বালিয়াকান্দিতে ২ আওয়ামী লীগ নেতার বিরোধের জের ॥ ২৯টি বসতঘর ভাংচুর
- প্রকাশের সময় : ০৭:০৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১
- / ১৩৩৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নে দুই আওয়ামী লীগ নেতার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্ততঃ ২৯টি বসতঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে ইউনিয়নের চষাবিলা, ঘিকমলা, পাটকিয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি এই দু’পক্ষের হামলা ভাংচুরের ঘটনায় বালিয়াকান্দি থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ ঘটনা ঘটলো।
জানা গেছে, নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক বিশ^াস ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাই মন্ডলের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে গত ২৫ এপ্রিল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর করা হয় কয়েকটি বাড়ি। ওই ঘটনায় ২৬ ও ২৭ এপ্রিল তারিখে বালিয়াকান্দি থানায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়। মঙ্গলবার রাতে আবারও ঘটে ভাংচুরের ঘটনা। এ দফায় উভয়পক্ষের অন্ততঃ ২৯টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এব্যাপারে নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাই মন্ডল বলেন, বারেক বিশ্বাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকেই একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটছে। গত ২৫ এপ্রিল রাতে বারেক বিশ^াসের লোকেরা তার দুই সমর্থকের বসত বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। ইতিপূর্বে আরো পাঁচটি বাড়িতে হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও ত্রা কয়েক সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে হামলার জবাব দিয়েছে।
নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বারেক বিশ্বাস বলেন, আমি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই হাই মন্ডল আমার বিরোধীতা করে আসছে। আমি ঢাকায় থাকার কারণে আমার দলীয় লোকজনের উপর হামলা চালাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আসার কথা শুনে লোকজন বাড়িতে না থাকার সুযোগে হাই মন্ডলের লোকজন তার সমর্থকদের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান মাস্টার বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। রোজার দিন বাইরে একটু কম বের হচ্ছি। একারণে এখনও জানিনা ঘটনা কী ঘটেছে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারেকুজ্জামান জানান, একটি ঈদগাহর জমি নিয়ে বারেক বিশ^াস ও আব্দুল হাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। তার জেরেই এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে। আগের হামলার বিষয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হামলার ঘটনায় মামলা হবে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।