Dhaka ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে তরুণী চিকিৎসককে গর্ণধর্ষণ মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৪৯৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ মামলায় বুধবার তিনজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো রাজবাড়ী সদর উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের মৃত আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা, খানখানাপুর গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা ও  মৃত মোন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার। আদালতের বিচারক শারমীন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই তরুণী বাসযোগে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে আসেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর কোনো  যানবাহন পাননি। ওই সময় আসামি রানা ও মামুন একটি অটোরিক্সা এনে কোথায় যাবেন জানতে চান। তরুণী গোপালগঞ্জ যাবেন জানালে তাকে ফরিদপুর পৌছে দিতে চান। তিনি রাজী হয়ে অটোরিক্সায় ওঠেন। বসন্তপুর নামক স্থানে যাওয়ার পর অপর আসামি হান্নানকে তোলা হয়। এর কিছু দূর যাওয়ার পর একটি নির্জন স্থানে অটোরিক্সা থামিয়ে আসামিরা তাকে টেনে হিচড়ে অটৈারিক্সা থেকে নামিয়ে আনে। তরুণী চিৎকার চেচামেচি করতে থাকলে আসামিরা মাফলার দিয়ে তার মুখ হাত  বেঁধে  ফেলে। এরপর তাকে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে আসামিরা। ওই সময় তিনি অনেক কাকুতি মিনতি করেও রেহাই পাননি। একপর্যায়ে তিনি  জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে আসামিরা তাকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়। তিনি একটি বাসে উঠে ফরিদপুর র‌্যাব-৮ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ করেন। ওইদিনই র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণের ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও কাগজপত্র  পর্যালোচনা করে এ রায় দেন। মামলার অপর তিন আসামি আনিসুর রহমান, করিম মোল্লা ও কুটি মনিরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যড. উমা সেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে তরুণী চিকিৎসককে গর্ণধর্ষণ মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ মামলায় বুধবার তিনজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো রাজবাড়ী সদর উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের মৃত আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা, খানখানাপুর গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা ও  মৃত মোন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার। আদালতের বিচারক শারমীন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই তরুণী বাসযোগে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে আসেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর কোনো  যানবাহন পাননি। ওই সময় আসামি রানা ও মামুন একটি অটোরিক্সা এনে কোথায় যাবেন জানতে চান। তরুণী গোপালগঞ্জ যাবেন জানালে তাকে ফরিদপুর পৌছে দিতে চান। তিনি রাজী হয়ে অটোরিক্সায় ওঠেন। বসন্তপুর নামক স্থানে যাওয়ার পর অপর আসামি হান্নানকে তোলা হয়। এর কিছু দূর যাওয়ার পর একটি নির্জন স্থানে অটোরিক্সা থামিয়ে আসামিরা তাকে টেনে হিচড়ে অটৈারিক্সা থেকে নামিয়ে আনে। তরুণী চিৎকার চেচামেচি করতে থাকলে আসামিরা মাফলার দিয়ে তার মুখ হাত  বেঁধে  ফেলে। এরপর তাকে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে আসামিরা। ওই সময় তিনি অনেক কাকুতি মিনতি করেও রেহাই পাননি। একপর্যায়ে তিনি  জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে আসামিরা তাকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়। তিনি একটি বাসে উঠে ফরিদপুর র‌্যাব-৮ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ করেন। ওইদিনই র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণের ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও কাগজপত্র  পর্যালোচনা করে এ রায় দেন। মামলার অপর তিন আসামি আনিসুর রহমান, করিম মোল্লা ও কুটি মনিরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যড. উমা সেন।