Dhaka ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: আদালতের রায়ের পরও জমি দখলমুক্ত হয়নি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১
  • / ১২৫৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মেছুয়াঘাটা গ্রামে আদালতের রায়ের পরও আদিবাসী পরিবার তাদের বৈধ জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার বিকালে  উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেছুয়াঘাটা গ্রামের ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে বিমল বিশ্বাস লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী মৌজার আরএস ১৫৭, এস,এ ১৭৬ নং খতিয়ানের ১.৪০ একর জমির মালিক পুর্ণ শশী সরকারের ছেলে উপেন্দ্রনাথ সরকার। ওই জমি চাকরান দাবীতে দেওয়ানী -৬৯/৯৫ মামলা দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাসের ছেলে লালন বিশ্বাস ওরফে গোবিন্দ বিশ্বাস । মামলায় স্বাক্ষ্য আদি পর্যালোচনা করে দেখাযায়, গোবিন্দ বিশ্বাস ওই জমির চাকরান সত্বে প্রাপ্ত হয়নি। তাকে দখল সত্বে ২৩শতাংশ জমি তার অনুকুলে রায় হয়। তিনি সুধির বিশ্বাস, ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং যগেশ বিশ্বাসকে যোগসাজসে চাকরান বানোয়াট করেছিল, এরা প্রতিদ্বন্দী কেউ না থাকার কারণে দোতরফা রায় পান। পরবর্তীতে যশোদা রানী গং এর পক্ষে বাসুদেব বিশ্বাস ও দিলীপ বিশ্বাস রাজবাড়ী সহকারী জজ আদালতে দেঃ ৭১/১২ নং মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সুধির বিশ্বাস, ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস, যগেশ বিশ্বাস ও গোবিন্দ বিশ্বাসের নামে ১১০২ নং দলিল দাখিল করেন। ওই দলিলে বাদী তার অনুকুলে ১২ শতাংশ জমি দাবী করেন। সেটাও চাকরান মুলে, যার কোন ভিত্তি নেই। আদালতে তা প্রমান করতে ব্যর্থ হন। তবে দখলসুত্রে বিবেচনার্থে ১২শতাংশ রায় প্রদান করেন। পরে তিনি ৬৯/৯৫ মামলার আরজি সংশোধন করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, এ জমাজমি চাকরান জমাজমি নয়। পরবর্তীতে আবারও তিনি আরজি সংশোধন করেন এবং উল্লেখ করেন যে, দেঃ ৬৯/৯৫ মামলার জমি এক জমি নয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে বিমল বিশ্বাস বাদী হয়ে আপীল মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদী-বিবাদীর অনুউপস্থিতির কারণে পুর্বের রায় বহাল রেখে আপীল মামলা খারিজ হয়। বাসুদেব বিশ্বাস ১২ শতাংশের মালিক হলেও ৩৫ শতাংশ দাবী করায় রাজবাড়ী আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন বিমল বিশ্বাস। মামলার রায়ের পরও জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, আদালতে রায়ের পরও জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দখলের পয়তারা করে আসছে। ডিগ্রী জারি করে তার জমি বুঝে নিলে আমার কোন আপত্তি নেই। এ কারণে আমি যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারি সেজন্য প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার দাবী করছি।

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মেছুয়াঘাটা গ্রামে আদালতের রায়ের পরও আদিবাসী পরিবার তাদের বৈধ জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার বিকালে  উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেছুয়াঘাটা গ্রামের ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে বিমল বিশ্বাস লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী মৌজার আরএস ১৫৭, এস,এ ১৭৬ নং খতিয়ানের ১.