Dhaka ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাতারে কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬ পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪১ জন সংবাদটি পড়েছেন

কাতারে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপের মধ্যে বিদেশীদের জন্য নির্ধারিত দু’টি গ্রুপে মোট ১০টি পুরস্কারের ছয়টিই অর্জন করেছেন বাংলাদেশী হাফেজরা। এর মধ্যে দু’টি গ্রুপে প্রথমও হয়েছেন তারা।

স্থানীয় সময় গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে লুসাইলের রিটজ কার্টলন হোটেলে বিজয়ী হাফেজদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় কাতারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী সাইয়েদ ঘানেম বিন শাহীন আল-ঘানেম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

আধুনিক কাতারের স্থপতি শায়খ জাছিম বিন মোহাম্মদ বিন ছানির নামে দেশটিতে প্রতিবছর সরকারিভাবে জাতীয় পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর ছিল এ প্রতিযোগিতার ২৯তম আসর।

প্রতিবছরের মতো এবারো মোট তিনটি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম গ্রুপ আল মুআতিনুন। এখানে শুধু কাতারীরা অংশ নেন। দ্বিতীয় গ্রুপ খাওয়াচ্ছুল হুফফাজ। যেসব হাফেজ কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি করেন, তারা এটিতে অংশ নেন। আর যারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনের বাইরে চাকরি করেন, তাদের জন্য নির্ধারিত গ্রুপটি হলো উমুমুল হুফফাজ।

তৃতীয় গ্রুপ উমুমুল হুফফাজে প্রথম হয়েছেন ঢাকার কেরানীঞ্জ থানার কলমার চর গ্রামের মরহুম হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ এনামুল হাসান, দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের আবু দোজানা মোহাম্মদ ঈসা ইবরাহিম, তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের হেদায়েতুল্লাহ হেমায়েতুল্লাহ, চতুর্থ হয়েছেন মিসরের মাহমুদ আহমাদ ফাতহি ওসমান ও পঞ্চম হয়েছেন বাংলাদেশের মাসউদ আহমাদ।

তারা যথাক্রমে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১ হাজার কাতারি রিয়াল (প্রায় ৩৩ লাখ টাকা), ৮৫ হাজার কাতারি রিয়াল, ৭০ হাজার কাতারি রিয়াল, ৬০ হাজার কাতারি রিয়াল ও ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল।

দ্বিতীয় গ্রুপ খাওয়াচ্ছুল হুফফাজে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বাংলাদেশের উসামা মাওলানা মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন বাংলাদেশের উসামা সিদ্দিক মৌলভি, তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন জর্ডানের মোহাম্মদ ফাউজি আব্দুর রহিম জাবের, চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন ইয়েমেনের ইমাদ মোহাম্মদ আহমাদ আব্দুল্লাহ ও পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ কারী মোহাম্মদ সিদ্দিক রশিদ। তারাও যথাক্রমে উপরোল্লিখিত পুরস্কার পেয়েছেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

কাতারে কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬ পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১০:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কাতারে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপের মধ্যে বিদেশীদের জন্য নির্ধারিত দু’টি গ্রুপে মোট ১০টি পুরস্কারের ছয়টিই অর্জন করেছেন বাংলাদেশী হাফেজরা। এর মধ্যে দু’টি গ্রুপে প্রথমও হয়েছেন তারা।

স্থানীয় সময় গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে লুসাইলের রিটজ কার্টলন হোটেলে বিজয়ী হাফেজদের সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় কাতারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী সাইয়েদ ঘানেম বিন শাহীন আল-ঘানেম বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

আধুনিক কাতারের স্থপতি শায়খ জাছিম বিন মোহাম্মদ বিন ছানির নামে দেশটিতে প্রতিবছর সরকারিভাবে জাতীয় পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ বছর ছিল এ প্রতিযোগিতার ২৯তম আসর।

প্রতিবছরের মতো এবারো মোট তিনটি গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম গ্রুপ আল মুআতিনুন। এখানে শুধু কাতারীরা অংশ নেন। দ্বিতীয় গ্রুপ খাওয়াচ্ছুল হুফফাজ। যেসব হাফেজ কাতার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি করেন, তারা এটিতে অংশ নেন। আর যারা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনের বাইরে চাকরি করেন, তাদের জন্য নির্ধারিত গ্রুপটি হলো উমুমুল হুফফাজ।

তৃতীয় গ্রুপ উমুমুল হুফফাজে প্রথম হয়েছেন ঢাকার কেরানীঞ্জ থানার কলমার চর গ্রামের মরহুম হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ এনামুল হাসান, দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের আবু দোজানা মোহাম্মদ ঈসা ইবরাহিম, তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের হেদায়েতুল্লাহ হেমায়েতুল্লাহ, চতুর্থ হয়েছেন মিসরের মাহমুদ আহমাদ ফাতহি ওসমান ও পঞ্চম হয়েছেন বাংলাদেশের মাসউদ আহমাদ।

তারা যথাক্রমে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১ হাজার কাতারি রিয়াল (প্রায় ৩৩ লাখ টাকা), ৮৫ হাজার কাতারি রিয়াল, ৭০ হাজার কাতারি রিয়াল, ৬০ হাজার কাতারি রিয়াল ও ৫০ হাজার কাতারি রিয়াল।

দ্বিতীয় গ্রুপ খাওয়াচ্ছুল হুফফাজে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বাংলাদেশের উসামা মাওলানা মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন বাংলাদেশের উসামা সিদ্দিক মৌলভি, তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন জর্ডানের মোহাম্মদ ফাউজি আব্দুর রহিম জাবের, চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন ইয়েমেনের ইমাদ মোহাম্মদ আহমাদ আব্দুল্লাহ ও পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ কারী মোহাম্মদ সিদ্দিক রশিদ। তারাও যথাক্রমে উপরোল্লিখিত পুরস্কার পেয়েছেন।