Dhaka 10:28 pm, Monday, 20 March 2023

যশাই ইউনিয়নের জব্দ করা চাল কাবিখার- দাবি  চেয়ারম্যানের

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : 07:21:24 pm, Monday, 11 May 2020
  • / 1410 জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 

জনতার আদালত ডেস্ক : পাংশা উপজেলার যশাই ইউপি চেয়ারম্যান  সিদ্দিকুর রহমান মন্ডলের গুদাম থেকে জব্দ করা ৪ টন চাল  কাবিখা কর্মসূচির, বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মন্ডল।  চাল উত্তোলনের পরদিন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার কাছেই চালগুলো মজুদ থেকে যায়, যা তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম এবং ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হযরত আলীকে অবগত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান, খাদ্য কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার চেয়ারম্যানের অবহিত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

গত ১৯ এপ্রিল পাংশা থানা পুলিশ ওই গুদাম থেকে ৪ টন চাল জব্দ করে।

যশাই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, চালগুলো যশাই ইউনিয়নের চরদুর্লভদিয়া বিরু মন্ডলের ঘাট মাটির রাস্তা থেকে কালামের বাড়িমুখী রাস্তা সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দকৃত কাবিখার চাল। কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় চালগুলো তার গুদামে রেখেছিলেন। একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল তাকে ফাঁসিয়েছে।

পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, লকডাউনের কারণে যশাই ইউনিয়নের কাবিখার কাজ বন্ধ থাকায় উত্তোলনকৃত চাল আটকা পড়ে যায়। ফলে আমাকে অবগত করে চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ম-ল চাল নিজ হেফাজতে রেখে দেন। এখানে চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি।

ট্যাগ অফিসার হযরত আলী বলেন, যশাই ইউনিয়নে ত্রাণের চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে। আর লকডাউনের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে কাবিখার কাজ বন্ধ করে রাখার বিষয়টি অবগত করেন।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ মার্চ প্রকল্পের ৪ টন চাল গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়। লকডাউনের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে কাজ বন্ধ করে রাখার বিষয়টি অবগত করেন।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

যশাই ইউনিয়নের জব্দ করা চাল কাবিখার- দাবি  চেয়ারম্যানের

প্রকাশের সময় : 07:21:24 pm, Monday, 11 May 2020

 

 

জনতার আদালত ডেস্ক : পাংশা উপজেলার যশাই ইউপি চেয়ারম্যান  সিদ্দিকুর রহমান মন্ডলের গুদাম থেকে জব্দ করা ৪ টন চাল  কাবিখা কর্মসূচির, বলে দাবি করেছেন চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মন্ডল।  চাল উত্তোলনের পরদিন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার কাছেই চালগুলো মজুদ থেকে যায়, যা তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম এবং ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হযরত আলীকে অবগত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান, খাদ্য কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসার চেয়ারম্যানের অবহিত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

গত ১৯ এপ্রিল পাংশা থানা পুলিশ ওই গুদাম থেকে ৪ টন চাল জব্দ করে।

যশাই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, চালগুলো যশাই ইউনিয়নের চরদুর্লভদিয়া বিরু মন্ডলের ঘাট মাটির রাস্তা থেকে কালামের বাড়িমুখী রাস্তা সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দকৃত কাবিখার চাল। কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় চালগুলো তার গুদামে রেখেছিলেন। একটি ষড়যন্ত্রকারী মহল তাকে ফাঁসিয়েছে।

পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, লকডাউনের কারণে যশাই ইউনিয়নের কাবিখার কাজ বন্ধ থাকায় উত্তোলনকৃত চাল আটকা পড়ে যায়। ফলে আমাকে অবগত করে চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান ম-ল চাল নিজ হেফাজতে রেখে দেন। এখানে চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি।

ট্যাগ অফিসার হযরত আলী বলেন, যশাই ইউনিয়নে ত্রাণের চাল সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে। আর লকডাউনের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে কাবিখার কাজ বন্ধ করে রাখার বিষয়টি অবগত করেন।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ মার্চ প্রকল্পের ৪ টন চাল গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়। লকডাউনের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে কাজ বন্ধ করে রাখার বিষয়টি অবগত করেন।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।