৪০ একর জমির মালিক পুর্ণ শশী সরকারের ছেলে উপেন্দ্রনাথ সরকার। ওই জমি চাকরান দাবীতে দেওয়ানী -৬৯/৯৫ মামলা দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাসের ছেলে লালন বিশ্বাস ওরফে গোবিন্দ বিশ্বাস । মামলায় স্বাক্ষ্য আদি পর্যালোচনা করে দেখাযায়, গোবিন্দ বিশ্বাস ওই জমির চাকরান সত্বে প্রাপ্ত হয়নি। তাকে দখল সত্বে ২৩শতাংশ জমি তার অনুকুলে রায় হয়। তিনি সুধির বিশ্বাস, ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং যগেশ বিশ্বাসকে যোগসাজসে চাকরান বানোয়াট করেছিল, এরা প্রতিদ্বন্দী কেউ না থাকার কারণে দোতরফা রায় পান। পরবর্তীতে যশোদা রানী গং এর পক্ষে বাসুদেব বিশ্বাস ও দিলীপ বিশ্বাস রাজবাড়ী সহকারী জজ আদালতে দেঃ ৭১/১২ নং মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সুধির বিশ্বাস, ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস, যগেশ বিশ্বাস ও গোবিন্দ বিশ্বাসের নামে ১১০২ নং দলিল দাখিল করেন। ওই দলিলে বাদী তার অনুকুলে ১২ শতাংশ জমি দাবী করেন। সেটাও চাকরান মুলে, যার কোন ভিত্তি নেই। আদালতে তা প্রমান করতে ব্যর্থ হন। তবে দখলসুত্রে বিবেচনার্থে ১২শতাংশ রায় প্রদান করেন। পরে তিনি ৬৯/৯৫ মামলার আরজি সংশোধন করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, এ জমাজমি চাকরান জমাজমি নয়। পরবর্তীতে আবারও তিনি আরজি সংশোধন করেন এবং উল্লেখ করেন যে, দেঃ ৬৯/৯৫ মামলার জমি এক জমি নয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে বিমল বিশ্বাস বাদী হয়ে আপীল মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদী-বিবাদীর অনুউপস্থিতির কারণে পুর্বের রায় বহাল রেখে আপীল মামলা খারিজ হয়। বাসুদেব বিশ্বাস ১২ শতাংশের মালিক হলেও ৩৫ শতাংশ দাবী করায় রাজবাড়ী আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন বিমল বিশ্বাস। মামলার রায়ের পরও জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, আদালতে রায়ের পরও জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দখলের পয়তারা করে আসছে। ডিগ্রী জারি করে তার জমি বুঝে নিলে আমার কোন আপত্তি নেই। এ কারণে আমি যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারি সেজন্য প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার দাবী করছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: আদালতের রায়ের পরও জমি দখলমুক্ত হয়নি

প্রকাশের সময় : ০৭:২৩:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মেছুয়াঘাটা গ্রামে আদালতের রায়ের পরও আদিবাসী পরিবার তাদের বৈধ জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার বিকালে  উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেছুয়াঘাটা গ্রামের ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে বিমল বিশ্বাস লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী মৌজার আরএস ১৫৭, এস,এ ১৭৬ নং খতিয়ানের ১.৪০ একর জমির মালিক পুর্ণ শশী সরকারের ছেলে উপেন্দ্রনাথ সরকার। ওই জমি চাকরান দাবীতে দেওয়ানী -৬৯/৯৫ মামলা দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাসের ছেলে লালন বিশ্বাস ওরফে গোবিন্দ বিশ্বাস । মামলায় স্বাক্ষ্য আদি পর্যালোচনা করে দেখাযায়, গোবিন্দ বিশ্বাস ওই জমির চাকরান সত্বে প্রাপ্ত হয়নি। তাকে দখল সত্বে ২৩শতাংশ জমি তার অনুকুলে রায় হয়। তিনি সুধির বিশ্বাস, ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং যগেশ বিশ্বাসকে যোগসাজসে চাকরান বানোয়াট করেছিল, এরা প্রতিদ্বন্দী কেউ না থাকার কারণে দোতরফা রায় পান। পরবর্তীতে যশোদা রানী গং এর পক্ষে বাসুদেব বিশ্বাস ও দিলীপ বিশ্বাস রাজবাড়ী সহকারী জজ আদালতে দেঃ ৭১/১২ নং মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সুধির বিশ্বাস, ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস, যগেশ বিশ্বাস ও গোবিন্দ বিশ্বাসের নামে ১১০২ নং দলিল দাখিল করেন। ওই দলিলে বাদী তার অনুকুলে ১২ শতাংশ জমি দাবী করেন। সেটাও চাকরান মুলে, যার কোন ভিত্তি নেই। আদালতে তা প্রমান করতে ব্যর্থ হন। তবে দখলসুত্রে বিবেচনার্থে ১২শতাংশ রায় প্রদান করেন। পরে তিনি ৬৯/৯৫ মামলার আরজি