Dhaka ১০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে প্রধান ২ রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের হালচাল । ১৩ বছর আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে যুবলীগের ॥ যুবদলের কার্যক্রম স্থগিত ৩ বছর

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ১৮৫৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজবাড়ী জেলা যুবলীগ চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। এই কমিটি কবে গঠন হয়েছিল এ বিষয়ে একেক জন দিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন তথ্য। দীর্ঘদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ায় সাংগঠনিক কর্মকান্ডে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। তৈরি হচ্ছে না নতুন নেতৃত্বও। বিষয়টি স্বীকার করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ অনুভব করছেন সকলেই।
অপরদিকে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। ফলে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কর্মসূচী দূরে থাক দলীয় সভাও করতে পারেনি।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগ সূত্র জানায়, বর্তমানে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক জহুরুল ইসলাম। দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন আবুল হোসেন ও শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিল। আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম তার ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন অনেক দিন ধরেই। ফলে দল পরিচালনাতেও দেখা দেয় সমস্যা।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলী হোসেন পনির তথ্যমতে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সক্রিয়ভাবে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতেই কোন কারণ ছাড়াই আমাকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ২০০৪ সালে একই দিনে থানা ও পৌর সম্মেলন ডাকা হয়। এ নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়েছিল। তারপর অনানুষ্ঠিকভাবে জেলা যুবলীগের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময় একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছিল।  আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম বলে আমাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত দিনের ঘটনাগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে যদি পদ পদবী দেয়া হতো, ত্যাগী নেতার্কীদের মূল্যায়ন করা হতো তাহলে সংগঠন অনেক গতিশীল হতো। নতুন নেতৃত্বও তৈরি হতো। ২০০৯ সালে আমাকে সভাপতি ও আবুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই কমিটির পরিণতি কী হয়েছে তা আজও জানিনা।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সদস্য নজের মওলা নজরুল বলেন, আহ্বায়ক কমিট দিয়ে এতো বছর কোন সংগঠন চলা উচিৎ নয়। একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি আমারও। তাহলে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হতো।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিল বলেন, জেলা যুবলীগ অনেকবার সম্মেলন করার পদক্ষেপ নিয়েছিল কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় সম্মেলন আর করা হয়নি। বছর দেড়েক আগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন রাজবাড়ী সার্কিট হাউসে বসে যুবলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কোনো রকম আলোচনা না করেই একটি কমিটি করে। কেন্দ্রীয় যুবলীগ সেই কমিটি অনুমোদন না দেয়ায় এখনও আহ্বায়ক কমিটি রয়ে গেছে। বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক ঢাকায়  অবস্থান করায় নিয়মিত সভা করা সম্ভব হয়না। যেকারণে যুবলীগের কর্মকান্ড আস্তে আস্তে স্থবির হয়ে পড়ছে। তবে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রমে যুবলীগ অংশগ্রহণ করে থাকে।  জরুরী ভিত্তিতে জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, সম্ভবত ২০০৫ সালের শেষের দিকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন যুবলীগের সম্মেলন করতে না পারায় অনেক বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে স্বীকার করে বলেন, কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে সংগঠন পরিচালিত হলে অনেক নতুন নেতৃত্ব তৈরি হতো। অনেকবার চেষ্টা করেও জেলা যুবলীগের সম্মেলন করতে পারিনি। এর কারণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্মেলন ছাড়াই কমিটি গঠন করতে চান। কিন্তু আমি এর পক্ষে নই। নতুন কমিটি করতে হলে সম্মেলনের মাধ্যমেই করতে হবে। আমি ঢাকায় থাকি; আমি তো জেলাতে নেতৃত্ব দেবনা। সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে যেই সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হোক তাতে আমার আপত্তি নাই। একটি সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সরে আসতে পারলে সেটা আমার জন্য সম্মানজনক হতো।
এদিকে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এ মজিদ বিশ^াসের তথ্য মতে, ২০১৪ সালের প্রথম দিকে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের অগোচরে আবুল হাসেম সুজনকে সভাপতি ও রেজাউল করিম পিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। জেলা বিএনপির সভাপতি বিষয়টি কেন্দ্রকে জানালে কমিটি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে সে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর আর কোনো জেলা কমিটি গঠন করা হয়নি।
রাজবাড়ী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম পিন্টু বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে আমরা সব সময় রাজপথে থেকেছি। যুবদলের কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনো ভুল বা দোষ ত্রুটি ছিলনা। সংগঠনের কার্যক্রমও গতিশীল ছিল। কিন্তু যারা চায়না নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হোক তারাই চক্রান্ত করে আমাদের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে। যেকোন সময় দু চার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আমরা সভা সমাবেশ করতে পারি।
রাজবাড়ী জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসেম সুজন বলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম বাবলু খুন হওয়ার পর খৈয়ম ভাই (আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম) ম্যাডামের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন; যুবদলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে বাবলু ভাই খুন হয়েছে। এই ভুল ইনফরমেশনের কারণে কেন্দ্র জেলা যুবদলের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। তবে আমাদের মধ্যেকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই জেলা যুবদলের কমিটি পুনর্গঠিত হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে প্রধান ২ রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের হালচাল । ১৩ বছর আহ্বায়ক কমিটি দিয়েই চলছে যুবলীগের ॥ যুবদলের কার্যক্রম স্থগিত ৩ বছর

