যেসব ভুলে বন্ধ হতে পারে ইউটিউব চ্যানেল
- প্রকাশের সময় : ১১:৩৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
- / 20
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। ইউটিউব আয় করার অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছেন। এজন্য বর্তমানে অনেকেই ইউটিউবকেই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। যে কোনো চাকরির তুলনায় ইউটিউবে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব। তবে ইউটিউব চ্যানেল চালানো এবং ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানা জরুরি। সেসব নিয়ম মেনে না চললে ব্যবহারকারীর ইউটিউব চ্যানেল ব্লক পর্যন্ত করে দিতে পারে কর্তৃপক্ষ।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী কারণে আপনার ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ হতে পারে।
কপিরাইট লঙ্ঘন করলে
বারবার এমন কন্টেন্ট আপলোড করা উচিত নয়, যার জন্য ব্যবহারকারীকে কপিরাইট স্ট্রাইকের মুখে পড়তে হয়। তিন বার কপিরাইট স্ট্রাইক এলে ব্যবহারকারীর চ্যানেল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন
ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইনস লঙ্ঘন করে, এমন কন্টেন্ট পোস্ট করলে স্ট্রাইক খেতে হতে পারে। যেমন ধরুন-হেট স্পিচ বা ঘৃণা ছড়ানো, হ্যারাসমেন্ট অথবা ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ প্রভৃতি। আর বারবার স্ট্রাইক এলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যায়।
ভুল কন্টেন্ট
ব্যবহারকারী যদি এমন কন্টেন্ট আপলোড করেন, যা স্প্যাম অথবা প্রতারণামূলক। এর ফলে ভুল পথে চালিত হতে পারে ভিউয়াররা। কিংবা ব্যবহারকারী যদি এমন ক্লিকবেইট টাইটল অথবা স্প্যাম ডিটেল ব্যবহার করেন, তাহলেও চ্যানেল বন্ধ হতে পারে।
চ্যানেল কপি করলে
ব্যবহারকারী যদি এমন একটি চ্যানেল ক্রিয়েট করলেন, যা অবিকল অন্য ব্যবহারকারীর চ্যানেলের মতো দেখতে। তাহলেও সেই চ্যানেলকে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
শিশুরক্ষা আইন লঙ্ঘন
অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিপজ্জনক, তাদের শোষণ করে কিংবা অনুপযুক্ত পরিস্থিতিতে রাখে, এমন কন্টেন্ট আপলোড করার ফলে চ্যানেলটি অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ক্ষতিকর অথবা বিপজ্জনক কাজকর্মের প্রচার
ব্যবহারকারী এমন কন্টেন্ট আপলোড করতেন, যা মাদক সেবন, ভুল খাওয়াদাওয়া অথবা নিজস্ব ক্ষতি করার মতো ক্ষতিকর কাজের প্রচার করে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে তার চ্যানেল।
সূত্র : নিউজ ১৮।