Dhaka ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে আরেকটি বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ইউএনও

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০
  • / ১৩৭৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন॥ আরেকটি বাল্যবিয়ে ঠেকালেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শহীদনগর গ্রামে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। ওই ছাতী একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও হেদায়েতুল ইসলাম সেখানে অভিযান চালান। অভিযানের খবরে পালিয়ে যায় বরপক্ষ। পরে ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন খান ও ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে ওই ছাত্রীকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবে না বলে অঙ্গীকার নিয়ে তাদের জিম্মায় প্রদান করা হয়।

এরআগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ইসলামপুর ইউনিয়নের বারমল্লিকা গ্রামে আরও একটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন ইউএনও। ওই কিশোরী একই গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে। সপ্তম শ্রেণি পাশের পর এক বছর আগে সে পড়াশোনা বাদ দিয়েছে। ইউএনও হেদায়েতুল ইসলাম বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালান। তিনি মেয়েটির বয়স যাচাই করে দেখেন সে প্রাপ্ত বয়ষ্ক হয়নি। একারণে বিয়েটি বন্ধ করে প্রাপ্তবয়ষ্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেনা অভিভাবকদের কাছ থেকে এমন মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেটি সামাজিক ও শারীরিকভাবেও উন্নত হতে হবে। বাল্যবিয়ে সে লক্ষ্যের একটি বড় অন্তরায়। বাল্যবিয়ের কারণে জন্ম নেয়া শিশু অপুষ্টির শিকার হয়। একারণে বাল্যবিয়ে রোধ করতে হবে। কোনোক্রমেই বাল্যবিয়ে হতে দেয়া যাবেনা।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে আরেকটি বাল্যবিয়ে ঠেকালেন ইউএনও

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন॥ আরেকটি বাল্যবিয়ে ঠেকালেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম।

জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শহীদনগর গ্রামে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। ওই ছাতী একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও হেদায়েতুল ইসলাম সেখানে অভিযান চালান। অভিযানের খবরে পালিয়ে যায় বরপক্ষ। পরে ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন খান ও ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে ওই ছাত্রীকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবে না বলে অঙ্গীকার নিয়ে তাদের জিম্মায় প্রদান করা হয়।

এরআগে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ইসলামপুর ইউনিয়নের বারমল্লিকা গ্রামে আরও একটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন ইউএনও। ওই কিশোরী একই গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে। সপ্তম শ্রেণি পাশের পর এক বছর আগে সে পড়াশোনা বাদ দিয়েছে। ইউএনও হেদায়েতুল ইসলাম বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে রাতেই অভিযান চালান। তিনি মেয়েটির বয়স যাচাই করে দেখেন সে প্রাপ্ত বয়ষ্ক হয়নি। একারণে বিয়েটি বন্ধ করে প্রাপ্তবয়ষ্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেনা অভিভাবকদের কাছ থেকে এমন মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেটি সামাজিক ও শারীরিকভাবেও উন্নত হতে হবে। বাল্যবিয়ে সে লক্ষ্যের একটি বড় অন্তরায়। বাল্যবিয়ের কারণে জন্ম নেয়া শিশু অপুষ্টির শিকার হয়। একারণে বাল্যবিয়ে রোধ করতে হবে। কোনোক্রমেই বাল্যবিয়ে হতে দেয়া যাবেনা।