Dhaka ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দ থেকে এনজিও কর্মী নিখোঁজ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • / 209

জনতার আদালত অনলাইন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতি’র (এমএমএস) সহ সভাপতি লিলি বেগম ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই এনজিও’র কর্মকর্তা কর্মচারীসহ নিখোঁজের স্বজনরা নানা শঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

লিলি বেগম নিখোঁজের ঘটনায় তার ভাগিনা শফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারন ডায়রী করেছেন এবং মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের নিকট আবেদন করেছে।

মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান মঞ্জু জানান, তাদের সংগঠনটি ১৯৯৯ সাল থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী ও এর আশপাশের এলাকার নারী এবং মেয়ে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে আসছে। নিখোঁজ লিলি বেগম সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ পরিস্থিতিতে গত ১০ নভেম্বর দুপুরে পাশ্ববর্তী আ. লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তারা চরম উদ্বিঘœ হয়ে পড়েছেন। তিনি লিলি বেগমের সন্ধান দেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।

নিখোঁজ লিলি বেগমের ভাগিনা শফি ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে। তার খালা লিলি বেগম দীর্ঘদিন ধরে গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। স্থানীয় আ. লতিফ নামের এক ব্যাক্তিকে তার খালা বিয়ে করেন। তবে সে বিয়ে আ. লতিফের পরিবার মেনে নেয়নি। দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর মধ্যে তার খালার একটি বাড়ি আছে। তিনি আরো জানান, তার খালা লিলি বেগমের সাথে তার ফোনে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হতো। গত ১০ নভেম্বর তার খালার নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোনটি বন্ধ পান। এর একদিন পর তিনি তার খালার খোঁজ করতে দৌলতদিয়ায় আসেন। এসময় তার খালার বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান, তার খালা আগের দিন আ. লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারন ডায়রী করেছেন।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, নিখোঁজ লিলি বেগমের সন্ধানে ইতিমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করাসহ বিভিন্ন টেকনোলজী ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘটনায় যাদের নাম আসছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যে নিখোঁজের ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গোয়ালন্দ থেকে এনজিও কর্মী নিখোঁজ

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতি’র (এমএমএস) সহ সভাপতি লিলি বেগম ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই এনজিও’র কর্মকর্তা কর্মচারীসহ নিখোঁজের স্বজনরা নানা শঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

লিলি বেগম নিখোঁজের ঘটনায় তার ভাগিনা শফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারন ডায়রী করেছেন এবং মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের নিকট আবেদন করেছে।

মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান মঞ্জু জানান, তাদের সংগঠনটি ১৯৯৯ সাল থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী ও এর আশপাশের এলাকার নারী এবং মেয়ে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে আসছে। নিখোঁজ লিলি বেগম সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ পরিস্থিতিতে গত ১০ নভেম্বর দুপুরে পাশ্ববর্তী আ. লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তারা চরম উদ্বিঘœ হয়ে পড়েছেন। তিনি লিলি বেগমের সন্ধান দেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।

নিখোঁজ লিলি বেগমের ভাগিনা শফি ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে। তার খালা লিলি বেগম দীর্ঘদিন ধরে গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। স্থানীয় আ. লতিফ নামের এক ব্যাক্তিকে তার খালা বিয়ে করেন। তবে সে বিয়ে আ. লতিফের পরিবার মেনে নেয়নি। দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর মধ্যে তার খালার একটি বাড়ি আছে। তিনি আরো জানান, তার খালা লিলি বেগমের সাথে তার ফোনে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হতো। গত ১০ নভেম্বর তার খালার নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোনটি বন্ধ পান। এর একদিন পর তিনি তার খালার খোঁজ করতে দৌলতদিয়ায় আসেন। এসময় তার খালার বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান, তার খালা আগের দিন আ. লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারন ডায়রী করেছেন।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, নিখোঁজ লিলি বেগমের সন্ধানে ইতিমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করাসহ বিভিন্ন টেকনোলজী ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘটনায় যাদের নাম আসছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যে নিখোঁজের ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে।