ফাঁকা ঘাটেও যাত্রীদের বিড়ম্বনা
- প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই ২০২১
- / 720
জনতার আদালত অনলাইন ॥ মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে কঠোর বিধি নিষেধ যুক্ত করে শুরু হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। এতে করে ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট একেবারেই ফাঁকা। যানবাহনের জন্য প্রতিটি ফেরিকে ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। এরই মধ্যেও বিরম্বনা থেকে মুক্তি মেলেনি জরুরী প্রয়োজনে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকদের।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ঘাটে ফেরিগুলোতে যানবাহনের আংশিক লোড হতেও লাগছে দীর্ঘ সময়। এ পরিস্থিতিতে বেলা ১টার দিকে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাটে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় চন্দ্রমল্লিকা নমের একটি ইউটিলিটি ফেরিকে। এসময় যাত্রী ও যানবাহন বোঝাই করে পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ৭নং ফেরি ঘাটে আসে অপর ইউটিলিটি ফেরি শাপলা শালুক। কিন্তু পন্টুন ফাঁকা না পেয়ে প্রায় ১ ঘন্টা পন্টুনের পাশে ভিড়ে থাকে। চন্দ্রমল্লিকা ফেরিটি যানবাহনের লোড হওয়ার পর পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে শাপলা শালুক ফেরি ওই ঘাটে ভিড়ে। অথচ দৌলতদিয়া ১নং ফেরিঘাটটি অন্তত দুই মাস ধরে কোন ফেরিই ভিড়ে না।
চন্দ্রমল্লিকা ফেরির যাত্রী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্টাফ জুলফিকার আলী জানান, তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরী কাজ নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে যাচ্ছেন। কিন্তু ফেরিতে যানবাহনের লোড নিতে দীর্ঘ সময় লাগায় ফেরিতে উঠে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঘাটে সমস্যা থাকাটা একটি রেওয়াজে পরিনত হয়েছে।
শাপলা শালুক ফেরিতে থাকা জরুরী পন্যবাহি ট্রাক চালক আলমগীর হোসেন জানান, ঘাটে গাড়ি নেই, তবুও বিরম্বনা রয়েই গেছে। পন্টুন ফাঁকা না পাওয়ায় প্রায় ঘন্টা খানেক ফেরিতে অপেক্ষা করতে হলো।
এদিকে দৌলতদিয়া ১নং ফেরি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পন্টুনটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত রয়েছে। এসময় ১নং ঘাটের সারেং আব্দুল বারি জানান, অন্তত দুই মাস হলো এ ঘাটে কোন ফেরি লাগে না। কি কারণে ফেরি লাগে না জানাতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়, আমি কি ভাবে বলব।’
সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দুরত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে দেখা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখের অফিসে গেলে অফিস তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এরপর তাকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিফ করেননি।