কু প্রস্তাব দেওয়ায় গরু ব্যবসায়ীকে খুন করে লাশ পুঁতে রাখা হয় ছাগলের ঘরে ॥ স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার
- প্রকাশের সময় : ০৯:২০:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
- / ১৩৮৩ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ গৃহবধূকে কু প্রস্তাব দেওয়ায় স্বামীকে সাথে নিয়ে গরু ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানকে খুন করে লাশ পুঁতে রাখে তাদের ছাগলের ঘরে। নিখোঁজের তিন দিন পর শনিবার সন্ধ্যার দিকে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া গ্রামের সিদ্দিক মন্ডলের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ সিদ্দিক মন্ডল ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা পাতুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহত হাবিবুর রহমান পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ছেলে চাঁদ খান বাদী হয়ে রোববার কালুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে গরু কেনার উদ্দেশ্যে বের হন হাবিবুর রহমান। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ ছিল না। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। নিখোঁজের ঘটনায় গত শুক্রবার কালুখালী থানায় একটি জিডি করা হয়।
কালুখালী থানা সূত্র জানায়, জিডির সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে জানা যায়, হাবিবুর রহমানের সাথে সিদ্দিক মন্ডলের স্ত্রী নার্গিস বেগমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিল। হাবিবুর রহমান বেশ কয়েকবার নার্গিস বেগমকে কু প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী হয়নি। গত ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার হাবিবুর রহমান বেশ কয়েকবার নার্গিস বেগমকে ফোন দেন। বিষয়টি নার্গিস বেগম তার স্বামী সিদ্দিককে জানায়। এরপর দুজনে মিলে হাবিবুর রহমানকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক হাবিবুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়িতে ডেকে এনে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ ছাগলের ঘরে পুঁতে রাখে।
কালুখালী থানার ওসি নাজমুল হাসান জানান, পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের রোববার রাজবাড়ী আদালতে চালান করা হয়েছে।