Dhaka ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুক চেয়ে মারধর; সিনিয়র সহকারী জজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 20

নীলফামারী জেলার সিনিয়র সহকারী জজ মো. নিয়াজ মাখদুম শিবলীর বিরুদ্ধে যৌতুক চেয়ে মারধরের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. তৌহিদুল ইসলাম সজীব জানান, যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় ২০২৪ সালে মামলাটি দায়ের করলে প্রথমে আদালত আসামিকে হাজির হতে সমন জারি করেন। কিন্তু আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। আদালত রোববার আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদী রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন দক্ষিণ কল্যানপুরের বাসিন্দা আবুল কালামের মেয়ে আফরিদা আইরিন আর্শী (৩০)।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২২ সালেরর ৯ সেপ্টেম্বর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের সময় আসামির দাবি মতে ১২ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া ২০ ভরির স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। বিবাহের পর ধীরে ধীরে বাদিনী লক্ষ্য করেন, আসামি একজন বদমেজাজী, স্বেচ্ছাচারী, নারী নির্যাতনকারী, পরনারীতে আসক্ত, উশৃঙ্খল চালচলনে ও অনৈতিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত।

অভিযোগে বলা হয়, বাদী সঙ্গত কারণে তাকে বাধা দেওয়ায় ও প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময়ে আসামি তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। বাদী স্বামী-সংসার ও ভবিষ্যৎ সুখ-শান্তির কথা চিন্তা করে এবং আইন আদালতের আশ্রয় না নিয়ে সব অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে আসতে থাকেন এবং আসামিকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু আসামির বেপরোয়া চলাচল ও নির্যাতন ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং প্রায়ই গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন।

বাদী প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন এবং তার অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে বাদীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। অতঃপর আর্শীর কাছে আসামি বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করে চাপ সৃষ্টি করে। আর্শী ভবিষ্যৎ সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে পিতা-মাতার কাছ থেকে সাত লাখ টাকা এনে দেন। সর্বশেষ গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে বাদীর বাসায় আপোষের জন্য আসেন নিয়াজ মাখদুম শিবলী এবং সংসার করার কথা বলে তার কাছে ৩০ লাখ টাকা, একটি প্রিমিও গাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট যৌতুক দাবি করেন। না দিলে বাদীকে তালাক প্রদান করবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সিনিয়র সহকারী জজ মো. নিয়াজ মাখদুম শিবলি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন বলে জানা যায়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

যৌতুক চেয়ে মারধর; সিনিয়র সহকারী জজের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

নীলফামারী জেলার সিনিয়র সহকারী জজ মো. নিয়াজ মাখদুম শিবলীর বিরুদ্ধে যৌতুক চেয়ে মারধরের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. তৌহিদুল ইসলাম সজীব জানান, যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় ২০২৪ সালে মামলাটি দায়ের করলে প্রথমে আদালত আসামিকে হাজির হতে সমন জারি করেন। কিন্তু আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় আমরা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। আদালত রোববার আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদী রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন দক্ষিণ কল্যানপুরের বাসিন্দা আবুল কালামের মেয়ে আফরিদা আইরিন আর্শী (৩০)।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২২ সালেরর ৯ সেপ্টেম্বর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে তাদের বিবাহ হয়। বিবাহের সময় আসামির দাবি মতে ১২ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া ২০ ভরির স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। বিবাহের পর ধীরে ধীরে বাদিনী লক্ষ্য করেন, আসামি একজন বদমেজাজী, স্বেচ্ছাচারী, নারী নির্যাতনকারী, পরনারীতে আসক্ত, উশৃঙ্খল চালচলনে ও অনৈতিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত।

অভিযোগে বলা হয়, বাদী সঙ্গত কারণে তাকে বাধা দেওয়ায় ও প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময়ে আসামি তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। বাদী স্বামী-সংসার ও ভবিষ্যৎ সুখ-শান্তির কথা চিন্তা করে এবং আইন আদালতের আশ্রয় না নিয়ে সব অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে আসতে থাকেন এবং আসামিকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু আসামির বেপরোয়া চলাচল ও নির্যাতন ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং প্রায়ই গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন।

বাদী প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন এবং তার অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে বাদীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। অতঃপর আর্শীর কাছে আসামি বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করে চাপ সৃষ্টি করে। আর্শী ভবিষ্যৎ সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে পিতা-মাতার কাছ থেকে সাত লাখ টাকা এনে দেন। সর্বশেষ গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে বাদীর বাসায় আপোষের জন্য আসেন নিয়াজ মাখদুম শিবলী এবং সংসার করার কথা বলে তার কাছে ৩০ লাখ টাকা, একটি প্রিমিও গাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট যৌতুক দাবি করেন। না দিলে বাদীকে তালাক প্রদান করবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সিনিয়র সহকারী জজ মো. নিয়াজ মাখদুম শিবলি বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন বলে জানা যায়।