Dhaka ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালুখালীতে ঈগলের ক্যাম্পের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১০৭৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

  রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হকের প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পের অদূরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ এবং তার কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে আমি আমার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু একটি পক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানাভাবে পাঁয়তারা করছে। তারা প্রতিনিয়ত আমার কর্মীদের উপর হামলা, হুমকি, ধমকি দিচ্ছে। প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। যা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অন্তরায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ ডিসেম্বর শনিবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথুনদিয়া গ্রামে আমার প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পের অদূরে একশ গজের মধ্যে মৃগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমার কর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতির সৃষ্টি হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই দুস্কর্মের সাথে আরও রয়েছে মাজবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলা পরিষদের সদস্য ইউসুফ মেম্বারের ছেলে সোহেল ও রাসেল, মাঝবাড়ির চরকুলটিয়া গ্রামের আরজু, মৃগী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা দাউদসহ বেশ কয়েকজন। একই দিন মৃগী ইউনিয়নের নেয়ামতপুর মোড়ে আমার প্রচার মাইকের চালক মো. কলমকে মারধর মাঝবাড়ি ইউনিয়নের চরকুলটিয়ার আরজুসহ কয়েকজন। এরা সবাই নৌকার সমর্থক।

মৃগী ইউনিয়নের গাংবথুনদিয়া আমার বাড়ি। আমার বাড়ির বিপরীত দিকে মতিন চেয়ারমানের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের বিশাল প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু, আমার কাছে তথ্য এসেছে, ওই নৌকার প্রতিকৃতি/অফিস তারা নিজেরা ভেঙে অথবা পুড়িয়ে আমার বা আমার ঈগল প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে। এমন ঘটনা আমার নির্বাচনী এলাকা পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘটাতে পারে বলেও বিশ^স্ত সূত্রে জানতে পেরেছি। এ ধরনের ঘটনায় আপনাদের প্রতিশ্রæত জাতীয় সংসদের সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ বিঘিœত হতে পারে। এছাড়া নৌকার সমর্থকরা প্রতিনিয়ত আমার অফিসের সামনে দিয়ে আমার সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছে। যেকারণে আমার কর্মীরা নির্ভয়ে নির্বিঘেœ কাজ করতে পারছে না।

জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের ভ‚মিকা এবং রাজবাড়ী জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্যোগেও আমরা সন্তুষ্ট। ইতিমধ্যে আপনাদের গ্রহণ করা সকল উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু উপরোক্ত ঘটনাবলী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায়। যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে।

উপরোক্ত ঘটনাবলীর বিষয়ে অনতিবিলম্বে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

কালুখালীতে ঈগলের ক্যাম্পের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ ও কর্মীদের মারধরের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৬:০৯:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

  রাজবাড়ী-২ (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হকের প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পের অদূরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ এবং তার কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক রোববার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে আমি আমার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু একটি পক্ষ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানাভাবে পাঁয়তারা করছে। তারা প্রতিনিয়ত আমার কর্মীদের উপর হামলা, হুমকি, ধমকি দিচ্ছে। প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। যা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অন্তরায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ ডিসেম্বর শনিবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের গাংবথুনদিয়া গ্রামে আমার প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পের অদূরে একশ গজের মধ্যে মৃগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমার কর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতির সৃষ্টি হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই দুস্কর্মের সাথে আরও রয়েছে মাজবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা জেলা পরিষদের সদস্য ইউসুফ মেম্বারের ছেলে সোহেল ও রাসেল, মাঝবাড়ির চরকুলটিয়া গ্রামের আরজু, মৃগী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা দাউদসহ বেশ কয়েকজন। একই দিন মৃগী ইউনিয়নের নেয়ামতপুর মোড়ে আমার প্রচার মাইকের চালক মো. কলমকে মারধর মাঝবাড়ি ইউনিয়নের চরকুলটিয়ার আরজুসহ কয়েকজন। এরা সবাই নৌকার সমর্থক।

মৃগী ইউনিয়নের গাংবথুনদিয়া আমার বাড়ি। আমার বাড়ির বিপরীত দিকে মতিন চেয়ারমানের নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের বিশাল প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু, আমার কাছে তথ্য এসেছে, ওই নৌকার প্রতিকৃতি/অফিস তারা নিজেরা ভেঙে অথবা পুড়িয়ে আমার বা আমার ঈগল প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে। এমন ঘটনা আমার নির্বাচনী এলাকা পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘটাতে পারে বলেও বিশ^স্ত সূত্রে জানতে পেরেছি। এ ধরনের ঘটনায় আপনাদের প্রতিশ্রæত জাতীয় সংসদের সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ বিঘিœত হতে পারে। এছাড়া নৌকার সমর্থকরা প্রতিনিয়ত আমার অফিসের সামনে দিয়ে আমার সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করছে। যেকারণে আমার কর্মীরা নির্ভয়ে নির্বিঘেœ কাজ করতে পারছে না।

জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের ভ‚মিকা এবং রাজবাড়ী জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্যোগেও আমরা সন্তুষ্ট। ইতিমধ্যে আপনাদের গ্রহণ করা সকল উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু উপরোক্ত ঘটনাবলী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায়। যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে।

উপরোক্ত ঘটনাবলীর বিষয়ে অনতিবিলম্বে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি।