Dhaka ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামলা মারামারি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে বালিয়াকান্দিতে অনুষ্ঠিত হলো উপজেলা নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • / ১০৫৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হামলা পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। তদুপরি নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলে দাবি করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। মঙ্গলবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ছয়টি হামলা সংঘর্ষের ঘটে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ আনারস প্রতীক নিয়ে এবং রেলমন্ত্রীর চাচাতো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।

জানা গেছে, সকালে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চরদক্ষিণবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাসান খান ভোট দিতে যাওয়ার সময় তাকে কুিপয়ে জখম করা হয়। তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আনারস প্রতীকের সমর্থক। এ ইউনিয়নের মীর মশাররফ হোসেন কলেজ কেন্দ্রের কাছে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। ভোট দিতে যাওয়ার সময়  মোটরসাইকেলের কর্মীরা সাধারণ ভোটারদের বাধা দেওয়ার কারণে এ সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। সংঘর্ষে আবু সাইদ নামে আনারসের একজন সমর্থক আহত হয়। এছাড়া হিজলি, বরইচারা ও ইন্দুরদি এলাকায় ঘটেছে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা। মোটরসাইকেলের এক সমর্থক জালভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

 চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, প্রতিদ্ব›দ্বী সাধনের লোকজন নির্বাচনের শুরু থেকেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার কর্মীদের উপর হামলা করেছে। নির্বাচনের দিন বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। তার কর্মীদের উপর হামলা করেছে। মারধর করেছে। কুপিয়ে জখম করেছে। একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের জন্য বারংবার তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। তারা চেয়েছিলেন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু যেভাবে নির্বাচন হলো তাতে কিছুতেই এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলার উপায় নেই।

প্রতিদ্ব›িদ্ব চেয়ারম্যান প্রার্থী এহসানুল হাকিম সাধন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উনি তো শুরু থেকেই ্আমার উপর নানান রকম দোষারোপ করে আসছেন। নির্বাচনে গ্যাঞ্জামের কথা তিনি শুনেছেন। কিন্তু আমি আমার লোকের কাছে জিজ্ঞেস করেছি। তারা এসব অস্বীকার করেছে। তার লোক কোথাও কারও উপর হামলা করেনি। তিনি প্রশ্ন রাখেন যেখানে হামলা বা সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে কি আবুল কালাম আজাদ দাঁড়িয়ে দেখেছেন যে আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি তার।

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, সার্বিকভাবে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যদিও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছে। সেখানে আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। যে কারণে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে বলেন, এ অভিযোগ দুই প্রার্থীই করেছে। অনেক জায়গায় পোলিং এজেন্ট দিতেও পারেনি প্রার্থীরা।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

হামলা মারামারি বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে বালিয়াকান্দিতে অনুষ্ঠিত হলো উপজেলা নির্বাচন

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হামলা পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। তদুপরি নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলে দাবি করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। মঙ্গলবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ছয়টি হামলা সংঘর্ষের ঘটে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ আনারস প্রতীক নিয়ে এবং রেলমন্ত্রীর চাচাতো ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।

জানা গেছে, সকালে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের চরদক্ষিণবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হাসান খান ভোট দিতে যাওয়ার সময় তাকে কুিপয়ে জখম করা হয়। তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আনারস প্রতীকের সমর্থক। এ ইউনিয়নের মীর মশাররফ হোসেন কলেজ কেন্দ্রের কাছে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। ভোট দিতে যাওয়ার সময়  মোটরসাইকেলের কর্মীরা সাধারণ ভোটারদের বাধা দেওয়ার কারণে এ সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে। সংঘর্ষে আবু সাইদ নামে আনারসের একজন সমর্থক আহত হয়। এছাড়া হিজলি, বরইচারা ও ইন্দুরদি এলাকায় ঘটেছে হামলা সংঘর্ষের ঘটনা। মোটরসাইকেলের এক সমর্থক জালভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।

 চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, প্রতিদ্ব›দ্বী সাধনের লোকজন নির্বাচনের শুরু থেকেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার কর্মীদের উপর হামলা করেছে। নির্বাচনের দিন বেশ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। তার কর্মীদের উপর হামলা করেছে। মারধর করেছে। কুপিয়ে জখম করেছে। একটি সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের জন্য বারংবার তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। তারা চেয়েছিলেন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু যেভাবে নির্বাচন হলো তাতে কিছুতেই এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলার উপায় নেই।

প্রতিদ্ব›িদ্ব চেয়ারম্যান প্রার্থী এহসানুল হাকিম সাধন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উনি তো শুরু থেকেই ্আমার উপর নানান রকম দোষারোপ করে আসছেন। নির্বাচনে গ্যাঞ্জামের কথা তিনি শুনেছেন। কিন্তু আমি আমার লোকের কাছে জিজ্ঞেস করেছি। তারা এসব অস্বীকার করেছে। তার লোক কোথাও কারও উপর হামলা করেনি। তিনি প্রশ্ন রাখেন যেখানে হামলা বা সংঘর্ষ হয়েছে সেখানে কি আবুল কালাম আজাদ দাঁড়িয়ে দেখেছেন যে আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি তার।

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, সার্বিকভাবে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যদিও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছে। সেখানে আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। যে কারণে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিষয়ে বলেন, এ অভিযোগ দুই প্রার্থীই করেছে। অনেক জায়গায় পোলিং এজেন্ট দিতেও পারেনি প্রার্থীরা।