Dhaka ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়ায় সীমাহীন দুর্ভেোগ কর্মস্থলগামী মানুষের

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
  • / 573

জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে মঙ্গলবার কর্মস্থলগামী মানুষের ঢল নামে দৌলতদিয়া ঘাটে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগ শিকার করতে হচ্ছে কর্মস্থলগামী হাজার হাজার মানুষের। তবে নেই চিরচেনা পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

মঙ্গলবার সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটে থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিত চরম ঝুঁকি নিয়ে উঠছে কর্মস্থলগামী যাত্রীরা। নৌরুটে সকল ফেরি চলাচল করায় মানুষ স্বস্তিতে পারাপার হলেও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ফেরির ডালা ওঠানোর সময় পর্যন্ত চরম ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠছেন তারা। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এ ছাডাও ফেরিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ঠাসাঠাসি করে যে যেভাবে পারছেন ফেরিতে উঠছেন।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গন্তব্যে ফিরতে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। মহাসড়কগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেঙে ভেঙে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মিনি পিকআপ এবং ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, অটোরিক্সা ও অটোভ্যানসহ বিভিন্ন অবৈধ বাহনে করে ঘাটে এসে ফেরিতে পদ্মা পার হয়ে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ফিরছে।

ঢাকাগামী গার্মেন্টস কর্মী পারভীর আক্তার জানান, অনেক কষ্ট করে ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছি এবং আজকেও পথে পথে গাড়ি পাল্টে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঘাটে এসেছি। ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে তাই তারাহুড়ো করে ফেরিতে উঠেছি। আসলে এভাবে ফেরিতে ওঠা আমার ঠিক হয়নি। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলেছি।

ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী পোষাক কারখানায় কর্মরত আফজাল হোসেন জানান, বাড়িতে আসার সময়কার দূর্ভোগ বেশী থাকলেও ঢাকায় যাওয়ার সময় তেমন কোন ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়নি। তবে পথে পথে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে। এসময় অনেক যাত্রী গণ পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অপরদিকে এখনো রাজধানী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। যাত্রীরা দূর্ভোগ ছাড়া ফেরির নাগাল পেলেও তাদের মধ্যে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ। একে অপরের সাথে গাদাগাদি করেই ফেরিতে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিসের ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ জানান, যাত্রীরা কোন বাধাই মানে না, বাধা সত্ত্বেও যে যার মতো ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। আজও ঘাটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও দৌলতদিয়া  প্রান্তে পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। নাই কোন সিরিয়াল।  এরুটে ছোট বড় মিলে ১৬ টি ফেরি চলাচল করছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দৌলতদিয়ায় সীমাহীন দুর্ভেোগ কর্মস্থলগামী মানুষের

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রিয়জনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে মঙ্গলবার কর্মস্থলগামী মানুষের ঢল নামে দৌলতদিয়া ঘাটে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগ শিকার করতে হচ্ছে কর্মস্থলগামী হাজার হাজার মানুষের। তবে নেই চিরচেনা পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

মঙ্গলবার সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটে থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ফেরিত চরম ঝুঁকি নিয়ে উঠছে কর্মস্থলগামী যাত্রীরা। নৌরুটে সকল ফেরি চলাচল করায় মানুষ স্বস্তিতে পারাপার হলেও তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ফেরির ডালা ওঠানোর সময় পর্যন্ত চরম ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠছেন তারা। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এ ছাডাও ফেরিগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ঠাসাঠাসি করে যে যেভাবে পারছেন ফেরিতে উঠছেন।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গন্তব্যে ফিরতে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। মহাসড়কগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেঙে ভেঙে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মিনি পিকআপ এবং ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, অটোরিক্সা ও অটোভ্যানসহ বিভিন্ন অবৈধ বাহনে করে ঘাটে এসে ফেরিতে পদ্মা পার হয়ে ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় ফিরছে।

ঢাকাগামী গার্মেন্টস কর্মী পারভীর আক্তার জানান, অনেক কষ্ট করে ঈদের আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছি এবং আজকেও পথে পথে গাড়ি পাল্টে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঘাটে এসেছি। ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে তাই তারাহুড়ো করে ফেরিতে উঠেছি। আসলে এভাবে ফেরিতে ওঠা আমার ঠিক হয়নি। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলেছি।

ফরিদপুর থেকে ঢাকাগামী পোষাক কারখানায় কর্মরত আফজাল হোসেন জানান, বাড়িতে আসার সময়কার দূর্ভোগ বেশী থাকলেও ঢাকায় যাওয়ার সময় তেমন কোন ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়নি। তবে পথে পথে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে। এসময় অনেক যাত্রী গণ পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অপরদিকে এখনো রাজধানী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী মানুষের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মত। যাত্রীরা দূর্ভোগ ছাড়া ফেরির নাগাল পেলেও তাদের মধ্যে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ। একে অপরের সাথে গাদাগাদি করেই ফেরিতে পারাপার হচ্ছে যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট অফিসের ব্যবস্থাপক মো. ফিরোজ শেখ জানান, যাত্রীরা কোন বাধাই মানে না, বাধা সত্ত্বেও যে যার মতো ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। আজও ঘাটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ থাকলেও দৌলতদিয়া  প্রান্তে পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। নাই কোন সিরিয়াল।  এরুটে ছোট বড় মিলে ১৬ টি ফেরি চলাচল করছে।