Dhaka ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:

বোরো মৌসুমে মিষ্টি পানির অভাব, অনাবাদি হচ্ছে সহস্রাধিক হেক্টর জমি

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 55

সাগর তীরবর্তী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিষ্টি পানির অভাবে বোরো মৌসুমে অনাবাদি থেকে যাচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। এর জন্য কৃষকরা দায়ী করেছেন স্লুইসগেটর অব্যবস্থাপনা, খাল ভরাট, দখল ও বন্দোবস্ত দেওয়াকে।

ইচ্ছা থাকলেও এসব কারণে অনেক কৃষক বোরো আবাদ করতে পারছে না। তবে যে সব খালে মিষ্টি পানি সংরক্ষিত রয়েছে তার কাছাকাছি কিছু জমিতে বোরো চাষ করছেন কৃষকরা।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষ চলমান রয়েছে। তবে এর পরিমান আরও বাড়তে পারে।

জমির মালিক ও বর্গাচাষিরা জানান, তাদের বোরো চাষের ইচ্ছে থাকলেও মিষ্টি পানি না থাকায় চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের মতে বর্ষা শেষে জমি লবনাক্ততা থেকে রক্ষার জন্য স্লুইসগেটগুলো আশ্বিন মাসের শেষ দিকে আটকে দিলে মিষ্টি পানি সংরক্ষিত থাকতো। যা থেকে বোরোসহ রবিশস্য চাষাবাদ করতে পারতেন। তাই এর স্থায়ী সমাধান চান কৃষকরা।

এদিকে কৃষিতে মডেল ইউনিয়ন নীলগঞ্জের খালের পাড় ঘেষা এলেমপুর, নবাবগঞ্জ, সলিমপুর, ইসলামপুর, ঘুটাবাছা, কুমিরমারা গ্রামে কম বেশি বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এছাড়াও উপজেলার যে সমস্ত ইউনিয়নে মিঠাপানির মজুদ রয়েছে সেইসব জায়গায় বোরো ধান চাষ করছেন চাষিরা।

কৃষক আলফাজ গাজী বলেন, আমন মৌসুমে চাষাবাদে বীজ, সার, কিটনাশক, শ্রমিকের মজুরিসহ সকল খরচ বাদ দিয়ে ভালোই লাভ হয়েছে। আগ্রহ বোরো চাষ করার। কিন্তু মিষ্টি পানি না থাকার করণে তা সম্ভব হয়নি।

অপর এক কৃষক পরিতোষ হাওলাদার জানান, তার জমির পাশে খাল নেই। বাড়ির কাছাকাছি অল্প পরিমান জমিতে পুকুরের পানি দিয়ে বোরো চাষ শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন বলেন, গত বছর এ উপজেলায় ১৫ শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এবার লক্ষমাত্রা ২ হাজার হেক্টর। তবে আশা করছি ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হবে। এ লক্ষমাত্রা পূরণে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। কৃষকরা মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে এ উপজেলায় বোরো আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বোরো মৌসুমে মিষ্টি পানির অভাব, অনাবাদি হচ্ছে সহস্রাধিক হেক্টর জমি

প্রকাশের সময় : ০৭:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সাগর তীরবর্তী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিষ্টি পানির অভাবে বোরো মৌসুমে অনাবাদি থেকে যাচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর জমি। এর জন্য কৃষকরা দায়ী করেছেন স্লুইসগেটর অব্যবস্থাপনা, খাল ভরাট, দখল ও বন্দোবস্ত দেওয়াকে।

ইচ্ছা থাকলেও এসব কারণে অনেক কৃষক বোরো আবাদ করতে পারছে না। তবে যে সব খালে মিষ্টি পানি সংরক্ষিত রয়েছে তার কাছাকাছি কিছু জমিতে বোরো চাষ করছেন কৃষকরা।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষ চলমান রয়েছে। তবে এর পরিমান আরও বাড়তে পারে।

জমির মালিক ও বর্গাচাষিরা জানান, তাদের বোরো চাষের ইচ্ছে থাকলেও মিষ্টি পানি না থাকায় চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের মতে বর্ষা শেষে জমি লবনাক্ততা থেকে রক্ষার জন্য স্লুইসগেটগুলো আশ্বিন মাসের শেষ দিকে আটকে দিলে মিষ্টি পানি সংরক্ষিত থাকতো। যা থেকে বোরোসহ রবিশস্য চাষাবাদ করতে পারতেন। তাই এর স্থায়ী সমাধান চান কৃষকরা।

এদিকে কৃষিতে মডেল ইউনিয়ন নীলগঞ্জের খালের পাড় ঘেষা এলেমপুর, নবাবগঞ্জ, সলিমপুর, ইসলামপুর, ঘুটাবাছা, কুমিরমারা গ্রামে কম বেশি বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। এছাড়াও উপজেলার যে সমস্ত ইউনিয়নে মিঠাপানির মজুদ রয়েছে সেইসব জায়গায় বোরো ধান চাষ করছেন চাষিরা।

কৃষক আলফাজ গাজী বলেন, আমন মৌসুমে চাষাবাদে বীজ, সার, কিটনাশক, শ্রমিকের মজুরিসহ সকল খরচ বাদ দিয়ে ভালোই লাভ হয়েছে। আগ্রহ বোরো চাষ করার। কিন্তু মিষ্টি পানি না থাকার করণে তা সম্ভব হয়নি।

অপর এক কৃষক পরিতোষ হাওলাদার জানান, তার জমির পাশে খাল নেই। বাড়ির কাছাকাছি অল্প পরিমান জমিতে পুকুরের পানি দিয়ে বোরো চাষ শুরু করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন বলেন, গত বছর এ উপজেলায় ১৫ শত হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এবার লক্ষমাত্রা ২ হাজার হেক্টর। তবে আশা করছি ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হবে। এ লক্ষমাত্রা পূরণে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে সার ও বীজ প্রদান করা হয়েছে। কৃষকরা মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে এ উপজেলায় বোরো আবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।