Dhaka ০৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে বিকাশ ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ১

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৬৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

 রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিকাশ ব্যবসায়ী মো. আলমগীর কবির হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে হেলাল নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হেলাল মোল্লা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী থানার কুন্ডের বাজার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত হেলাল উদ্দিন রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বরাট বাজারে কাশিমা গ্রামের মৃত মুন্তাজ মোল্লার ছেলে। নিহত মো. আলমগীর কবির (৪৮) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুতরাহাটি গ্রামের মৃত আবুল কালাম মোল্লার ছেলে। তার গোয়ালন্দ উপজেলার রসুলপুর বাজারে বিকাশের দোকান ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হেলাল মোল্লার আপন ছোট ভাই হারুন মোল্লার শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা এলাকায়। নিহত আলমগীরের বাড়িও নগরকান্দা এলাকায়। সেই সুবাদে আলমগীর কবিরের সঙ্গে আসামি হারুন মোল্লার পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর চার বছর আগে দেশে ফিরে আলমগীর গোয়ালন্দের রসুলপুর বাজারে মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করেন। আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আলমগীর আবার বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। পূর্বপরিচিত হওয়ায় বিদেশে যাওয়ার জন্য আলমগীর হারুনকে কিছু টাকা দেন। কিন্তু হারুন তাকে ঘোরাতে থাকে। গত ৩০ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে হারুন মোল্লা ও আলমগীর নিজ বাড়ি থেকে পাসপোর্ট করার জন্য ফরিদপুরে যায়। পরবর্তী সময়ে ওই দিন দুপুর ১টার দিকে তার পরিবারের লোকজন আলমগীর কবিরের মোবাইল বন্ধ পান। আলমগীরকে মদ খাইয়ে অচেতন করে ওই অবস্থায় অটোতে করে আবার গোয়ালন্দে তার ভাই হেলাল মোল্লার বাড়িতে নিয়ে আসে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘর থেকে আলমগীরকে ভ্যান চালিয়ে আলমগীরকে হত্যা করার জন্য তাকে নিয়ে জমিদার ব্রিজ, বেড়িবাধ ও বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২ ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করে কোথাও সুযোগ না পেয়ে বিএনপির বটতলা থেকে পেয়ার আলী মোড়ে যাওয়ার রাস্তায় কাদেরের কলাবাগানের কাছে নিয়ে গিয়ে আলমগীকে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই মো. ইছাহাক মোল্লা (৩৬) বাদী হয়ে ৩১ আগস্ট রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর এই মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ কাজ শুরু করে। পরে শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে হেলাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আলমগীর হত্যাকান্ডে জড়িত হেলালকে মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী থানার কুন্ডের বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গোয়ালন্দে বিকাশ ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ১

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

 রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিকাশ ব্যবসায়ী মো. আলমগীর কবির হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগে হেলাল নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হেলাল মোল্লা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী থানার কুন্ডের বাজার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত হেলাল উদ্দিন রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বরাট বাজারে কাশিমা গ্রামের মৃত মুন্তাজ মোল্লার ছেলে। নিহত মো. আলমগীর কবির (৪৮) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের ধুতরাহাটি গ্রামের মৃত আবুল কালাম মোল্লার ছেলে। তার গোয়ালন্দ উপজেলার রসুলপুর বাজারে বিকাশের দোকান ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হেলাল মোল্লার আপন ছোট ভাই হারুন মোল্লার শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা এলাকায়। নিহত আলমগীরের বাড়িও নগরকান্দা এলাকায়। সেই সুবাদে আলমগীর কবিরের সঙ্গে আসামি হারুন মোল্লার পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থাকার পর চার বছর আগে দেশে ফিরে আলমগীর গোয়ালন্দের রসুলপুর বাজারে মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা করেন। আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় আলমগীর আবার বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। পূর্বপরিচিত হওয়ায় বিদেশে যাওয়ার জন্য আলমগীর হারুনকে কিছু টাকা দেন। কিন্তু হারুন তাকে ঘোরাতে থাকে। গত ৩০ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে হারুন মোল্লা ও আলমগীর নিজ বাড়ি থেকে পাসপোর্ট করার জন্য ফরিদপুরে যায়। পরবর্তী সময়ে ওই দিন দুপুর ১টার দিকে তার পরিবারের লোকজন আলমগীর কবিরের মোবাইল বন্ধ পান। আলমগীরকে মদ খাইয়ে অচেতন করে ওই অবস্থায় অটোতে করে আবার গোয়ালন্দে তার ভাই হেলাল মোল্লার বাড়িতে নিয়ে আসে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘর থেকে আলমগীরকে ভ্যান চালিয়ে আলমগীরকে হত্যা করার জন্য তাকে নিয়ে জমিদার ব্রিজ, বেড়িবাধ ও বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২ ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করে কোথাও সুযোগ না পেয়ে বিএনপির বটতলা থেকে পেয়ার আলী মোড়ে যাওয়ার রাস্তায় কাদেরের কলাবাগানের কাছে নিয়ে গিয়ে আলমগীকে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়।

এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই মো. ইছাহাক মোল্লা (৩৬) বাদী হয়ে ৩১ আগস্ট রাতে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর এই মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ কাজ শুরু করে। পরে শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে হেলাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, আলমগীর হত্যাকান্ডে জড়িত হেলালকে মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী থানার কুন্ডের বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।