প্রকাশের সময় : ১১:১৭:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজবাড়ী জেলা যুবলীগ চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। এই কমিটি কবে গঠন হয়েছিল এ বিষয়ে একেক জন দিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন তথ্য। দীর্ঘদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ায় সাংগঠনিক কর্মকান্ডে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। তৈরি হচ্ছে না নতুন নেতৃত্বও। বিষয়টি স্বীকার করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের তাগিদ অনুভব করছেন সকলেই।
অপরদিকে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। ফলে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কর্মসূচী দূরে থাক দলীয় সভাও করতে পারেনি।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগ সূত্র জানায়, বর্তমানে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহবায়ক জহুরুল ইসলাম। দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন আবুল হোসেন ও শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিল। আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম তার ব্যবসায়ীক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন অনেক দিন ধরেই। ফলে দল পরিচালনাতেও দেখা দেয় সমস্যা।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলী হোসেন পনির তথ্যমতে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০০৪ সালে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সক্রিয়ভাবে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আমাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতেই কোন কারণ ছাড়াই আমাকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। ২০০৪ সালে একই দিনে থানা ও পৌর সম্মেলন ডাকা হয়। এ নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়েছিল। তারপর অনানুষ্ঠিকভাবে জেলা যুবলীগের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময় একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে পৌর কমিটি গঠন করা হয়েছিল।  আমি এর প্রতিবাদ করেছিলাম বলে আমাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত দিনের ঘটনাগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে যদি পদ পদবী দেয়া হতো, ত্যাগী নেতার্কীদের মূল্যায়ন করা হতো তাহলে সংগঠন অনেক গতিশীল হতো। নতুন নেতৃত্বও তৈরি হতো। ২০০৯ সালে আমাকে সভাপতি ও আবুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই কমিটির পরিণতি কী হয়েছে তা আজও জানিনা।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের সদস্য নজের মওলা নজরুল বলেন, আহ্বায়ক কমিট দিয়ে এতো বছর কোন সংগঠন চলা উচিৎ নয়। একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দাবি আমারও। তাহলে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হতো।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিল বলেন, জেলা যুবলীগ অনেকবার সম্মেলন করার পদক্ষেপ নিয়েছিল কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় সম্মেলন আর করা হয়নি। বছর দেড়েক আগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় কয়েকজন রাজবাড়ী সার্কিট হাউসে বসে যুবলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে কোনো রকম আলোচনা না করেই একটি কমিটি করে। কেন্দ্রীয় যুবলীগ সেই কমিটি অনুমোদন না দেয়ায় এখনও আহ্বায়ক কমিটি রয়ে গেছে। বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক ঢাকায়  অবস্থান করায় নিয়মিত সভা করা সম্ভব হয়না। যেকারণে যুবলীগের কর্মকান্ড আস্তে আস্তে স্থবির হয়ে পড়ছে। তবে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রমে যুবলীগ অংশগ্রহণ করে থাকে।  জরুরী ভিত্তিতে জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি জানান।
রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, সম্ভবত ২০০৫ সালের শেষের দিকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন যুবলীগের সম্মেলন করতে না পারায় অনেক বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে স্বীকার করে বলেন, কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে সংগঠন পরিচালিত হলে অনেক নতুন নেতৃত্ব তৈরি হতো। অনেকবার চেষ্টা করেও জেলা যুবলীগের সম্মেলন করতে পারিনি। এর কারণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্মেলন ছাড়াই কমিটি গঠন করতে চান। কিন্তু আমি এর পক্ষে নই। নতুন কমিটি করতে হলে সম্মেলনের মাধ্যমেই করতে হবে। আমি ঢাকায় থাকি; আমি তো জেলাতে নেতৃত্ব দেবনা। সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে যেই সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হোক তাতে আমার আপত্তি নাই। একটি সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সরে আসতে পারলে সেটা আমার জন্য সম্মানজনক হতো।
এদিকে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে প্রায় তিন বছর ধরে। রাজবাড়ী জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এ মজিদ বিশ^াসের তথ্য মতে, ২০১৪ সালের প্রথম দিকে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের অগোচরে আবুল হাসেম সুজনকে সভাপতি ও রেজাউল করিম পিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। জেলা বিএনপির সভাপতি বিষয়টি কেন্দ্রকে জানালে কমিটি গঠনের এক সপ্তাহের মধ্যে সে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এরপর আর কোনো জেলা কমিটি গঠন করা হয়নি।
রাজবাড়ী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম পিন্টু বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে আমরা সব সময় রাজপথে থেকেছি। যুবদলের কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনো ভুল বা দোষ ত্রুটি ছিলনা। সংগঠনের কার্যক্রমও গতিশীল ছিল। কিন্তু যারা চায়না নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হোক তারাই চক্রান্ত করে আমাদের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে। যেকোন সময় দু চার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে আমরা সভা সমাবেশ করতে পারি।
রাজবাড়ী জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল হাসেম সুজন বলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম বাবলু খুন হওয়ার পর খৈয়ম ভাই (আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম) ম্যাডামের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন; যুবদলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে বাবলু ভাই খুন হয়েছে। এই ভুল ইনফরমেশনের কারণে কেন্দ্র জেলা যুবদলের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। তবে আমাদের মধ্যেকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই জেলা যুবদলের কমিটি পুনর্গঠিত হবে।