রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে ঢুকে শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি বাইরের ‘শিক্ষার্থী’দের \ কলেজের ছাত্রীদের তীব্র প্রতিবাদ
- প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১০৭৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
‘রাজবাড়ীর সাধারণ জনগণ ও ছাত্রসমাজ’ এর ব্যানারে একদল ছাত্র এবং কিছু সংখ্যক ছাত্রী রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে ঢুকে পদত্যাগ দাবি করেন কলেজটির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহিল হাসানের। বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কলেজের ছাত্রীরা। মিছিল করে ‘পদত্যাগ চাইনা’ ¯েøাগান দেন তারা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে গিয়ে আব্দুল্লাহিল হাসানের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন ¯েøাগান দেয়। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করে তাদের ১২টি লিখিত অভিযোগ সম্বলিত কাগজ পেশ করে। এসময় পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়। এ খবর কলেজে ছড়িয়ে পড়লে কলেজের ছাত্রীরা শিক্ষক আব্দুল্লাহিল হাসানের ‘পদত্যাগ চাই না’ ¯েøাগান দিয়ে মিছিল বের করে।
এবিষয়ে আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র সাকিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ঢাকায় পড়াশোনা করেন। রাজবাড়ীর সহপাঠি ছাত্র-ছাত্রীরা আব্দুল্লাহিল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। একারণে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ কী জানতে চাইলে বলেন, আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত দিয়ে এসেছি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় এব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন।
রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষার্থী অনন্যা অনু জানান, আমার কলেজের শিক্ষকের ভালো মন্দ আমরা বুঝব। বাইরে থেকে এসে তারা শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করার কে। হাসান স্যার কখনই ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন না। যারা আন্দোলন করতে এসেছিল তাদের ছাত্র বলে মনে হয়নি। অনেকের ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড ছিলনা। তাহলে তারা কীসের ছাত্র। আর এটা মহিলা কলেজ। ছাত্ররা আমাদের কলেজে কেন ঢুকবে? আমরা মিছিল বের করার পর ওরা আমাদের কট‚ক্তি করেছে। খারাপ কথা বলেছে। এআই দিয়ে ছবি করার হুমকিও দিয়েছে। একটা ঝামেলা করার জন্য এই আন্দোলন করা হয়েছে। এটা একটা রাজনীতি বলে মনে করেন তিনি।
¯œাতকের ছাত্রী যুথি বলেন, আমি ৪ বছর ধরে এ কলেজে পড়ছি। আমরা কখনও হাসান স্যারের খারাপ কিছু দেখিনি। ওরা বাইরে থেকে এসে আন্দোলন করার কে।
দুপুর ২টার দিকে রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ একেএম ইকরামুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাইরের কলেজের ছাত্ররা কীভাবে মহিলা কলেজে ঢুকল? বলেন, ওরা জোর করে ঢুকেছে। আব্দুল্লাহিল হাসানের বিরুদ্ধে যে ১২টি অভিযোগ করা হয়েছে তা কতটা যৌক্তিক এ প্রশ্ন করার পর সেখানে উপস্থিত কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ পারভেজকে উত্তর দিতে বলেন। শাহনেওয়াজ পারভেজ বলেন, আব্দুল্লাহিল হাসান কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোতে খুবই কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরীক্ষার নিয়মনীতি মেনে চলেন। এসব কারণে এ কলেজে যারা পরীক্ষা দেয় সেসব ছাত্র বা ছাত্রীরা তার প্রতি ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছে আব্দুল্লাহিল হাসানকে সরিয়ে দিতে পারলে তাদের সুবিধা হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনো কোনোটি আমরা কল্পনাও করতে পারি না। প্রায় সব দাবিগুলোই অযৌক্তিক। এই কলেজের ছাত্রীরা তার পদত্যাগ চায়না বলেও আন্দোলন করছে। এসব বিষয় আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।