বালিয়াকান্দিতে এনএসবি ব্রিকস বন্ধের দাবি
- প্রকাশের সময় : ০৬:১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১২৪৭ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে এনএসবি ব্রিকস বন্ধের দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণবাড়ী গ্রামের সৈয়দ মাসুদ আলীর ছেলে সৈয়দ বজলে আলী বলেন, দক্ষিণবাড়ী গ্রামের প্রভাবশালী বিএনপি নেতা সৈয়দ নুর ই সামস নওরোজ মিয়ার ছেলে সৈয়দ নুর এ আকরাম সেভান গায়ের জোড়ে ও প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে গ্রামের মধ্যে মেসার্স এনএসবি ব্রিকস নামক ইট ভাটা স্থাপন করেন। ওই ইটভাটা সংলগ্ন ( ১০০ গজের মধ্যে ) দক্ষিণবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ইটভাটার কালো ধোয়ার কারণে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চরম শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছে। গ্রামের মধ্যে ইটভাটাটি স্থাপন করায় ইটভাটার ধোয়া আশপাশে বসবাসকারী পরিবারগুলোর নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ইটভাটার আশপাশে তিন-চার ফসলী জমি গুলোতে একেবারেই ফসল হচ্ছে না। এতে করে গ্রামের কৃষক পরিবার ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। ইটভাটার আশপাশের কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে ভাটায় ব্যবহার করার ফলে অন্য মালিকানাধীন জমিগুলি একটু বৃষ্টি হলেই ভেঙ্গে পড়ে ও এক পর্যায়ে জমিগুলি প্রভাবশালী নেতা স্বল্পমুল্যে ক্রয় করে নেন। এজন্য এলাকার আবাদি জায়গা জমি রক্ষা করাই কঠিন। ভাটার মালিক সরকার নির্ধারিত ভ্যাট প্রদান না করে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছে। গ্রামের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত বোঝাই করা মাটির গাড়ি ও ইটের গাড়ি চলাচল করার ফলে রাস্তা নির্মাণের কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙ্গে যায়। এতে জনসাধারণের চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে স্বরাষ্ট সচিব, কৃষি সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্ণীতি দমন কমিশন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সরকারের গুরুত্বপুর্ণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ প্রায় ২৫টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত নুর এ আকরাম সেভান বলেন, সরকারী সকল নির্দেশনা মেনে সম্পুর্ণ কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো কাজ করছি। আমার ভাটায় কাজ করে এলাকার প্রায় ৩শতাধিক পরিবারের কর্মসংস্থান হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগকারী সম্পুর্ণ পারিবারিক বিরোধের কারণে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হয়রানী করছে। আমি মাটি কাটার কারণে কোন ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়নি বরং অভিযোগকারীরাই সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে এলাকার ক্ষতি সাধন করছেন। আমি হয়রানীমুলক অভিযোগের সঠিক তদন্তের দাবী জানাচ্ছি।