Dhaka ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সভামঞ্চে পলকের শ্যালিকা, শোকজ খেলেন চাচা শ্বশুর

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 20

বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ‌মেদ পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমান উপস্থিত থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

অবশেষে সমালোচনার মুখে পলকের আপন চাচা শ্বশুর সিংড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নাটোর জেলা বিএনপি। ওই নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ।

এর আগে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া উপজেলায় কোর্ট মাঠে ওই জনসভা হয়। জনসভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও একই মঞ্চে ছিলেন।

ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিনের চাচাতো বোন এবং সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজি। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনু।

বিএনপির স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ আয়োজনে শুক্রবার জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তার সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী গোলাম মোর্শেদ, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ এমদাদুল হক আল মামুনও মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

সূত্রে আরও জানা যায়, এ সময় রহিম নেওয়াজ ও শেখ এমদাদুল হক আল মামুনের ঠিক পেছনের চেয়ারেই বসে ছিলেন পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমান। বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে শুক্রবার রাতেই ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে ফারজানা রহমান বলেন, যুব মহিলা লীগে তার কোনো পদ ছিলনা। বিএনপির সভামঞ্চে বসে থাকার বিষয়েও তার কোনো রাজনৈতিক অভিপ্রায় ছিলনা। মূলত তিনি সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় বিএনপির জনসভার মঞ্চে বসেছিলেন।

জনসভার প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমানসহ সিংড়ার অনেককেই তিনি চেনেন না। মঞ্চে ফারজানার আসন গ্রহণের বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি তিনি। তবে সভা চলাকালে ঘটনাটি জানার পর ফারজানাকে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বিএনপির সভামঞ্চে পলকের শ্যালিকা, শোকজ খেলেন চাচা শ্বশুর

প্রকাশের সময় : ১১:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপির জনসভা মঞ্চে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ‌মেদ পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমান উপস্থিত থাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

অবশেষে সমালোচনার মুখে পলকের আপন চাচা শ্বশুর সিংড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নাটোর জেলা বিএনপি। ওই নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ।

এর আগে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিংড়া উপজেলায় কোর্ট মাঠে ওই জনসভা হয়। জনসভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও একই মঞ্চে ছিলেন।

ডা. ফারজানা রহমান দৃষ্টি পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিনের চাচাতো বোন এবং সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আনোয়ারুল ইসলাম আনুর ভাতিজি। জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সিংড়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ারুল ইসলাম আনু।

বিএনপির স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ আয়োজনে শুক্রবার জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তার সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী গোলাম মোর্শেদ, নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ এমদাদুল হক আল মামুনও মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

সূত্রে আরও জানা যায়, এ সময় রহিম নেওয়াজ ও শেখ এমদাদুল হক আল মামুনের ঠিক পেছনের চেয়ারেই বসে ছিলেন পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমান। বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে শুক্রবার রাতেই ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিএনপিতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে ফারজানা রহমান বলেন, যুব মহিলা লীগে তার কোনো পদ ছিলনা। বিএনপির সভামঞ্চে বসে থাকার বিষয়েও তার কোনো রাজনৈতিক অভিপ্রায় ছিলনা। মূলত তিনি সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় বিএনপির জনসভার মঞ্চে বসেছিলেন।

জনসভার প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, পলকের শ্যালিকা ফারজানা রহমানসহ সিংড়ার অনেককেই তিনি চেনেন না। মঞ্চে ফারজানার আসন গ্রহণের বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি তিনি। তবে সভা চলাকালে ঘটনাটি জানার পর ফারজানাকে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।