- রাজবাড়ীতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন
‘পতিত স্বৈরাচারের লোকজন চারদিকে ঘাপটি মেরে আছে’
- প্রকাশের সময় : ০২:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 47
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের লোকজন চারদিকে ঘাপটি মেরে আছে। ওবায়দুল কাদের এখনও নাক জাগায়নি। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু সে কোথাও না কোথাও অবশ্যই আছে। এই ঘাপটি মারা স্বৈরাচারের দোসর প্রশাসনে আছেন, নানা স্থানে আছেন। আবেদ আলীর সার্ভির্সের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস পাশ করে অনেকেই ডিসি, ইউএনও হয়েছেন। এই আবেদ আলীদের নিয়ে আমরা বহু সংকটে আছি। আবেদ আলীদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে। নির্বাচনে আবেদ আলীরা থাকলে বাক্স খেয়ে ফেলবে। এদের থেকে সজাগ থাকবে হবে।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষ্যে রোববার দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয় চত্বরে প্রস্ততি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর কিছু নতুন বিএনপি সাজার চেষ্টা করছে। তারা ১৬ বছর ঘুমিয়ে ছিল। এরকম অনেক নেতা আছেন। কিন্তু আপনারা মাঠে ছিলেন। কারাগারে গিয়েছেন। জীবন দিয়েছেন। আমরা সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। আমি অনেক আগেই বলেছিলাম, শেখ হাসিনার পতন ঘটবে। আমরা অনেক সংকটের মধ্যে আছি। অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছি। সংগঠন করার সুযোগ পেয়েছি এটা হাতছাড়া করব না। আমরা সুন্দরভাবে সংগঠন করলে একটা চমৎকার কাজ হবে। আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে। দল সংগঠিত থাকবে। দল সংগঠিত না থাকলে ঐক্যবদ্ধ না থাকলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলেন, ইউনিয়ন নির্বাচন বলেন ভালো করা যাবেনা। নিজেদের মধ্যে ভোদাভদ থাকলে ভালো করা যাবেনা। আপনারা ঐক্যবদ্ধ না হলে দেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে সে ষড়যন্ত্র কী করে মোকাবেলা করবেন। আমাদের মহসাচিব প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করে বলেছেন জাতীয় ঐক্য সার্বভৌমত্বের জন্য, নিরাপত্তার জন্য যে সংকট চলছে এটার জন্য পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ আছি। একটা জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে সংকট মোকাবেলা করতে পারে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো শক্তির তরফ থেকে আঘাত আসলে আমরা পাল্টাঘাত করবো। বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ রাষ্ট্র হিসেবে রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত করার চেষ্টা চলছে। ভারত এই প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ আমাদের দেশ। আমাদের দেশের নিরাপত্তা দান করার জন্য আমরাই যথেষ্ট। আমাদের দেশের মানুষ ধর্মসহিষ্ণ। সম্প্রদায়িক নয়। আমাদের দেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক। আমরা সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে এক সাথে চলতে পছন্দ করি।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। পাহারাদার হিসেবে আপনাদের থাকতে হবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য যেমন সজাগ থাকতে হবে তেমনি ভোট পাহারা দেওয়ার জন্যও সজাগ থাকতে হবে। ভারত শুধুমাত্র শেখ হাসিনার সাথে সম্পর্ক রেখেছিল। এদেশের মানুষের সাথে নয়। এক ব্যক্তির জন্য ভারত বাংলাদেশের জনগণের সাথে দুশমনিতে নেমেছে। তারা বাংলাদেশের পরিবর্তনকে মেনে নিতে পারছে না। বাংলাদেশে স্বৈরাচার আর কখনও ফেরত আসবে না। ভারতের উদ্দেশ্যে বলেন, রিয়েলিটি মেনে নিতে হবে। শেখ হাসিনা আর কখনও ক্ষমতায় আসতে পারবে না- এটাই রিয়েলিটি। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের দাদাগিরি পছন্দ করেনা। দাদাগিরি চলবেনা। ভারতকে প্রতিবেশিসুলভ আচরণ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে। দিয়ে দিয়ে আমরা সম্পর্ক করবনা। আমরা ভবিষ্যতে এমন একটি সরকার চাই। যারা ভারতের সরকারের চাখে চোখ রেখে কথা বলতে পারবে। মাথা নিচু করা সরকার না। নতজানু সরকার মানুষ কখনও গ্রহণ করবে না।
রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহŸায়ক অ্যড. লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অ্যড. আসলাম মিয়া, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যড. কামরুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কেএম খালেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক রেজাউল করিম পিন্টু।