সংশোধন করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, এ জমাজমি চাকরান জমাজমি নয়। পরবর্তীতে আবারও তিনি আরজি সংশোধন করেন এবং উল্লেখ করেন যে, দেঃ ৬৯/৯৫ মামলার জমি এক জমি নয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে বিমল বিশ্বাস বাদী হয়ে আপীল মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদী-বিবাদীর অনুউপস্থিতির কারণে পুর্বের রায় বহাল রেখে আপীল মামলা খারিজ হয়। বাসুদেব বিশ্বাস ১২ শতাংশের মালিক হলেও ৩৫ শতাংশ দাবী করায় রাজবাড়ী আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন বিমল বিশ্বাস। মামলার রায়ের পরও জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, আদালতে রায়ের পরও জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দখলের পয়তারা করে আসছে। ডিগ্রী জারি করে তার জমি বুঝে নিলে আমার কোন আপত্তি নেই। এ কারণে আমি যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারি সেজন্য প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার দাবী করছি।

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মেছুয়াঘাটা গ্রামে আদালতের রায়ের পরও আদিবাসী পরিবার তাদের বৈধ জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার বিকালে  উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেছুয়াঘাটা গ্রামের ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে বিমল বিশ্বাস লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী মৌজার আরএস ১৫৭, এস,এ ১৭৬ নং খতিয়ানের ১.৪০ একর জমির মালিক পুর্ণ শশী সরকারের ছেলে উপেন্দ্রনাথ সরকার। ওই জমি চাকরান দাবীতে দেওয়ানী -৬৯/৯৫ মামলা দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাসের ছেলে লালন বিশ্বাস ওরফে গোবিন্দ বিশ্বাস । মামলায় স্বাক্ষ্য আদি পর্যালোচনা করে দেখাযায়, গোবিন্দ বিশ্বাস ওই জমির চাকরান সত্বে প্রাপ্ত হয়নি। তাকে দখল সত্বে ২৩শতাংশ জমি তার অনুকুলে রায় হয়। তিনি সুধির বিশ্বাস, ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং যগেশ বিশ্বাসকে যোগসাজসে চাকরান বানোয়াট করেছিল, এরা প্রতিদ্বন্দী কেউ না থাকার কারণে দোতরফা রায় পান। পরবর্তীতে যশোদা রানী গং এর পক্ষে বাসুদেব বিশ্বাস ও দিলীপ বিশ্বাস রাজবাড়ী সহকারী জজ আদালতে দেঃ ৭১/১২ নং মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সুধির বিশ্বাস, ফনিন্দ্রনাথ বিশ্বাস, যগেশ বিশ্বাস ও গোবিন্দ বিশ্বাসের নামে ১১০২ নং দলিল দাখিল করেন। ওই দলিলে বাদী তার অনুকুলে ১২ শতাংশ জমি দাবী করেন। সেটাও চাকরান মুলে, যার কোন ভিত্তি নেই। আদালতে তা প্রমান করতে ব্যর্থ হন। তবে দখলসুত্রে বিবেচনার্থে ১২শতাংশ রায় প্রদান করেন। পরে তিনি ৬৯/৯৫ মামলার আরজি সংশোধন করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেন, এ জমাজমি চাকরান জমাজমি নয়। পরবর্তীতে আবারও তিনি আরজি সংশোধন করেন এবং উল্লেখ করেন যে, দেঃ ৬৯/৯৫ মামলার জমি এক জমি নয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে বিমল বিশ্বাস বাদী হয়ে আপীল মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদী-বিবাদীর অনুউপস্থিতির কারণে পুর্বের রায় বহাল রেখে আপীল মামলা খারিজ হয়। বাসুদেব বিশ্বাস ১২ শতাংশের মালিক হলেও ৩৫ শতাংশ দাবী করায় রাজবাড়ী আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন বিমল বিশ্বাস। মামলার রায়ের পরও জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, আদালতে রায়ের পরও জমির দখল ছেড়ে না দিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সময় দখলের পয়তারা করে আসছে। ডিগ্রী জারি করে তার জমি বুঝে নিলে আমার কোন আপত্তি নেই। এ কারণে আমি যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারি সেজন্য প্রশাসনের নিকট সঠিক বিচার দাবী করছি।