Dhaka ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / 38

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল তিন লাখের বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৭৫০ জনের। ২০২৪ সালে আক্রান্ত হয় এক লাখ পাঁচ হাজারের মতো, মারা যান ৫২০ জন। আর চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেশি হলেও মৃত্যুহার তুলনামূলক কম। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনেই ৫০ শতাংশের বেশি রোগী মারা যাচ্ছে, যা ইঙ্গিত করে যে তারা অনেক দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের সচেতনতা এখন সবচেয়ে বড় বিষয়। মশা ধ্বংস, লার্ভা নিধন, এবং মশারি ব্যবহারের মতো ব্যক্তিগত পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব অবহেলা করলে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।

ডা. আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গু প্রথম পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসাতেই সেরে তোলা সম্ভব। কিন্তু সচেতনতার অভাব ও দেরিতে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে মৃত্যুহার বাড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০১:৫১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল তিন লাখের বেশি মানুষ এবং মৃত্যু হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৭৫০ জনের। ২০২৪ সালে আক্রান্ত হয় এক লাখ পাঁচ হাজারের মতো, মারা যান ৫২০ জন। আর চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেশি হলেও মৃত্যুহার তুলনামূলক কম। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনেই ৫০ শতাংশের বেশি রোগী মারা যাচ্ছে, যা ইঙ্গিত করে যে তারা অনেক দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসছেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের সচেতনতা এখন সবচেয়ে বড় বিষয়। মশা ধ্বংস, লার্ভা নিধন, এবং মশারি ব্যবহারের মতো ব্যক্তিগত পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব অবহেলা করলে ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন।

ডা. আবু জাফর বলেন, ডেঙ্গু প্রথম পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসাতেই সেরে তোলা সম্ভব। কিন্তু সচেতনতার অভাব ও দেরিতে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে মৃত্যুহার বাড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।