জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিং
স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিতেই যৌনকর্মীকে হত্যা \ গ্রেপ্তার ৩
- প্রকাশের সময় : ০৫:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
- / ১০৩৯ জন সংবাদটি পড়েছেন
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় সুমি নামে এক যৌনকর্মী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সুমির স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিতেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাইকশা মাঝাইল গ্রামের আমদ সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের, একই উপজেলার নিচুনপুর গ্রামের মো. জয়নাল শেখের ছেলে রাসেল শেখ এবং পাইকশা মাঝাইল গ্রামের মাজহারুল শেখের ছেলে মো. মুরাদ শেখ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সুমী দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর জাহাঙ্গীর দবিরের বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকতেন। গত ৭ অক্টোবর রাতে তার তিন খদ্দেরকে নিয়ে তার ঘরে যায়। পরদিন সেখান থেকে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ তদন্তে নামে। এটি ছিল একটি ক্লুলেস মামলা। যৌনপল্লী ও আশে পাশে তাদের সোর্সদের সক্রিয় করেন। সোর্সদের দেওয়া তথ্যমতে জানতে পারেন, ওই সময়ের মধ্যে কারা সুমীর ঘরে ঢুকেছিল। এরপর তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে আব্দুল কাদেরকে রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুর থেকে, রাসেল শেখ ও মো. মুরাদ শেখকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া বিশমাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে সুমীর হাতের ব্রেসলেট, একটি টিকলি, ছিনিয়ে নেওয়া ১৪ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে ১ হাজার ৬৫৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। মূলত স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতেই তারা সুমীকে হত্যা করে। তাদের আরও বড় উদ্দেশ্য ছিল। গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে দোষ স্বীকার করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার শামিমা পারভীন, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরীফ আল রাজীব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ প্রমুখ।