Dhaka ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 20

দেশের প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতের পাশাপাশি কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এসব দাবি পূরণ না হলে ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

রবিবার বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে বার বার বলার পরও নজর দিচ্ছে না। উল্টো কর্পোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে। সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি, যেন দেশের পোল্ট্রি শিল্পে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারেন।

সিন্ডিকেটের ফলে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ এই খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার যদি এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের কাছে বার বার দাবি জানানোর পরও সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের সহযোগিতা করছে। তাই আমরা স্বল্প সময়ের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

১০ দফা দাবিগুলো হলো-

১. বর্তমান সময়ে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো ডিম ও মুরগি উৎপাদনেও অংশগ্রহণ করছে। এতে ছোট খামারিরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না। তাই কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ থাকার নিয়ম করতে হবে।

২. বাণিজ্যিকভাবে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. মুরগির বাচ্চা ও ফিডের সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।

৪. প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ক্ষুদ্র খামারিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. প্রান্তিক খামারিদের জন্য পৃথক বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে।

৮. কর্পোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকারি নীতিমালা তৈরি করতে হবে।

৯. চুক্তিভিত্তিক খামারের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে।

১০. প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের ব্যবস্থা করতে হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ১০:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতের পাশাপাশি কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এসব দাবি পূরণ না হলে ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

রবিবার বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে বার বার বলার পরও নজর দিচ্ছে না। উল্টো কর্পোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে। সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি, যেন দেশের পোল্ট্রি শিল্পে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারেন।

সিন্ডিকেটের ফলে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ এই খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার যদি এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের কাছে বার বার দাবি জানানোর পরও সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের সহযোগিতা করছে। তাই আমরা স্বল্প সময়ের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

১০ দফা দাবিগুলো হলো-

১. বর্তমান সময়ে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো ডিম ও মুরগি উৎপাদনেও অংশগ্রহণ করছে। এতে ছোট খামারিরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না। তাই কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ থাকার নিয়ম করতে হবে।

২. বাণিজ্যিকভাবে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. মুরগির বাচ্চা ও ফিডের সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।

৪. প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

৫. ক্ষুদ্র খামারিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. প্রান্তিক খামারিদের জন্য পৃথক বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে।

৮. কর্পোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকারি নীতিমালা তৈরি করতে হবে।

৯. চুক্তিভিত্তিক খামারের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে।

১০. প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শের ব্যবস্থা করতে হবে।