পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে হুমকিতে দৌলতদিয়ায় লঞ্চঘাটসহ অসংখ্য স্থাপনা
- প্রকাশের সময় : ০৬:৫১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
- / 201
জনতার আদালত অনলাইন ॥ তীব্র¯্রােত ও পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় পদ্মার তান্ডব চলছেই। এ বছরের পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মজিদ শেখের পাড়া এলাকাসহ লঞ্চঘাট। সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে লঞ্চঘাটের একটি পল্টুনসহ শতাধিক বাড়িঘর।
বুধবার সকাল থেকে লঞ্চঘাট এলাকায় আবারো থেমে থেমে চলছে পদ্মার ভাঙন। ভোর থেকে ভাঙনে লঞ্চঘাট এলাকার প্রায় ৫০মিটার অংশ জিও ব্যাগসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে থাকায় সরিয়ে নিতে শুরু করেছে বেশ কিছু বাড়িঘর। হুমকির মধ্যে রয়েছে দৌলতদিয়া প্রান্তের লঞ্চঘাট, শতাধিক বাড়িঘরসহ অসংখ্য স্থাপনা। গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে প্রথম দফায় ১০টি বসত বাড়িসহ প্রায় ২৫০মিটার এলাকা পদ্মার তান্ডবে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিনগত মাঝরাত থেকে পদ্মা নদীর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। ভেসে যায় স্থাপন করা অসংখ্য জিও ব্যাগ। ইতিপূর্বে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রক্ষার চেষ্টা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভাঙন রক্ষায় সেগুলো তেমন কোন কাজেই আসেনি। লঞ্চঘাট এলাকায় প্রায় ৫০মিটার অংশ ভেঙে ধসে গিয়েছে। বেশ কিছু বাড়ীঘর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যেকোন সময় লঞ্চঘাটটিও বন্ধ করে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে দায়িত্বরত (বিআইডব্লিউটিএর) এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, লঞ্চঘাটটি মুলত চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে যেকোন সময় লঞ্চঘাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান লঞ্চঘাট এলাকা পরিদর্শনে এসেছিলেন। আসলে এখানে লঞ্চঘাট স্থাপন করার মতো কোন জায়গা না থাকায় ঝুঁকির মধ্যে লঞ্চঘাট দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে লঞ্চঘাট এলাকার বেশ কিছু অংশ জিও টিউব ব্যাগসহ পানির নিচে ধসে গেছে। এটি দ্রুত রোধ করা না গেলে, যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে ঘাটটিও।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ বলেন, ভাঙনের ঘটনা শুনে সেখানে যাচ্ছি। পরিস্থিতি দেখে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।