Dhaka ০৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:
সচিবালয় গেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের ফাঁকা গুলি ফেলানী হত্যার বিচার দাবিতে জাগপার বিক্ষোভ পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন ছাত্র আন্দোলনে আহত ১০০ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কনস্যুলেট জেনারেল দুবাইয়ে এনআইডির নিবন্ধন বন্ধ কলেজের ফটকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানার টানালেন শিক্ষার্থীরা ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মধ্যে পুলিশের চাকরি পাচ্ছেন ১০০ জন হাতির মৃত্যুতে সঙ্গীদের আহাজারি, মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে শাবকটি ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত গোবিন্দের জন্যই বলিউডে কাজ পাচ্ছে না মেয়ে, অভিযোগ স্ত্রীর ট্রুডোর পদত্যাগ, কানাডাকে ফের অঙ্গরাজ্য বানাতে চাইলেন ট্রাম্প

প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 29

 

টাঙ্গাইলের ম‌হেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব‌্যাহ‌তি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে তাদেরকে অব‌্যাহ‌তি প্রদান করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, ‘ শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে অদ্য ২ জানুয়ারি অপরাহ্ণ থেকে প্রশিক্ষণ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

অব‌্যাহ‌তি পাওয়া প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলরা রা‌তেই ট্রেনিং সেন্টার ত্যাগ ক‌রে যার যার বাড়িতে রওনা হ‌য়েছে বলে সূত্রে গেছে।

অব্যাহতি পাওয়া প্রশিক্ষণরত কনস্টেবল হলেন- নাটোরের মিনাজুল মোন্না ওরফে মামুন, আব্দুল মান্নান, নওগাঁর জিহাদ হাসান, খুলনার শেখ নাঈম রহমান, যশোরের পাভেল ও ফারদিন, নোয়াখালীর সায়েম ও শহিদুল, গোপালগঞ্জের ইমান, ফরিদপুরের রমজান মিয়া, রাজশাহীর পারভেজ, শরীয়তপুরের রিফাত ও ছাইদুল ওরফে ছাইদুর এবং মুন্সীগঞ্জের তাওহীদ আলম।

ম‌হেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন থেকে ৫৪তম ব্যাচের টাঙ্গাইলের ম‌হেড়া‌ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৭৯৩ জনের ছয় মাস মেয়াদি মৌ‌লিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এর মধ্যে ছয় জন অসুস্থ হওয়ায় তা‌দের বাদ দেওয়া হয়। পরে ৭৮৭ জন কনস্টেবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।

১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণরত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের (টিআরসি) সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও সে‌টির তারিখ বাতিল ক‌রে ১২ জানুয়ারি করা হয়।

আওয়ামী লীগের সমর্থন করায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন খুলনার কয়রা উপজেলার শাহানুর আলমের ছেলে নাঈম রহমান। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরি হয়েছে। আমার গ্রাম ও নিজ নামের আগে শেখ রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট হয়েছে। ওই রিপোর্ট সন্তোষজনক না হওয়ায় আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম ও পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি

প্রকাশের সময় : ০৭:১৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

টাঙ্গাইলের ম‌হেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত ১৪ কনস্টেবলকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব‌্যাহ‌তি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে তাদেরকে অব‌্যাহ‌তি প্রদান করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, ‘ শৃঙ্খলা ভঙ্গজনিত কারণে অদ্য ২ জানুয়ারি অপরাহ্ণ থেকে প্রশিক্ষণ থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’

অব‌্যাহ‌তি পাওয়া প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলরা রা‌তেই ট্রেনিং সেন্টার ত্যাগ ক‌রে যার যার বাড়িতে রওনা হ‌য়েছে বলে সূত্রে গেছে।

অব্যাহতি পাওয়া প্রশিক্ষণরত কনস্টেবল হলেন- নাটোরের মিনাজুল মোন্না ওরফে মামুন, আব্দুল মান্নান, নওগাঁর জিহাদ হাসান, খুলনার শেখ নাঈম রহমান, যশোরের পাভেল ও ফারদিন, নোয়াখালীর সায়েম ও শহিদুল, গোপালগঞ্জের ইমান, ফরিদপুরের রমজান মিয়া, রাজশাহীর পারভেজ, শরীয়তপুরের রিফাত ও ছাইদুল ওরফে ছাইদুর এবং মুন্সীগঞ্জের তাওহীদ আলম।

ম‌হেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুন থেকে ৫৪তম ব্যাচের টাঙ্গাইলের ম‌হেড়া‌ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে ৭৯৩ জনের ছয় মাস মেয়াদি মৌ‌লিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এর মধ্যে ছয় জন অসুস্থ হওয়ায় তা‌দের বাদ দেওয়া হয়। পরে ৭৮৭ জন কনস্টেবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন।

১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণরত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের (টিআরসি) সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও সে‌টির তারিখ বাতিল ক‌রে ১২ জানুয়ারি করা হয়।

আওয়ামী লীগের সমর্থন করায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন খুলনার কয়রা উপজেলার শাহানুর আলমের ছেলে নাঈম রহমান। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরি হয়েছে। আমার গ্রাম ও নিজ নামের আগে শেখ রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট হয়েছে। ওই রিপোর্ট সন্তোষজনক না হওয়ায় আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম ও পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।