Dhaka ০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেল তরুণী

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৪২০ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন : গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেল ১৮ বছর বয়সী এক তরুনী। শুক্রবার দিনগত রাতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে ওই তরুনীকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়হীনতায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোন মামলা বা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।

শনিবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় উদ্ধার হওয়া তরুনী জানান, তিন বছর আগে রিয়াদ হোসেন রাফি নামে এক ব্যক্তির সাথে তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। নানা কারণে বছর খানেক আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার বাসিন্দা লিনা নামের এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। লিনার সাথে তার একাধিক বার দেখা-স্বাক্ষাতও হয়। লিনার জন্মদিন উপলক্ষে ওই তরুনীকে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। এ জন্য লিনা টিটো (২১) নামের এক যুবককে তাকে আনতে পাঠায়। গত বৃহস্পতিবার টিটো তাকে সাথে করে এনে দৌলতদিয়ার একটি বাড়িতে রেখে যায়। এক পর্যায়ে সে জানতে পারে তাকে যৌনপল্লীতে পাচারের জন্য এখানে আনা হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাড়ি থেকে ওই তরুনীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া তরুনীর পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়। তাঁর নির্দেশে রাতে ওই তরুনীকে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতি (এমএমএস) পরিচালিত সেভ হোমে রাখা হয়। কার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত বলতে পারব না, কারণ যে কাগজে নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সেটা এখন আমার কাছে নেই।

মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান জানান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী সারের নির্দেশে আমারা ওই তরুনীকে সেভ হোমে রাখি। তাদের নির্দেশেই শনিবার ওই তরুনীকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পৌছে দেই।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, শনিবার ভোর ৩ টার দিকে পুলিশের জাতীয় সেবা কেন্দ্র ৯৯৯ থেকে ফোনে ওই তরুনীকে উদ্ধারের নির্দেশনা আসে। দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ওই তরুনীকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে মুক্তি মহিলা সমিতি থেকে বলা হয় সহকারী কমিশনার (ভুমি) ওই তরুনীকে রেখে গেছেন, তাই এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করতে। একপর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে ফিরে আসে। শনিবার দুপুরে মুক্তি মহিলা সমিতির দুই কর্মী দিয়ে ওই তরুনীকে থানায় পাঠিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেল তরুণী

প্রকাশের সময় : ০৭:০২:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন : গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিক্রির হাত থেকে রক্ষা পেল ১৮ বছর বয়সী এক তরুনী। শুক্রবার দিনগত রাতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে ওই তরুনীকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়হীনতায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোন মামলা বা কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।

শনিবার বিকেলে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় উদ্ধার হওয়া তরুনী জানান, তিন বছর আগে রিয়াদ হোসেন রাফি নামে এক ব্যক্তির সাথে তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। নানা কারণে বছর খানেক আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার বাসিন্দা লিনা নামের এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। লিনার সাথে তার একাধিক বার দেখা-স্বাক্ষাতও হয়। লিনার জন্মদিন উপলক্ষে ওই তরুনীকে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। এ জন্য লিনা টিটো (২১) নামের এক যুবককে তাকে আনতে পাঠায়। গত বৃহস্পতিবার টিটো তাকে সাথে করে এনে দৌলতদিয়ার একটি বাড়িতে রেখে যায়। এক পর্যায়ে সে জানতে পারে তাকে যৌনপল্লীতে পাচারের জন্য এখানে আনা হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরে ওই বাড়ি থেকে ওই তরুনীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া তরুনীর পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়। তাঁর নির্দেশে রাতে ওই তরুনীকে স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতি (এমএমএস) পরিচালিত সেভ হোমে রাখা হয়। কার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত বলতে পারব না, কারণ যে কাগজে নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে সেটা এখন আমার কাছে নেই।

মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান জানান, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী সারের নির্দেশে আমারা ওই তরুনীকে সেভ হোমে রাখি। তাদের নির্দেশেই শনিবার ওই তরুনীকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পৌছে দেই।

এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, শনিবার ভোর ৩ টার দিকে পুলিশের জাতীয় সেবা কেন্দ্র ৯৯৯ থেকে ফোনে ওই তরুনীকে উদ্ধারের নির্দেশনা আসে। দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ওই তরুনীকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে মুক্তি মহিলা সমিতি থেকে বলা হয় সহকারী কমিশনার (ভুমি) ওই তরুনীকে রেখে গেছেন, তাই এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করতে। একপর্যায়ে পুলিশ সেখান থেকে ফিরে আসে। শনিবার দুপুরে মুক্তি মহিলা সমিতির দুই কর্মী দিয়ে ওই তরুনীকে থানায় পাঠিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।