Dhaka ১১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • / 275

জনতার আদালত অনলাইন ॥ দেশে করোনায় সংক্রমনের হার ফের বেড়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীসহ সাত জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউন ঘোষনার পর থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। রাজবাড়ীসহ সাতটি জেলায় দুরপাল্লার বাস চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসকল যাত্রীরা। এই বিধিনিষেধ আগামী ঈদ পর্যন্ত যাওয়ার আশঙ্কায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই ধারনা।

ব্যাস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়অ নৌরুটে ফেরি চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক থাকায় ঘাটে পৌঁছে মানুষ স্বস্তিতে ফেরিতে নদী পার হতে পারছেন। তবে ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে এ জন্য সবাইকে পথে পথে নানা ভোগান্তিসহ অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

সরেজমিন বুধবার (২৩ জুন) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেল, মাহিন্দ্র, অটোরিকশায় করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছেন। প্রতিটি ঘাটেই ছিল ফেরি। ঘাটে নেমেই সরাসরি ফেরিতে উঠতে এসব মানুষকে কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে কথা হয় গার্মেন্টসকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী রবিউলের সাথে তারা বলেন, ‘আমরা দুজনই গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। গত বৃহস্পতিবার দুজন ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি মাগুরায় যাই। এ সপ্তাহে বাড়িই থাকার কথা ছিল। কিন্তু নতুন বিধিনিষেধের কথা শুনে আর থাকতে পারেননি। কষ্ট হলেও ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।’ তারা আরো জানান, দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে ঘাট পর্যন্ত এসেছি কিন্তু নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া থেকে কীভাবে গাজিপুর যাব, সে চিন্তা করছি।

এদিকে ঢাকা থেকেও মানুষ ছুটছেন বাড়িতে। ঘাটে আসা যশোরের আলাউদ্দিন স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি জানান, লকডাউন ঈদ পর্যন্ত চলতে পারে তাই আগে-ভাগেই স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাড়ি রেখে আসতে যাচ্ছি। গাবতলী থেকে কোনো যানবাহন না পেয়ে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট কারে করে পাটুরিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌছেছি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ জানান, বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটে ১৩টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে। কোন যানবাহনকে ফেরি জন্য অপেক্ষা না করে সরাসরি ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে

প্রকাশের সময় : ০৭:২২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ দেশে করোনায় সংক্রমনের হার ফের বেড়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীসহ সাত জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউন ঘোষনার পর থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে। রাজবাড়ীসহ সাতটি জেলায় দুরপাল্লার বাস চলাচল না করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসকল যাত্রীরা। এই বিধিনিষেধ আগামী ঈদ পর্যন্ত যাওয়ার আশঙ্কায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই ধারনা।

ব্যাস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়অ নৌরুটে ফেরি চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক থাকায় ঘাটে পৌঁছে মানুষ স্বস্তিতে ফেরিতে নদী পার হতে পারছেন। তবে ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে এ জন্য সবাইকে পথে পথে নানা ভোগান্তিসহ অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

সরেজমিন বুধবার (২৩ জুন) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে দেখা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মটরসাইকেল, মাহিন্দ্র, অটোরিকশায় করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছেন। প্রতিটি ঘাটেই ছিল ফেরি। ঘাটে নেমেই সরাসরি ফেরিতে উঠতে এসব মানুষকে কোনো বেগ পেতে হচ্ছে না।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে কথা হয় গার্মেন্টসকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী রবিউলের সাথে তারা বলেন, ‘আমরা দুজনই গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। গত বৃহস্পতিবার দুজন ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি মাগুরায় যাই। এ সপ্তাহে বাড়িই থাকার কথা ছিল। কিন্তু নতুন বিধিনিষেধের কথা শুনে আর থাকতে পারেননি। কষ্ট হলেও ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।’ তারা আরো জানান, দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে ঘাট পর্যন্ত এসেছি কিন্তু নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া থেকে কীভাবে গাজিপুর যাব, সে চিন্তা করছি।

এদিকে ঢাকা থেকেও মানুষ ছুটছেন বাড়িতে। ঘাটে আসা যশোরের আলাউদ্দিন স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি জানান, লকডাউন ঈদ পর্যন্ত চলতে পারে তাই আগে-ভাগেই স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাড়ি রেখে আসতে যাচ্ছি। গাবতলী থেকে কোনো যানবাহন না পেয়ে জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে প্রাইভেট কারে করে পাটুরিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌছেছি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ জানান, বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এ নৌরুটে ১৩টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে। কোন যানবাহনকে ফেরি জন্য অপেক্ষা না করে সরাসরি ফেরিতে উঠার সুযোগ পাচ্ছে।