Dhaka ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুর বিস্তার

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০২৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুর বিস্তার ধীরে ধীরে বাড়ছে। চলতি সেপ্টেম্বরে জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদরেই ১৯ জন। বর্তমানে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সাতজন রোগী। তবে, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি। সাধারণ রোগীদের সাথেই চলছে তাদের চিকিৎসা। যদিও এটি ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নীচতলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের। দুই একজন মশারির ভেতরে রয়েছেন। অন্যরা রয়েছেন মশারি ছাড়া। কেউ বসে আছেন বেডে, কেউ পায়চারি করছেন।

রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা গোলাপ আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার তার জ¦র আসে। জ¦র ক্রমেই বাড়তে থাকে। ওষুধ খেয়েও জ¦র কমেনি। পরে গত রোববার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষর পর তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। জ¦রের পর স্বাভাবিকভাবে তিনি কিছু খেতে পারেননি। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ।

হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স রোকসানা পারভীন জানান, জায়গা সংকটের কারণে ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা ওয়ার্ড করা হয়নি। তারা সার্বক্ষণিক রোগীদের প্রতি নজর রাখছেন।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. এসএমএ হান্নান বলেন, গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে রাজবাড়ী হাসপাতালে। তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইতিপূর্বে যারা ভর্তি হয়েছিল তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ডেঙ্গু রোগীদের মশারীর ভেতরে রাখা হচ্ছে। যেকারণে সাধারণ রোগীদের জন্য সেটা সমস্যা হবেনা। জায়গা সংকুলানের কারণে আলাদা ওয়ার্ড করা যাচ্ছে না। তবে আড়াইশ শয্যার ভবনটি খুব শীগগীর হস্তান্তর করা হলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হবে। ডেঙ্গু জ¦রের পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে হাসপাতালে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য জনগণকে সতর্ক হওয়ার আহŸান জানিয়ে বলেন, বৃষ্টির পানি কোনোমতেই ৪৮ ঘণ্টার বেশি যেন জমে না থাকে। যেসব জায়গায় নোংরা আবর্র্জনা সেখানে মশার জন্ম বেশি হয়। একারণে নোংরা আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে।  সকলকে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত জেলার অন্য চারটি উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলায় আটজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলা সির্ভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ছয়জন, গোয়ালন্দে একজন এবং পাংশায় একজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা সকলেই সুস্থ আছেন।

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুর বিস্তার

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

 রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুর বিস্তার ধীরে ধীরে বাড়ছে। চলতি সেপ্টেম্বরে জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদরেই ১৯ জন। বর্তমানে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে সাতজন রোগী। তবে, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি। সাধারণ রোগীদের সাথেই চলছে তাদের চিকিৎসা। যদিও এটি ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের নীচতলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের। দুই একজন মশারির ভেতরে রয়েছেন। অন্যরা রয়েছেন মশারি ছাড়া। কেউ বসে আছেন বেডে, কেউ পায়চারি করছেন।

রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা গোলাপ আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার তার জ¦র আসে। জ¦র ক্রমেই বাড়তে থাকে। ওষুধ খেয়েও জ¦র কমেনি। পরে গত রোববার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষর পর তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। জ¦রের পর স্বাভাবিকভাবে তিনি কিছু খেতে পারেননি। এখন তিনি মোটামুটি সুস্থ।

হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স রোকসানা পারভীন জানান, জায়গা সংকটের কারণে ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা ওয়ার্ড করা হয়নি। তারা সার্বক্ষণিক রোগীদের প্রতি নজর রাখছেন।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. এসএমএ হান্নান বলেন, গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে রাজবাড়ী হাসপাতালে। তাদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইতিপূর্বে যারা ভর্তি হয়েছিল তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ডেঙ্গু রোগীদের মশারীর ভেতরে রাখা হচ্ছে। যেকারণে সাধারণ রোগীদের জন্য সেটা সমস্যা হবেনা। জায়গা সংকুলানের কারণে আলাদা ওয়ার্ড করা যাচ্ছে না। তবে আড়াইশ শয্যার ভবনটি খুব শীগগীর হস্তান্তর করা হলে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করা হবে। ডেঙ্গু জ¦রের পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে হাসপাতালে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য জনগণকে সতর্ক হওয়ার আহŸান জানিয়ে বলেন, বৃষ্টির পানি কোনোমতেই ৪৮ ঘণ্টার বেশি যেন জমে না থাকে। যেসব জায়গায় নোংরা আবর্র্জনা সেখানে মশার জন্ম বেশি হয়। একারণে নোংরা আবর্জনা পরিস্কার করতে হবে।  সকলকে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত জেলার অন্য চারটি উপজেলার মধ্যে তিনটি উপজেলায় আটজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলা সির্ভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ছয়জন, গোয়ালন্দে একজন এবং পাংশায় একজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা সকলেই সুস্থ আছেন।