Dhaka ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহে গিয়ে লাঞ্ছিত ৩ সাংবাদিক

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১০৫৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের তথ্য চাওয়ায় তিন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামান। সোমবার দুপুরে মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। লাঞ্ছিত তিন সাংবাদিক হলেন মাছরাঙা টেলিভিশন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ইমরান হোমেন মনিম, দৈনিক গণকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান ও দৈনিক সময়ের কাগজের জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামান ও তার লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। সেখানে লাল গেঞ্জি পরিহিত এক ব্যক্তি সাংবাদিক ইমরানকে মারতে উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামান সাংবাদিক ইমরানকে ধাক্কা দিয়ে বারান্দা থেকে নীচে ফেলে দেন।

মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি ইমরান হোসেন মনিম বলেন, তিনিসহ কয়েকজন সহকর্মী মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহে যান। চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামানের কাছে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি (চেয়ারম্যান) তার উপর চড়াও হন। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শেখ. মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, তেমন কোনো ঘটনা না। আমি ভিজিএফ চাল বিতরণ করছিলাম। এসময় চার পাঁচজন সাংবাদিক সেখানে যায়। ইমরান আমাকে বলে, আপনি চাল চুরি করে বিক্রি করেছেন। আমি বললাম, চাল বিক্রির সময় কোথায়। সারাদিন বিতরণ কার্যক্রমে ব্যস্ত আছি। বিষয়টি নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। বলেন, আমি ধাক্কা দেইনি বা তাকে ফেলে দেইনি। একটু এগিয়ে গিয়েছিলাম। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বরখাস্ত করার ১৩ পর তিনি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেয়েছেন।

 এদিকে তিনজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মো. জহুরুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র শীল চন্দন, রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি লিটন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক রুবেলুর রহমান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে আদালতে বিচারাধীন মামলার পক্ষ নিয়ে সনদ দেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর শেখ. মো. ওহিদুজ্জামানবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহে গিয়ে লাঞ্ছিত ৩ সাংবাদিক

প্রকাশের সময় : ০৯:২৭:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের তথ্য চাওয়ায় তিন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামান। সোমবার দুপুরে মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রাজবাড়ী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। লাঞ্ছিত তিন সাংবাদিক হলেন মাছরাঙা টেলিভিশন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ইমরান হোমেন মনিম, দৈনিক গণকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান ও দৈনিক সময়ের কাগজের জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামান ও তার লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। সেখানে লাল গেঞ্জি পরিহিত এক ব্যক্তি সাংবাদিক ইমরানকে মারতে উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামান সাংবাদিক ইমরানকে ধাক্কা দিয়ে বারান্দা থেকে নীচে ফেলে দেন।

মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি ইমরান হোসেন মনিম বলেন, তিনিসহ কয়েকজন সহকর্মী মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদে ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহে যান। চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামানের কাছে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি (চেয়ারম্যান) তার উপর চড়াও হন। তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শেখ. মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, তেমন কোনো ঘটনা না। আমি ভিজিএফ চাল বিতরণ করছিলাম। এসময় চার পাঁচজন সাংবাদিক সেখানে যায়। ইমরান আমাকে বলে, আপনি চাল চুরি করে বিক্রি করেছেন। আমি বললাম, চাল বিক্রির সময় কোথায়। সারাদিন বিতরণ কার্যক্রমে ব্যস্ত আছি। বিষয়টি নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি একটু উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি। বলেন, আমি ধাক্কা দেইনি বা তাকে ফেলে দেইনি। একটু এগিয়ে গিয়েছিলাম। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বরখাস্ত করার ১৩ পর তিনি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেয়েছেন।

 এদিকে তিনজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মো. জহুরুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র শীল চন্দন, রাজবাড়ী জেলা রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি লিটন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, যুগ্ম সম্পাদক রুবেলুর রহমান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে আদালতে বিচারাধীন মামলার পক্ষ নিয়ে সনদ দেওয়ার অভিযোগে ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর শেখ. মো. ওহিদুজ্জামানবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।