূষণের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি। কোনো শহরের বায়ুমান ৩০০ হলে, সেখানকার বাতাস দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। আজ দিল্লির বায়ুমানও ৩০০ পেরিয়েছে।

বায়ুদূষণের দিক থেকে বরাবরই শীর্ষ শহরের তালিকায় থাকা পাকিস্তানের লাহোর আজ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে ঘানার আক্রা এবং পাকিস্তানের করাচি।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।

এদিকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বায়ুমান বর্তমানে সময়ে প্রায়ই অস্বাস্থ্যকর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ অবস্থায় সবাইকে বাইরে গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে ৬টি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে— কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা; নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা; নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা; নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া; নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুইবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করা।

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

আজ ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

প্রকাশের সময় : ১১:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সকাল থেকে রাজধানীর আকাশ বেশ কুয়াশাচ্ছন্ন। একইসঙ্গে ঢাকার বাতাসও আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। বায়ুদূষণের তালিকায় এক ধাপ নিচে নেমে এলেও, কুয়াশার সঙ্গে বাতাসের এই দূষণ সুস্থ মানুষের জন্যও অনেক ক্ষতিকর।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয়েছে ২০৫। এছাড়া এই মান নিয়ে সারা বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছে ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বায়ুদূষণের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ভারতের দিল্লি। কোনো শহরের বায়ুমান ৩০০ হলে, সেখানকার বাতাস দুর্যোগপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। আজ দিল্লির বায়ুমানও ৩০০ পেরিয়েছে।

বায়ুদূষণের দিক থেকে বরাবরই শীর্ষ শহরের তালিকায় থাকা পাকিস্তানের লাহোর আজ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এছাড়া শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে রয়েছে ঘানার আক্রা এবং পাকিস্তানের করাচি।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ‘ভালো’ বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা ‘সহনীয়’ ধরা হয় বায়ুর মান। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠী’র (অসুস্থ বা শিশু-বৃদ্ধ) জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে সে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয় এবং ৩০১ এর বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।

এদিকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বায়ুমান বর্তমানে সময়ে প্রায়ই অস্বাস্থ্যকর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ অবস্থায় সবাইকে বাইরে গেলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিকদের এবং সাধারণ মানুষকে ৬টি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে— কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা; নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা; নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা; নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া; নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুইবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করা।