Dhaka ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সৃজনের আনন্দে অবগাহন করেছেন রবীন্দ্রনাথ-ভিসি, রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়

রাজবাড়ীতে রবীন্দ্র স্মরণ উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১১১২ জন সংবাদটি পড়েছেন

রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি শাহ মো. আজম বলেছেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি সৃজনের আনন্দে অবগাহন করেছেন। সব সময় নব নব বিষয় সৃষ্টি করে মানবিক বোধকে জাগ্রত করেছেন। মানুষকে জাগিয়ে তুলেছেন। মানুষের মাঝে যে বিভেদ আছে তা দূর করে সাম্যের গান গেয়েছেন।
স্বপ্নডাঙ্গা পাঠশালার আয়োজনে শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র স্মরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাব্য, কথা, গান আর নৃত্যে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল চিত্তাকর্ষক। পিনপতন নীরবতায় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে মিলনায়তন ভর্তি দর্শক।
ভিসি শাহ মো. আজম বলেন, এই প্রজন্মের মাঝে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মকে পৌছে দিতে হবে। যারা সমাজ নিয়ে চিন্তা করেন, মানুষের মানবিক বোধ নিয়ে ভাবেন। বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা কবি হিসেবেই চিনি। তার যে কাব্য আলো যেভাবে আলোকিত করেছেন এবং তার কবিতা দিয়ে তিনি একটি প্রাদেশিক ভাষার কবি হয়ে তিনি নোবেল তুলে এনেছেন। বিশ^ দরবারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন, সম্মানের আসনে বসিয়েছেন। তিনি শুধু কবিতা লেখেননি। গান, পত্র, প্রবন্ধ, ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটকসহ আরও কত কী লিখেছেন। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিশে^র কেউ সাহিত্যের এতগুলো শাখায় বিচরণ করেননি। শেষ বয়সে তিনি চিত্রকর হয়েছিলেন। ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন। মাঝ বয়সে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে তিনি শান্তি নিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সঙ্কটে রবীন্দ্র সাহিত্য থেকে প্রেরণা নিতেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সম্মুখ সমরে যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করতেন।
বক্তৃতা শেষে রাজবাড়ী জেলার শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বপ্নডাঙ্গা পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা রেজা করিম।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সৃজনের আনন্দে অবগাহন করেছেন রবীন্দ্রনাথ-ভিসি, রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়

রাজবাড়ীতে রবীন্দ্র স্মরণ উৎসব

প্রকাশের সময় : ০১:২৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি শাহ মো. আজম বলেছেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি সৃজনের আনন্দে অবগাহন করেছেন। সব সময় নব নব বিষয় সৃষ্টি করে মানবিক বোধকে জাগ্রত করেছেন। মানুষকে জাগিয়ে তুলেছেন। মানুষের মাঝে যে বিভেদ আছে তা দূর করে সাম্যের গান গেয়েছেন।
স্বপ্নডাঙ্গা পাঠশালার আয়োজনে শুক্রবার রাতে রাজবাড়ী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত রবীন্দ্র স্মরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাব্য, কথা, গান আর নৃত্যে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল চিত্তাকর্ষক। পিনপতন নীরবতায় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে মিলনায়তন ভর্তি দর্শক।
ভিসি শাহ মো. আজম বলেন, এই প্রজন্মের মাঝে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মকে পৌছে দিতে হবে। যারা সমাজ নিয়ে চিন্তা করেন, মানুষের মানবিক বোধ নিয়ে ভাবেন। বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা কবি হিসেবেই চিনি। তার যে কাব্য আলো যেভাবে আলোকিত করেছেন এবং তার কবিতা দিয়ে তিনি একটি প্রাদেশিক ভাষার কবি হয়ে তিনি নোবেল তুলে এনেছেন। বিশ^ দরবারে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন, সম্মানের আসনে বসিয়েছেন। তিনি শুধু কবিতা লেখেননি। গান, পত্র, প্রবন্ধ, ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটকসহ আরও কত কী লিখেছেন। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিশে^র কেউ সাহিত্যের এতগুলো শাখায় বিচরণ করেননি। শেষ বয়সে তিনি চিত্রকর হয়েছিলেন। ছবি আঁকা শুরু করেছিলেন। মাঝ বয়সে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে তিনি শান্তি নিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সঙ্কটে রবীন্দ্র সাহিত্য থেকে প্রেরণা নিতেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি সম্মুখ সমরে যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করতেন।
বক্তৃতা শেষে রাজবাড়ী জেলার শিল্পীরা রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বপ্নডাঙ্গা পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা রেজা করিম।