Dhaka ১২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিউটিপার্লারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৩০০ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন : ভালো বেতনে বিউটিপার্লারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে  এক তরুনীকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানা পুলিশের সহযোগীতায় ওই তরুনী উদ্ধার হয়ে সোমবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা মৃত মোসলেমের মেয়ে নাজমা বেগম (৫৫), নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোদরা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম (৩০) ও ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামের মোস্তাক আহমেদের ছেলে সাগর আহমেদ (৩০)।

উদ্ধার হওয়া তরুনী জানায়,  হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সে। পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে সে ঢাকায় একটি দোকানে কাজ নেয়। সেখানে কাজ করার সুবাদে মান্নান নামের এক ব্যাক্তির সাথে তার পরিচয় হয়। বিউটিপার্লারে ভালো বেতনে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁলিয়ে গত ১৩ নভেম্বর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এনে ৫০ হাজার টাকায় নাজমা বাড়িওয়ালীর কাছে তাকে বিক্রি করে দেয় মান্নান।  গত রোববার দিনগত রাতে কৌশলে সে ওই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এসময় আটককৃতরা তাকে ধাওয়া করলে সে চিৎকার-চেচামেমি করে। এসময় স্থানীয়রা ওই ৩জনকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুনীকে উদ্ধার ও ৩জনকে গ্রেপ্তার করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া তরুনী ৪জনকে আসামী করে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করেছে। আটককৃতদের রাজবাড়ীর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বিউটিপার্লারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি

প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন : ভালো বেতনে বিউটিপার্লারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে  এক তরুনীকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানা পুলিশের সহযোগীতায় ওই তরুনী উদ্ধার হয়ে সোমবার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নারীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা মৃত মোসলেমের মেয়ে নাজমা বেগম (৫৫), নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোদরা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম (৩০) ও ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামের মোস্তাক আহমেদের ছেলে সাগর আহমেদ (৩০)।

উদ্ধার হওয়া তরুনী জানায়,  হত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সে। পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে সে ঢাকায় একটি দোকানে কাজ নেয়। সেখানে কাজ করার সুবাদে মান্নান নামের এক ব্যাক্তির সাথে তার পরিচয় হয়। বিউটিপার্লারে ভালো বেতনে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁলিয়ে গত ১৩ নভেম্বর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এনে ৫০ হাজার টাকায় নাজমা বাড়িওয়ালীর কাছে তাকে বিক্রি করে দেয় মান্নান।  গত রোববার দিনগত রাতে কৌশলে সে ওই ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এসময় আটককৃতরা তাকে ধাওয়া করলে সে চিৎকার-চেচামেমি করে। এসময় স্থানীয়রা ওই ৩জনকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুনীকে উদ্ধার ও ৩জনকে গ্রেপ্তার করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া তরুনী ৪জনকে আসামী করে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করেছে। আটককৃতদের রাজবাড়ীর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।