Dhaka ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘প্লাস্টিক পরোক্ষভাবে মানুষের দেহে প্রবেশ করে নানান রোগের সৃষ্টি করছে’

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ১৫৩৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ‘প্লাস্টিক দূষণে শুধু পরিবেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। তা পরোক্ষভাবে মানুষের দেহে প্রবেশ করে নানান রোগের সৃষ্টি করছে। এখনই প্লাস্টিক দূষণ না থামানো গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’ সী টু সোর্স: গঙ্গা অভিযানের অংশ হিসেবে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির কর্মশালায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।
এ অভিযানের অন্যতম উদ্যোক্তা পানি গবেষণা বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী বুশরা নিশাত বলেন, নদীতে প্লাস্টিক ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু কোথায় যায় সেটা কেউ জানেনা। ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে এবং নদীতে জরিপ চালিয়ে দেতখা গেছে, প্লাস্টিকগুলো এক সময় গুড়ি হয়ে কণায় পরিণত হয়। সেগুলি মাছেরা এবং বিভিন্ন প্রাণি খেয়ে ফেলে। সেই মাছ মানুষ খাচ্ছে। পরোক্ষভাবে মানুষের পেটে প্লাস্টিক চলে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্নভাবে প্লাস্টিক দূষণের ফলে মানুষ ও পরিবেশের বহুবিধ ক্ষতি হয়ে চলেছে। সী টু সোর্স: গঙ্গা অভিযান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত দলটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও শিক্ষার মাধমে পদ্মা ও মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকায় জনগণের সাথে সম্মিলিতভাবে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে জানতে, সৃজনশীল সমাধান অনুসন্ধান করতে এবং জনগণকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকে এটি বাজারজাত করছে। জেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে জরিমানা করছে। এছাড়া মানুষকে প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে। এর জন্য তৃযণমূল পর্যায় থেকে মানুষকে সােচতন করতে হবে। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অপচনশীল দ্রব্্যগুলো আলাদা করে রেখে সেগুলি বিাক্রি করতে পারলে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। আমাদের নিজেদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার স্বার্থেই এখন থেকে প্লাস্টিক দ্রব্য বর্জন করতে হবে।
কর্মশালায় অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার প্রমুখ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

‘প্লাস্টিক পরোক্ষভাবে মানুষের দেহে প্রবেশ করে নানান রোগের সৃষ্টি করছে’

প্রকাশের সময় : ০২:১৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

 

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ‘প্লাস্টিক দূষণে শুধু পরিবেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। তা পরোক্ষভাবে মানুষের দেহে প্রবেশ করে নানান রোগের সৃষ্টি করছে। এখনই প্লাস্টিক দূষণ না থামানো গেলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’ সী টু সোর্স: গঙ্গা অভিযানের অংশ হিসেবে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির কর্মশালায় উঠে এসেছে এসব তথ্য।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম।
এ অভিযানের অন্যতম উদ্যোক্তা পানি গবেষণা বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী বুশরা নিশাত বলেন, নদীতে প্লাস্টিক ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু কোথায় যায় সেটা কেউ জানেনা। ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে এবং নদীতে জরিপ চালিয়ে দেতখা গেছে, প্লাস্টিকগুলো এক সময় গুড়ি হয়ে কণায় পরিণত হয়। সেগুলি মাছেরা এবং বিভিন্ন প্রাণি খেয়ে ফেলে। সেই মাছ মানুষ খাচ্ছে। পরোক্ষভাবে মানুষের পেটে প্লাস্টিক চলে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্নভাবে প্লাস্টিক দূষণের ফলে মানুষ ও পরিবেশের বহুবিধ ক্ষতি হয়ে চলেছে। সী টু সোর্স: গঙ্গা অভিযান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি দ্বারা পরিচালিত দলটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও শিক্ষার মাধমে পদ্মা ও মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকায় জনগণের সাথে সম্মিলিতভাবে প্লাস্টিক দূষণ সম্পর্কে জানতে, সৃজনশীল সমাধান অনুসন্ধান করতে এবং জনগণকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, প্লাস্টিকের ব্যাগ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকে এটি বাজারজাত করছে। জেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে জরিমানা করছে। এছাড়া মানুষকে প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে। এর জন্য তৃযণমূল পর্যায় থেকে মানুষকে সােচতন করতে হবে। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অপচনশীল দ্রব্্যগুলো আলাদা করে রেখে সেগুলি বিাক্রি করতে পারলে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। আমাদের নিজেদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার স্বার্থেই এখন থেকে প্লাস্টিক দ্রব্য বর্জন করতে হবে।
কর্মশালায় অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. সুব্রত সরকার প্রমুখ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।