Dhaka ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছপাড়ায় বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ দলের আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে

পাংশা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 124

 রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির একটি কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ উঠছে দলের আরেকটি গ্রæপের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে, অপর পক্ষ দাবি করেছে ওটি বিএনপির কার্যালয় নয়। ওখান থেকে চাঁদাবাজি করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাংশা উপজেলা বিএনপি সাবেক সাংসদ নাসিরুল হক সাবু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ এ দুটি ভাগে বিভক্ত দীর্ঘদিন ধরে। এই গ্রæপিং ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। মাছপাড়ায় হারুন গ্রæপের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমির উদ্দিন। সাবু গ্রæপের নেতৃত্বে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম টিপু। মাছপাড়া বাজারে অবস্থিত কার্যালয়টি জমির উদ্দিন পক্ষের নেতাকর্মীদের সেখানে বসেন। সোমবার রাত আটটার দিকে কার্যালয়টি ভাংচুর করে প্রতিপক্ষরা।

এবিষয়ে মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমির উদ্দিন বলেন, মাছপাড়া ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই অফিসে বসতেন। ওই সময় তারা কেউ অফিসে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের গ্যাঞ্জাম নিজেরা ঘাড়ে নিয়ে সাবু গ্রæপের টিপু তার লোকজন নিয়ে অফিসটি ভাংচুর করেছে। অফিসে থাকা চেয়ার টেবিল আসবাবপত্র সবকিছু ভেঙে ফেলেছে। শহীদ জিয়া, বেগম জিয়ার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে। ভাংচুরের ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। চাঁদাবাজির যে অভিযোগ প্রতিপক্ষ করেছে তা সঠিক নয় বলে জানান তিনি।

মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম টিপু বলেন, ওটা বিএনপির অফিস নয়। ওখান থেকে চাঁদাবাজি করা হচ্ছিল। তিনি সব সময় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। গত ৯ দিন তিনি ঢাকা ছিলেন। এই ৯ দিনের আট দিন সকাল বিকাল মানুষকে ধরে মেরেছে আর চাঁদাবাজি করেছে। এখন পর্যন্ত তারা চারটি দোকান তালা মেরে রেখেছে। তালা মেরে টাকা দাবি করে। না দিলে ঘর খোলেনা। গত পাঁচ মাস যাবৎ এভাবে চাঁদাবাজি করছে। এখানে আমার গ্রæপের দুজন ছিল। তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার তিনি মাছপাড়া প্লাটফর্মে বসেছিলেন। তখন জানতে পারেন চাঁদা না দেওয়ায় একজনকে পেটাচ্ছে। চাঁদাবাজি করলে তো আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এজন্য আমি এই পদক্ষেপটি নিয়েছি। কোনো চাঁদাবাজি, ভ‚মি দখল এগুলো চলবে না। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এ কী অরাজকতা। তিনি বলেন, আমরা কি এই বিএনপি চেয়েছি।

চাঁদাবাজির বিষয়টি দলীয় হাই কমান্ডকে জানানো হয়েছিল কী না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব এসেছিলেন। তাকে সবকিছু জানিয়েছি।

পাংশা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাসেদুল ইসলাম জানান, মাছপাড়ায় বিএনপির দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে এ দখবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মাছপাড়ায় বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ দলের আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ০৬:০৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

 রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নে বিএনপির একটি কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ উঠছে দলের আরেকটি গ্রæপের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে, অপর পক্ষ দাবি করেছে ওটি বিএনপির কার্যালয় নয়। ওখান থেকে চাঁদাবাজি করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাংশা উপজেলা বিএনপি সাবেক সাংসদ নাসিরুল হক সাবু ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ এ দুটি ভাগে বিভক্ত দীর্ঘদিন ধরে। এই গ্রæপিং ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। মাছপাড়ায় হারুন গ্রæপের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমির উদ্দিন। সাবু গ্রæপের নেতৃত্বে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম টিপু। মাছপাড়া বাজারে অবস্থিত কার্যালয়টি জমির উদ্দিন পক্ষের নেতাকর্মীদের সেখানে বসেন। সোমবার রাত আটটার দিকে কার্যালয়টি ভাংচুর করে প্রতিপক্ষরা।

এবিষয়ে মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জমির উদ্দিন বলেন, মাছপাড়া ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই অফিসে বসতেন। ওই সময় তারা কেউ অফিসে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের গ্যাঞ্জাম নিজেরা ঘাড়ে নিয়ে সাবু গ্রæপের টিপু তার লোকজন নিয়ে অফিসটি ভাংচুর করেছে। অফিসে থাকা চেয়ার টেবিল আসবাবপত্র সবকিছু ভেঙে ফেলেছে। শহীদ জিয়া, বেগম জিয়ার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে। ভাংচুরের ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। চাঁদাবাজির যে অভিযোগ প্রতিপক্ষ করেছে তা সঠিক নয় বলে জানান তিনি।

মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম টিপু বলেন, ওটা বিএনপির অফিস নয়। ওখান থেকে চাঁদাবাজি করা হচ্ছিল। তিনি সব সময় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। গত ৯ দিন তিনি ঢাকা ছিলেন। এই ৯ দিনের আট দিন সকাল বিকাল মানুষকে ধরে মেরেছে আর চাঁদাবাজি করেছে। এখন পর্যন্ত তারা চারটি দোকান তালা মেরে রেখেছে। তালা মেরে টাকা দাবি করে। না দিলে ঘর খোলেনা। গত পাঁচ মাস যাবৎ এভাবে চাঁদাবাজি করছে। এখানে আমার গ্রæপের দুজন ছিল। তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার তিনি মাছপাড়া প্লাটফর্মে বসেছিলেন। তখন জানতে পারেন চাঁদা না দেওয়ায় একজনকে পেটাচ্ছে। চাঁদাবাজি করলে তো আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এজন্য আমি এই পদক্ষেপটি নিয়েছি। কোনো চাঁদাবাজি, ভ‚মি দখল এগুলো চলবে না। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। এ কী অরাজকতা। তিনি বলেন, আমরা কি এই বিএনপি চেয়েছি।

চাঁদাবাজির বিষয়টি দলীয় হাই কমান্ডকে জানানো হয়েছিল কী না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব এসেছিলেন। তাকে সবকিছু জানিয়েছি।

পাংশা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাসেদুল ইসলাম জানান, মাছপাড়ায় বিএনপির দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে এ দখবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।